প্রসঙ্গ ...জামায়াত ইসলামী ও নারী নেতৃত্ব!!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:৪৮:৫৮ দুপুর
শোকরানা মাহফিলে অসন্তুষ্টির কিছুই নেই। এটি আমাদের মনের বেশ কিছু কনফিউশন দূর করেছে এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।
শহীদ মাওলানা নিজামী কেন বেগম জিয়ার পাশের চেয়ারে বসতেন কওমীদের এমন বিব্রতকর প্রশ্নের উত্তর দেয়া গেলে ও তারা সন্তুষ্ট হতেন না। আশা করছি, আজকের পর এই প্রশ্ন আর আসবে না।
নারী নেতৃত্ব হারাম বলে সাঈদী সাহেবের ওয়াজের কপি চরমোনাইদের মোবাইলে মোবাইলে ছিল। আশা করছি আজকে সব ফরম্যাট মারবেন।
সুন্নী-গাউসিয়া-ভান্ডারী-দরবারী-পীরবাবা-মাজারী-দেওয়ানবাগী-আটরশী সব বিদয়াতীদের অকৃত্রিম বন্ধু ছিল আওয়ামীলীগ। কওমী ও জামায়াত স্বতন্ত্র থাকায় সাধারণ মুসলমানেরা সহীহ আকীদা খুজে নিতে দিকভ্রষ্ট এবং কনফিউশনে ছিল। আশা করছি, আজকের পর সঠিক ইসলাম খুঁজে নিতে মনের সমস্ত ভ্রান্তি/সন্দেহ দূর হবে।
নেত্রীর ডানহাত নাস্তিক্যবাদীদের আগলে রেখেছে, আর বামহাত দিয়ে হুজুরদের আশীর্বাদ করছেন। এরপর ও পাশ্চাত্য শক্তি ও ভারতের পরম বিশ্বস্ত বন্ধু। আশা করছি এরপর আওয়ামীলীগের আসল পরিচয় খুঁজে পেতে সাধারণের কস্ট হবে না।
জামায়াত কেন জোট করেছে? এমন প্রশ্নের উত্তর জামায়াত কর্মীরা ও মেলাতে পারত না অনেক সময়। আজকের পর এই কেন'র উত্তর খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
কোটা আন্দোলনকারীরা মার খাওয়ার পর 'মাদার অব এডুকেশন' উপাধি দিল। কওমিরা হাজারো লাশের উপর 'মাদার অব কওমী' উপাধি দিল। বাংগালী জাতিকে কিভাবে বশে রাখতে হয়? সেই পদ্ধতিটা ও জানা গেল। ছলনা শুধুই ছলনা...
বাংলাদেশে এখন স্পষ্টত জামায়াত ছাড়া বাকি সব ইসলামী দল এক প্ল্যাটফর্মে। এই অবস্থায় হকপন্থী ইসলামী আন্দোলন খুঁজে পেতে এতবেশি গবেষণা করা লাগবে না। উত্তর একটাই--- হয় জামায়াত ইসলামী সঠিক অবস্থানে, নচেৎ বাকি সব দল সঠিক ইসলামী দল। দুটির একটি।
লিখেছেন.........
Tamim Mesbah vai
বিষয়: রাজনীতি
৯০৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনারা আওয়ামিলিগ থেকে কি পেয়েছিলেন আর কি দিলেন তার ব্যাখ্যা করলেন না.
আপনাদের এতোগুলো নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পরেও ইসলামি ব্যাংক লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁদের হাত শক্তিশালি করেছে তার ব্যাখ্যা একটু জানালে কৃতজ্ঞ হব............মা'সালাম
ইসলামী ব্যাংক এখন আর জামাতের নেই। এটা বহুত আগেই আওয়ামীলীগ দখল করে নিয়েছে।
২০১৩ তে যে হেফাজতকে মতিঝিল থেকে বিশাল প্যাঁদানি দিয়ে খেদিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ , সেই হেফাজতকেই গতকাল খুব সাদরে ডেকে নিল নির্বাচনের প্রাক্কালে।
২০১৩ তে শফিকে তেতুল হুজুর বলেছিলেন শেখ হাসিনা আর এখন হেফাজত হাসিনাকে 'কওমী জননী' উপাধি দিয়েছে।
সামনে নির্বাচন, তাই সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান ও তাদের ধর্মীয় নেতাদের হাতে রাখতেই হবে । এসময়ে রাম-বাম থাকবে একটু সাইডে। ভারতও এটাতে সায় দেবে - কারণ নির্বাচনে জেতা বলে কথা ।
নির্বাচনে জেতার অব্যহতি পরেই হেফাজতকে আবারও বেদম মাইর দেবে আওয়ামী লীগ এবং রাম-বামও তখন লাথি মারা শুরু করবে।
ইসলামী ব্যাংক এখন আর জামাতের নেই। এটা বহুত আগেই আওয়ামীলীগ দখল করে নিয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক এখন আর জামাতের নেই। এটা বহুত আগেই আওয়ামীলীগ দখল করে নিয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন