এই সত্য লুকাবে কোথায়??

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৪০:১৭ দুপুর

ফেসবুক থেকে .......

Fahmidul Haq যখন তাঁর প্রকাশিত নোটে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর অবস্হা তুলে ধরে বলেন , বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো হলো মিনি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। তখন বিশ্ববিদালয়ের গুরুত্ব পুর্ণ পদে বসে যে শিক্ষক বলেন যে শিক্ষক হিসেবে তার নৈতিক মান অনেক উঁচু তখন বোঝায় যায় এসব শিক্ষকরাও জেনেশুনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দাম্ভিকতাকে চ্যালেন্জ না করে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন । দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের যখন এই অবস্হা তখন সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দাম্ভিকতা যে আরো প্রকট রুপে প্রকাশিত হবে এটাই স্বাভাবিক । দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে অধ্যায়নরত দেশের নাগরিকদের অধিকার যখন ধুলায় লুন্ঠিত তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের কখনই বলা যায় না যে এরা মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যের প্রতি বা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । মুক্তিযোদ্ধারা লড়েছিলো এদেশের গণমানুষের স্বার্থের জন্য এ কারনে কোন মুক্তিযোদ্ধাই দেশে নাগরিক অধিকারের মধ্যে বৈষম্য বিদ্যমান থাকুক এটা চাইতে পারে না । বরং সেটা চাওয়াটাই হবে মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মান করা । দেশের নাগরিকদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বিদ্যমান অবস্হা থেকে হলগুলোকে মুক্ত করে নাগরিক অধিকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধররা অনতিবিলম্বে সন্মান জানাবেন এটাই স্বাভাবিক নতুবা বুঝতে হবে নিপীড়ন করাই এদের বৈশিষ্ট্য তাই নয় কি ?

Fahmidul Haq তার প্রকাশিত note এ যা বলেছেন বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর অবস্হা নিয়ে সেই অংশটি নীচে তুলে দেওয়া হলো ঃ -----------

(এর আগের এক স্ট্যাটাসে আমি বলেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো হলো মিনি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। স্পষ্ট করে বলি, ইশারা হলেন সেই ক্যাম্পের নিপীড়কদের ক্যাপ্টেন। সব হলেই ইশারা আছেন। আর গ্রাম থেকে আসা গরিব-নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীরা হলগুলোতে প্রথমে গণরুমে ওঠে। বিনিময়ে তাদের ছাত্রলীগের মিছিলে যেতে হয়। বড় ‘ভাই’দের উঠতে বসতে সালাম দিতে হয়। ‘গেস্টরুম কালচার’-এর বলি হয়ে তাদের যাপন করতে হয় এক প্রায় রেজিমেন্টেড জীবন। এক তরুণ বা তরুণীকে মহা-অনিচ্ছুকের এক জীবন যাপন করতে হয় – এর চেয়ে বেদনার আর কী আছে! তারুণ্য হয় বাঁধনহারা, কথা না-শোনার বয়স এটা – কিন্তু তাকে অনিচ্ছাসহ চলতে হয় অন্যের কথায়। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, হলের যে জীবন তাতে কোনো ছাত্র বা ছাত্রীর সেল্ফ ডিগনিটি অবশিষ্ট থাকে না। একেকজন হলবাসী হলো পরাস্ত, পরজীবী একেকটি প্রাণী। তারই ক্যালকুলেটর কোনো এক ভাই নিয়ে যাবার পর, সেটা চাইতে গেলে তার চোখে মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। মাঘের শীতে হলের লনে শাস্তিভোগ করতে করতে মারা যায় কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তরুণ। আর তাদের দেখভাল করার দায়িত্বে যে শিক্ষককূল, যে হল বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, তারাও এই পরিস্থিতির জন্য অনেকখানি দায়ী। আমি প্রথম আলোয় এক লেখায় বলেছিলাম, আগে রাজনীতিবিদরা আসতেন শিক্ষকদের কাছে পরামর্শ নিতে, আর এখন শিক্ষকরা রাজনীতিবিদদের দুয়ারে ধর্না দেন নানান পদপদবীর জন্য । এই শিক্ষকরাই তাদের পদ পেতে ও রক্ষা করতে এমনকি ছাত্রলীগকেও সমঝে চলেন। আরেক লেখায় বলেছিলাম, হলগুলো মূলত চালায় ছাত্রলীগ, প্রভোস্ট আর হাউস টিউটররা আছেন ছাত্রলীগের ছদ্মপ্রশাসনের বৈধতা দেবার জন্য।)

Fahmidul Haq published a note.

April 13 at 11:41pm ·

বিষয়: বিবিধ

৫৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File