অসভ্য বিশ্বের নোংরা হাত, মুখ আর মেরুদণ্ড!!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৪৩:২২ দুপুর

ধর্ষণের পূর্বে মন্দিরে পূজা দেয় শিশু আসিফার ধর্ষকরা!!!

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় আট বছরের শিশু কন্যা আসিফাকে সাত দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। পুলিশের অভিযোগে আনা চার্জশীটে জানা যায় শিশুটির চুল পাওয়া গেছে মন্দিরে।এমনকি ধর্ষণের পূর্বে ওই মন্দিরে পূজাও করে নেয় ধর্ষকরা। ওই মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সাঞ্জি রাম শিশু আসিফার অপহরণ ও ধর্ষণের নেতৃত্বদানকারী বলেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বলছে, আট বছরের ঐ কন্যা শিশুকে জম্মু-র কাঠুয়া জেলায় তার বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। যাযাবর গুজ্জর জাতি-গোষ্ঠী শিশুটিকে এবছরের ১০ই জানুয়ারি অপহরণ করা হয়, যখন সে পোষা ঘোড়া আর ভেড়াগুলিকে চড়াতে নিয়ে গিয়েছিল।পরের দিন তার পরিবার হীরানগর থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করে। সাত দিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায় কাঠুয়া জেলারই বসানা গ্রামে।ঘটনাটি নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়তে থাকে, একসময়ে বিষয়টি পৌঁছায় রাজ্য বিধানসভায়।

সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা ঘোষণা করেন।তদন্তের শুরুতেই দেখা যায় যে ওই কন্যা শিশুর খোঁজ করতে পুলিশ কর্মীরা যখন জঙ্গলে গিয়েছিলেন, তার মধ্যেই এমন দুজন ছিলেন, যারা মৃতদেহটির পোশাক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আগে একবার জলে ধুয়ে নিয়েছিল।সন্দেহ বাড়ায় তাদের জেরা শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ঐ দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনেই ওই হীরানগর থানায় কর্মরত ছিলেন।তল্লাশি চালিয়ে বসানা গ্রামের একটি মন্দির থেকে কিছু চুল খুঁজে পান তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহ হয় যে ঐ চুল অপহৃত কন্যা শিশুটির হতে পারে।চার্জশীটে বলা হয়েছে, ওই মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন সাঞ্জি রাম নামে যে ব্যক্তি, তিনিই নিজের পুত্র আর ভাইপোর সঙ্গে ওই কন্যা শিশুকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

গুজ্জর সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করাই উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।চার্জশীটে বলা হয়েছে, স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে বাকারওয়াল বা যাযাবর সম্প্রদায়ের ওই মানুষরা গরু জবাই করে আর মাদকের কারবার করে।এ নিয়ে এর আগে দুই তরফেই পুলিশের কাছে বহু অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জমা হয়েছে। চার্জশীটে পুলিশ এটাও উল্লেখ করেছে যে ধর্ষণের আগে ঐ মন্দিরে কিছু পুজোও করা হয়।৬০ বছর বয়সী সাঞ্জি রাম, তার ছেলে বিশাল আর নাবালক ভাইপো, চার পুলিশ কর্মী এবং আরেক ব্যক্তি গোটা ঘটনায় সরাসরি যুক্ত।ঐ কন্যা শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে আসার পরে তাকে মাদক খাইয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।অভিযুক্তদের মধ্যে যে নাবালক রয়েছে, সে তার চাচাতো দাদা সাঞ্জি রামের ছেলে বিশালকে উত্তর প্রদেশের মীরঠ শহর থেকে ডেকে আনে ফোন করে যাতে, সে-ও ওই কন্যা শিশুটিকে ধর্ষণ করতে পারে।

চার্জশীটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, টানা ধর্ষণ করার পরে যখন অভিযুক্তরা ঠিক করে যে এবার ওই কন্যা শিশুটিকে মেরে ফেলার সময় হয়েছে, তখন একজন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী অন্যদের বলে, “এখনই মেরো না। দাঁড়াও। আমি ওকে শেষবারের মতো একবার ধর্ষণ করে নিই।”তারপরে ওই পুলিশ কর্মী নিজে চেষ্টা করে কন্যা শিশুটিকে হত্যা করতে, কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। শেষে নাবালক অভিযুক্তই ওই কন্যা শিশুকে হত্যা করে।তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় একটা পাথর দিয়ে। ময়নাতদন্তে জানা গেছে যে ওই কন্যা শিশুটিকে মাদকের বড়ি খাইয়ে তারপরে ধর্ষণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি শিশু আসিফাকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়। নিখোঁজের ৭ দিন পর পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে ধর্ষণের আলামত খুঁজে পায় চিকিৎসক। পরে ওই ঘটনায় শিশুটির পরিবার পুলিশ কর্মকর্তা দীপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

ourislam24

বিষয়: বিবিধ

৭৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385137
১৮ এপ্রিল ২০১৮ রাত ০৮:৪২
হতভাগা লিখেছেন : বর্বর একটি দেশ এবং বর্বর তার মানুষগুলো
385140
১৯ এপ্রিল ২০১৮ রাত ১২:৪৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : পশুরাও কি এমন কাজ করেছে? পৃথিবীর ইতিহাসে এমন জঘন্যতম ঘটনা ঘটেনি যা তারা করেছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File