প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাঙামাটি সফরে যাচ্ছেন
লিখেছেন লিখেছেন অধিকারের কথা ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৪২:৩৯ বিকাল
পত্রিকা এবং অনলাইন মিডিয়া মারফতে জানা গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি সফরে যাচ্ছেন।
জানা গেছে তিনি সেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সড়ক, সেতু, ভবন, ভাস্কর্য, অফিস ইত্যাদির ভিত্তিপ্রস্তর-ফলক উন্মোচন বা স্থাপন করবেন বা বলা যায় উদ্বোধন করবেন।
এছাড়া তিনি রাঙামাটির সাজেকে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম দেখতে যাবেন এবং বান্দরবান জেলার কেওক্রাডঙ পাহাড় ঘুরতে যাবেন। সব কাজ শেষ করে তিনি রাঙামাটিতে একটি সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
তিনি যা করবেন তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অনেক বিষয়ে 'সম্ভাবনার দুয়ার' খুলতে পারে বোধকরি।
কিন্তু তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান বিষয়ে কী আশ্বাস এবং কী বাস্তব কাজ দেখিয়েছেন এবং দেখাবেন তা নিয়েই পার্বত্য এবং দেশের জনগণ সবচেয়ে বেশী সজাগ-সচকিত থাকবেন বলেই মনেহয়।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ(ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) আজ পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় শেখা হাসিনার সফরের প্রতিক্রিয়ায় যে মেইল-বার্তা পাঠিয়েছেন তার শীরোনামেই উল্লেখ করেছেন, "পার্বত্যবাসীকে অপমান করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাঙামাটি সফর"
ইউপিডিএফ প্রধান প্রসীত বিকাশ খীসার নামে প্রদানকৃত এই বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, 'পাহাড়ি জাতিসমূহকে বাঙালী জাতির মধ্যে বিলীন করার প্রয়াস'; 'নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি' বাস্তবায়ন না করা; এছাড়া 'সাজেক-রামগড়-রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক হামলা' ইত্যাদির কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তা শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে । আসন্ন সফরের মাধ্যমে তিনি তাঁর হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
একমাত্র পার্বত্য পাহাড়ি জনগণের ভূমি অধিকার প্রদান, পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নেয়া, মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করা, সেটলারদের সমতলে সম্মানজনক পুনর্বাসন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বেসামরিকীকরণ করা হলেই পার্বত্য জনগণ মহাসমারোহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবে বলে তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
এখন দেখার বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধুমাত্র কিছু অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে মাধ্যমে তার কোটি টাকার খরচে করা সফরের সমাপ্তি ঘটাবেন নাকি অন্য কোনো প্রতিশ্রুতি প্রদান করবেন।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা হচ্ছে 'রাজনৈতিক সমস্যা'। পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন সশস্ত্র কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু হয় তখন দেশের ক্ষমতায় জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসলে তিনি পার্বত্য সমস্যাকে 'অর্থনৈতিক সমস্যা' উল্লেখ করে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। পরে এরশাদ সরকার ক্ষমতায় আসলের তিনি এই সমস্যাকে 'রাজনৈতিক সমস্যা' হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করেন।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস-এর সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগ্রামের ধারার অবসান হয়।
বিষয়: বিবিধ
১১০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন