ভাংচুর রাজনীতি! কতটা ইসলামিক? ভেবেদেখার বিষয়।
লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ বাশার ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:১১:৫৮ দুপুর
জাহেলি যুগে একটা চরম বর্বর প্রথা ছিল 'প্রতিশোধ নেয়ার নির্মমতা।' যেমন কেউ একজন অন্য ব্যাক্তির চাকর মেরে ফেলেছে তো প্রতিশোধ নিতে সেই ব্যাক্তির চাকর কে মেরে থুয়ে আসত নিহত চাকরের মালিক। ভাবখানা এমন যে দেখ চাকর মরে গেলে কত কষ্ট লাগে! কিন্তু ইসলাম এসে এইসব উদ্ভট কিন্তু জনপ্রিয় নির্মম প্রথা সমাজ থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। মুহাম্মদ (সা) ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে সেই সময়ে এরকম জনপ্রিয় কোন কিছুর আশ্রয় নেননি। বরং যখনই সুযোগ পেলেন তখনই শক্ত হাতে তা প্রতিহত করেছেন। ইসলামের নিয়ম হচ্ছে নিহত ব্যাক্তির পরিবার যদি অর্থ দন্ডের ভিত্তিতে মাফ না করে দেয় তবে দোষী মালিক হোক বা চাকর হোক সে যা করেছে তার উপর ঠিক তাই করা হবে।
বর্তমান সময়ে জাহেলি যুগের সেই চর্চা জোরেশোরে ফিরে এসেছে। আমার নেতা আহত হল কেন, কেন তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হল, কেন তাকে হত্যা করা হল সুতরাং ভাঙ গাড়ি, ডাকো হরতাল। কিন্তু আপনি যতবড় ভিকটিমই হননা কেন যে অপরাধী নয় তার জানমালের ক্ষতি আপনি করতে পারেননা। হরতালের ব্যাপারে হয়ত ঘুরিয়ে পেচিয়ে অনেক কিছু বলতে পারেন কিন্তু গাড়ী ভাঙ্গার জন্য কোন যুক্তিই খাটেনা। হরতালে সবচেয়ে বেশি গাড়ি ভাঙ্গা ও আগুন দেয়া হয় আশ্চর্যজনকভাবে হরতালের আগেরদিন। আপনি সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সরকারকে অসহযোগীতা করার জন্য আহবানকে হরতাল বলতে পারেন কিন্তু জনগন বা যে ব্যাক্তি তা করতে অস্বীকার করল তাকে আপনি জান-মালের ক্ষতি করে শাস্তি দিতে পারেন? ভেবেদেখেছেন কি যে আপনার এই কাজকে ইসলাম অনুমোদন দেয় কিনা?
আমি মনেকরি জালিমের অত্যাচারে আক্রান্ত মযলুম বা ভিকটিম ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী বা দলের প্রতি সাধারন মানুষ বা যে মানুষগুলোর কিছু ভুমিকা ভিকটিমদের জন্য উপকারে আসবে চোখের পানি পড়ার আগেই হরতালের ডাক বা জালাও পোড়াও রাজনীতি দরদের বদলে আক্রোশের জন্ম দিচ্ছে। অন্যায়ের প্রতি প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে অযথা নিরীহ মানুষের প্রতি জাহেলিয়াতের মত অত্যাচার না করলে আল্লাহর পরিকল্পনায় জনগনই আপনাদের হয়ে ভুমিকা রাখবে ইনশাল্লাহ।
[ আমি মুফতি নয়, আলেম নয়, মাওলানা নয় সুতরাং ভুল ধরিয়ে দিলে অবশ্যই সংশোধিত হব]
সংগৃহিত
বিষয়: বিবিধ
৯৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন