সিলেট-রাজশাহীতে জামায়াত মেয়র নির্বাচনে বিএনপির যাদেরকে সমর্থন দিলো ধরে নিতে হবে তারা অবশ্যই জামায়াতরে প্রার্থীদের চাইতে নৈতিক দিক দিয়ে উত্তমঃ বাড়ছে কর্মীদের ক্ষোভ

লিখেছেন লিখেছেন বিনয়ী বালক ২৬ মে, ২০১৩, ১২:২০:৪৮ দুপুর

জামায়াত ভয় পায় শেখ হাসিনাকে। আনুগত্য আর মহব্বত করে খালেদা জিয়াকে। আওয়ামীলীগ মোকাবেলার জন্য জামায়াত মাঠে নামায় কর্মীদের। তারা গুলি খাবে, আহত হবে, নিহত হবে। একটি দোওয়া অনুষ্ঠান, একটি বিবৃতি কিংবা একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন হবে বিনিময়ে।

আবার এ বিবৃতি কেবলমাত্র জামায়াতের পক্ষ থেকেই আসবে। জোটের নেত্রী খালেদা জিয়াও কোন বিবৃতি দিবেন না।

গত ০৪ মে, মতিঝিলের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া ঘন্টাখানেক বক্তব্য রাখলেও সেখানে গ্রেফতারকৃত শিবির সভাপতির ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারন করতে পারেননি। অথচ এই বিএনপির কাছেই জামায়াত তাদের সকল অর্জনকে অদৃশ্য কারনে বিষর্জন দেয় 'ভবিষ্যতে দেখা যাবে" টাইপের কথা বলে। বিএনপির কাছে থাকার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় গোটা কয়েক নেতা। অথচ সেই ভবিষ্যত আর কখনো আসে না।

সবাই জানতো কর্মীদের সাময়িক "মোয়া" (বুজ) দেওয়ার জন্য জামায়াত রাজশাহী ও সিলেটে মেয়র প্রার্থী দিয়েছে। তারপরও কর্মীরা নেতাদের প্রতি "আনুগত্য" নামক কঠিন নিয়মের কারনে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলো। নেতারা কর্মীদের এই শর্তহীন আনুগত্যের সুযোগ নিয়ে আবার ও তাদের সাথে তামাশা করলো।

জামায়াত মেয়র নির্বাচনে বিএনপির যাদেরকে সমর্থন দিলো ধরে নিতে হবে তারা অবশ্যই জামায়াতরে প্রার্থীদের চাইতে নৈতিক দিক দিয়ে উত্তম। তাদের সততা, ব্যক্তিত্ব অবশ্যই জামায়াতের মেয়র প্রার্থীদের চাইতে ভালেঅ(?) যদি তাই হয় তাহলে জামায়াত সংগঠনটির কি এমন প্রয়োজন? নিজেদেরকে বিলূপ্ত করে দিয়ে সরাসরি বিএনপির আঁচলের ছায়ায় আশ্রয় নিলেই তো পারে।

শুধু সিলেট এবং রাজশাহী নয়, সারা বাংলাদেশের জামায়াত শিবির কর্মীরা এখন ঠাট্টা-মশকরার শিকার। কার সংসদ নির্বাচনে ও জামায়াত কেবলমাত্র তার ৩০ জন নেতার জন্যই বিএনপির নিকট আবদার জানাবে। অথচ ৩০০ আসনের নেতাকর্মীরা শারিরিক, মানসিক এবং আর্থিক সহযোগীতা করেই যাবে।

জামায়াত কি ভোটের গুরুত্ব কোনদিন বুঝবে?

বিষয়: রাজনীতি

১৬২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File