শেখ হাসিনাকে তারেকের নোটিশ: জবাব আদায়েরই উদ্যোগ নেই
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২৭ মে, ২০১৩, ০৮:৪৫:২৪ রাত
ঢাকা: ‘অসত্য’ বক্তব্য প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুই দফা সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর সাড়ে তিন মাসেও জবাব পাননি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এ নিয়ে নোটিশ দাতা পক্ষেরও জবাব চাওয়ার কোন তোড়জোড় নেই।
গত ২ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ও সুন্দরবন ক্যুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানায় লিগ্যাল নোটিশ দেন তারেক। তাতে ২৮ দিনের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় শেষ হওয়ার পর আরো ১৫ দিন সময় দিয়ে ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা নোটিশ পাঠানো হয়।
কিন্তু এর প্রায় চার মাস পর নোটিশের জবাব পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে বাংলানিউজকে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, “উত্তর পাইনি। তবে এ নোটিশ দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা তারেক রহমান সম্পর্কে আর কোনো মন্তব্য করেন নি। এ জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
এর আগে খোকন জানান, ১ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মৌলভীবাজারে এক সমাবেশে বলেন, “খালেদা জিয়া বলেছেন, তার ছেলেরা নাকি সৎ জীবন যাপন করে। যেদিন তিনি এ কথা বলেন সেদিনই তার ছেলেদের মানিলন্ডারিংয়ের টাকা দেশে ফেরত এসেছে। এ মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। মামলা হয়েছে আমেরিকার কোর্টে। এ এলাকার অনেকে প্রবাসে থাকেন। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন তার ছেলে লন্ডনের কোন এলাকায় থাকে। কি গাড়ি ব্যবহার করে। কি রকম বিলাসবহুল জীবন যাপন করে। কোথা থেকে এ টাকা আসে। দুর্নীতি ছাড়া এতো টাকা কোথা থেকে আসে।”
খোকনের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, “তাঁর (খালেদা) ছেলেরা বিদেশে রেস্টুরেন্ট করেছে। বাড়ি করছে। গাড়ি কিনছে। ভাঙা সুটকেস থেকে কি এসব টাকা বের হচ্ছে? বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মানিলন্ডারিং করে এসব টাকা পাচার করে এখন লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে তারেক।”
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য অসত্য। তারেক রহমানের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুন্ন করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তিনি মানিলন্ডারিংয়ে জড়িত নন।”
তিনি বলেন, “আমেরিকায় তারেকের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। লন্ডনে তার কোনো বাড়ি বা রেস্টুরেন্ট নেই। তিনি সেখানে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।”
খোকন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বাইরে তারেক রহমানের কোনো সম্পদ নেই। তিনি দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সব সময় নিয়মকানুন মেনে চলেন। তিনি সৎ ও স্বচ্ছভাবে নিয়মিত ট্যাক্স দেন। তার গোপন কোনো সম্পত্তি নেই। সুনামক্ষুন্ন করতে অসত্য ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য দিয়েছেন। এ বক্তব্য তার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাকে ঘৃণারপাত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছে। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জনসম্মুখে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি আরো দায়িত্বশীল হবেন বলে আশা করি।”
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
প্রতিক্রিয়া :
বাংলাদেশে এখন একটা প্রবাদ খুব চলে
'' বাঘে ধরলে বাঘে ছাড়ে , হাসিনা ধরলে ছাড়ে না ''
এই কথা তারেক মিয়া এখনও কি জানে না ?
হাসিনার লগে পাঙ্গা লওনের মজা এখন বুঝবো
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন