আমাদের কয়েক বন্ধু এবার ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সকলের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়াঃ
লিখেছেন লিখেছেন মাটিরলাঠি ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৩:৩৩ রাত
আমাদের কয়েক বন্ধু এবার ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সকলের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়াঃ
কেন্দ্র-১
ভোটার সংখ্যা ২৪০০
ভোট দিয়েছে ৪৬০ (কোন মুসলমান ভোট দেয়নাই)
কেন্দ্র-২
ভোটার সংখ্যা ৪৫৫৮
ভোট দিয়েছে ১২০০
কেন্দ্র-৩
ভোটার সংখ্যা ৩৪০০
ভোট দিয়েছে ৩৩০
......
......
-(দিনাজপুর ১ আসন। এখানে হিন্দুরা গতকাল থেকে আক্রান্ত হয়েছে। টিভিতে দেখানো হচ্ছে। একেন্দ্রের পটভূমি ভিন্ন। এখানে আওয়ামীলীগের দুটি বিবাদমান গ্রুপ আছে। একদল বর্তমান আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরোধী এবং এলাকাবাসীও বিরোধী। এখানে ত্রিমুখী অবস্থান। সুতরাং এখানে কি হচ্ছে দুইমুখওলা সাংবাদিকদের সংবাদ শুনে বুঝার উপায় নাই। এখানে ভোট কেন্দ্রগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল, একটিও ভোট কাস্ট হয় নাই, তারপরও ১ লাখ ভোটে প্রার্থী জিতেছে?!)
-সাংবাদিকরা যদি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ না করে সাক্ষাতকার নেন তাহলে ভোটের প্রকৃত চিত্র আরো পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠবে।
-সারারাত আমরা ঘুমাই নাই। কিছু হলে কোনদিক দিয়ে পালাবো সারাক্ষন তার পথ খুজেছি।
-ভোট কেন্দ্রে বসে আছি, কোন ভোটার নাই। এ এক ভয়াবহ সিচুয়েশন। ট্রেনিং-এ বলে দেওয়া হয়েছিল, কিছু হলেই চলে আসবেন। পারলে বাক্সটাক্স নিয়ে আসবেন, না পারলে আনতে হবে না।
-ভোটের ফলাফল অঙ্কে (সংখ্যায়) লিখতে হবে, কথায় লেখা যাবে না।
-ভোটের পুরো সময়টা শুধু ভেবেছি কি ভাবে ও কোন দিক দিয়ে দৌড়ে পালাব।
-আগের দিন আওয়ামীলীগের নেতারা অনেক বড় বড় কথা বলেছিল, কিন্তু ভোটেরদিন তাদের দেখা যায় নাই।
-হিন্দুরা ভোট দিয়েছে, মুসলমান খুবই কম।
-বিকালে ফোন দিলাম ফোর্স পাঠানোর জন্য, বলল পাঠাতে পারবো না, ভোট গুনেছেন, না গুনি নাই, গুনতে হবে না। বাক্স আর মুড়ি নিয়ে চলে আসেন। আমরা কেউই কেন্দ্রে ভোট গুনি নাই, শহরের অফিসে এসে গুনেছি।
-আওয়ামীলীগ ফেয়ার ইলেক্সন করতে পারত, কিন্তু ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে নাস্তিক তোষণ ও শাহবাগ, শাপলাচত্বর আক্রমণ, ইত্যাদি কারণে এদের ফেয়ার ইলেক্সন করবার আর কোন সাহস নাই। তারা ভয়ে ভীত হয়ে আছে। তাই নানা রকম ছলচাতুরী। রাজবাদশারাও এত মিথ্যাবাজী, চালবাজী করত না।
-ভোটের দিন আর্মি নিরপেক্ষ ছিল, তাদের ডাকলেও তারা সাড়া দেয় নাই।
-এই ভোটে একটা বিষয় পরিষ্কার, পুরো দেশবাসী খালেদা জিয়ার সাথে আছে। এখন বিএনপি যদি তাদের হিজড়ামি থেকে বেরুতে পারে।
ভোটের ফলাফলঃ
পিকপকেট করতে গিয়ে এক পকেটমার ধরা পড়ল। বিচারে তার সাজা হলে সে বিচারককে বল্লঃ
“হুজুর আমি দোষী। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে, আমি পকেট মেরেছি, রাত বারোটার সময়, কিন্তু পুলিশ তিনজন সাক্ষী যোগাড় করল কেমন করে?”
একটি প্রবাদ-
বেহায়ার পাছাত গাছ গজালে, বেহায়া মনে করে মোর ছাওয়া (ছায়া – শ্যাডো) হছে –অর্থাৎ ভালোইতো আমি গাছের ছায়া পাচ্ছি।
একটি উক্তি-
“তুই মোক কি অপমান করবুরে? – বায়তুল মোকার্রমের সামনত্ মোক জুতা দিয়া পিটাইছিল তাতে মুই অপমান নি হউ” –অর্থাৎ তুমি আমাকে কিভাবে অপমান করবে? বায়তুল মোকার্রমের সামনে আমাকে জুতাপিটা করছিল, তাতেই আমি অপমানিত হইনাই।
হাজারবছরের সেরা কৌতুকঃ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ওয়াদা - “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন করা হবেনা।”
“নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।” (আল-কুরআন-২, আয়াত-১৯০)।
“আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।” (আল-কুরআন-২, আয়াত-২৮৬)।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ Very smart & intelligent.
This is the reality
মন্তব্য করতে লগইন করুন