দেশে দেশে ইসলামী রাজনৈতিক দলের নাম পরিবর্তন এবং জামায়াতের সিদ্ধান্তহীনতা

লিখেছেন লিখেছেন বিনয়ী বালক ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:০১:৪৭ দুপুর



ইসলাম কৌশল গ্রহণকে কখনও না-জায়েয ঘোষনা করে নি।কৌশলে পিছিয়ে গিয়ে আর বেগবান হয়ে সামনে এগিয়ে প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করে নিজের অবস্থান সংহত করাই প্রজ্ঞার প্রমান দেয়।

দাবী উঠেছিলো সেই ১৯৭৭ সাল থেকেই যে স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াত সম্পূর্ণ নতুন নামে তাদের আদর্শিক রাজনীতি শুরু করবে। কিন্তু নেতৃত্বের অনমনীয়তার কারনেই কল্যানমুখী এ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয় জামায়াত।

তারপর ৯০'র দশকে যখন নির্মুল কমিটি গড়ে উঠে, গন-আদালত হয়, তখনও দাবী উঠে। কানে নেয়নি শীর্ষ নেতারা।

রাজনৈতিক দলের যখন নিবন্ধন বাধ্যতামুলক করা হয় নির্বাচনে নিজ প্রতিকে অংশ নিতে, তখনও একই পরামর্শ যায় দলটির নেতাদের কাছে। কাজ হয়নি তাতেও।

আজ যখন নাম পরিবর্তন আরও জরুরী, তখনও দ্বীধাগ্রস্ত নেতৃবৃন্দ্ব।

মনে রাখা উচিৎ, কেবল প্রচারনা এবং কর্মের কারনেই নামটা হয়ে যেতে পারে একটি গালি।

একসময় মীরজাফর একটি জনপ্রিয় নাম ছিলো, আজ তা গালি।

তুই আওয়ামীলীগ না মানুষ-এরকম কথাও শুনা যায় মাঝে মাছে।

আর একই ভাবে জামায়াত এর সাথে ঐতিহাসিক ভাবে ই চলে আসে একাত্তরের বিতর্কিত ভুমিকা পালনকারী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস। নিজেদের কর্মী সমর্থকদের কাজে একটি ধমক শুলভ জবাব দিতে পারলেও সাধানর জনগন এবং ৭১ পরবর্তি প্রজন্মকে জামায়াত আজ পর্যন্ত ৭১-র এই গনহত্যায় ভুমিকা পালনকারী সহযোগী বাহিনিগুলো সম্পর্কে কোন যুৎসই জবাব দিতে পারেনি। এবং ভবিষ্যতেও কখনও পারেব না।

গোপাল যেখানে যায়, কপাল তার সাথেই যায়।যেখানে জামায়াত নাম থাকবে, সেখানে রাজাকার-আলবদর-আলশামস এর বোঝা কর্মীদের আজীবন বহন করতে হবে।

তুরস্ক, মিশর, আল-জেরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রয়োজন অনুযায়ী তারা তাদের নাম পরিবর্তন করেছে।

এমনকি বাড়ির পাশে ভারত, সেখানকার জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক শাখার নাম পরিবর্তন করেছে।

জামায়াতের সুযোগ ছিলো নতুন নামের একটি বিকল্প রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে রাখা।যদি তা করত, তাহলে আজ যখন নিবন্ধন বাতিল হল, তখন সেই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারতো।

রাজনীতি তে নারীদের অংশগ্রহন নিয়েও জামায়াতকে নতুন করে ভাবতে হবে। মিশরের ব্রাদারহুড যদি নারীদের পাশে রেখে আন্দোলন করতে পারে, তাহলে জামায়াতের আপত্তি কোথায়?

আজ যখন সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, পাবনা, বগুরা, দিনাজপুরে নারী কর্মীরা রাস্তা অবরোধে অংশ নিতে পারে এবং জামায়াত সেটা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করতে পারে, তাহলে নিদেন পক্ষে জনসভাগুলোতে নির্দিষ্ট বাউন্ডারীর মধ্যে পর্দাসহকারে নারীদের আসতে বাধা কোথায়?

বিষয়: বিবিধ

২০০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File