রাজাকার, রাজাকার! তুমি কার? কে তোমার???
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:১৭:০৪ সকাল
Motin Uddin এর ফেসবুক থেকে
বাংলাদেশের শাসকদের রাজাকার প্রীতির নমুনা নীচে উল্লেখিত হলো। এই নমুনার বিষয়টি মতিয়া চৌধুরী জানেন না বিষয়টি এমন নয় তারপরও মু্তিযুদ্ধাদের নিয়ে তাদের গলাবাজি আর কতকাল চলবে ? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলছি আমরা এমন কোন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করিনি যে রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে বৈষম্য বিদ্যমান থাকবে । এ বৈষম্য তখনই দুর হবে যখন রাষ্টীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে সাংবিধানিকভাবে জনগণের নিকট জবাবদিহির বিষয়টি নিশ্চিত হবে । একাজটি বিগত ৪৭ বছরেও সম্পন্ন হয়নি । স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের অঙ্গীকার রক্ষা করার বিষয়টি অর্থাৎ জনগণের জন্য সাম্য , মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করার বিষয়টি কার্যকর করার উপর নির্ভর করছে রাষ্টীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে সাংবিধানিকভাবে জনগণের নিকট জবাবদিহির বিষয়টি নিশ্চিত করা । মুক্তিযুদধের লক্ষ্যের বিপরীত ধারায় রাষ্ট্র গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গলাবাজি করা এক ধরনের অপরাধ প্রবন মানসিকতার পক্ষেই সম্ভব এবং এটাই হয়ে চলেছে এখন পর্যন্ত তাই নয় কি ?
---------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশের শাসকদের রাজাকার প্রীতির নমুনা
-------------------------------------------------------------------
(বাংলাদেশে এরশাদের জাতীয় পার্টি - শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং খালেদা জিয়ার বি এন পি--- সহ তিন আমলেই স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত করে তাদের ব্যবহৃত গাড়ীতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চলার কাজটি সম্পন্ন করেছে । জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন মওলানা আব্দুল মান্নানকে ধর্ম মন্ত্রী বানিয়েছিলেন যিনি ছিলেন যুদ্ধাপরাধী । শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তখন শেরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের পুত্র যুদ্ধাপরাধী এ কে ফায়জুল হককে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী করেছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধী মওলানা নুরুল ইসলামকে ধর্মমন্ত্রী করেছিলেন ।বর্তমানে মন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাই হাফেজ মওলানা আজিজুল ইসলাম ছিলেন রাজাকার । শেখ হাসিনায় বেয়াই বর্তমানে মন্ত্রী হচ্ছেন প্রখ্যাত নুরু রাজাকারের পুত্র । খালেদা জিয়ার বি এন পি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীকে শিল্পমন্ত্রী করেছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদকে সমাজকল্যান মন্ত্রী করেছিলেন । এছাড়া তার নিজ দলে যুদ্ধাপরাধীদের পোক্ত অবস্হান ছিল । যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেওয়ার প্রশ্নে এদের মাঝে কোন লজ্জাবোধ নেই । স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রে সাম্য ,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের যে তিনটি বিষয় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়েছে তার ধারে কাছেও উপরে আলোচিত দলগুলোর কোন অবস্হান নেই এবং এ কারনেই এদের তিন আমলেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সন্মান ভূলন্ঠিত হয়েছে । স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে যে অঙ্গীকার করা হয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারন ও তা বাস্তবে কার্যকর করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আরোপ করে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পথে না গিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধররা বিদেশী কর্পোরেট পূঁজিকে সমৃদ্ধ করার ধারায় নিজেদের আখের গুছিয়েছেন এবং এখনও সে ধারা অব্যাহত । এই কারনেই দেশীয় উৎপাদনশীল পূঁজির ধারকরা হচ্ছেন অবহেলিত এবং দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম প্রতিষ্ঠান সমুহকে পঙ্গুত্ব বরনে নানা ধরনের পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধররা নিয়েই চলেছেন । এসব পদক্ষেপ গ্রহনে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাপ্রত্যাশীদের বা বলা যায় উপরে আলোচিত তিনটি দলের মধ্যে কোন বিরোধ বা বিতর্ক নেই । নিজেদের ভবিষ্যত স্বচ্ছল জীবনের জন্য বিদেশে অর্থ পাচার এদেশে একটি চলমান বাস্তবতা । স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের অঙ্গীকারের সঙ্গে এসব বিষয় মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয় । অর্থাৎ দেশ চলছে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের অঙ্গীকারের বিপরীত ধারায় । স্বাধীনতার ঘোষনার বিপরীত পথে এরা দেশ পরিচালনা করায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সমাজে পূনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার ভিত্তি লাভ করেছে । বস্তুত উপরে আলোচিত তিনটি দলের কোনটিই স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের অঙ্গীকার রক্ষা করেনি যার কারনে এরা কেউই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে বিবেচিত হতে পারে না । পারে কি ? অথচ দেশের জনগণকে তথা দেশকে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি ও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিতে বিভাজনের প্রচেষ্টা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের বা তাকে টিকিয়ে রাখার প্রয়াস চলছে । আর এই বিষয়ে মদদ জুগিয়ে চলেছে বিভ্রান্ত এবং সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবিরা ।)
Motin Uddin
December 24, 2016 at 2:07pm
বিষয়: বিবিধ
৭৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন