জামায়াত নিয়ে অপপ্রচার!!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৫৬:০০ দুপুর

শুধু জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে এতো চিল্লাচিল্লি না করে আসুন আসল ইতিহাস জানার চেষ্টা করি....

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>♦>>>>>>>>>

১৯৭১ সালে জামায়াত ছিল একটি ক্ষুদ্র দল।জামায়াতের তুলনায় মুসলিম লীগ ছিল শত বড় দল। আর আওয়ামী লীগ ছিলো হাজার গুণ বড়।

যেহেতু জামায়াত ছোট দল ছিল সেহেতু ১৯৭১

সালে তাদের ভূমিকাও খুবই নগণ্য ছিল।শান্তি কমিটি,

রাজাকার ইত্যাদি সংগঠন ও বাহিনীর তালিকা দেখলে

বোঝা যাবে জামায়াতের উপস্থিতি সেখানে নেই

বললেই চলে। সারাদেশে ১৯৭১সালে গঠিতশান্তি

বাহিনীতে জামায়াতকে একটি চেয়ারম্যানের পদও

দেয়া হয়নি অতি ক্ষুদ্র দল ছিল বলে এবং নেতা-

কর্মী ছিলনা বলে। বরং শান্তি কমিঠি, রাজাকার,আল-

বদরে আওয়ামী লীগ ও মুসলিম লীগের

লোকজনই ৯৫% এর চাইতেও বেশী ছিলো।

একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরো পরিস্কার হবে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া

অঞ্চলের একটি আসনে জামায়াতে ইসলামী

ভোট পেয়েছিলো ৩৫০ মতো। আর ১৯৭১

সালে ঐ এলাকায় তালিকাভূক্ত রাজাকারই ছিলো ১১৫০০ জনের উপরে।আওয়ামী লীগের কথা মতো

যদি জামায়াতের প্রাপ্ত সকল ভোটকেই রাজাকার

হিসেবে ধরা হয় তাহলে বাকি ১১ হাজারেরও

বেশী লোকগুলো কারা?নিশ্চয় তারা সবাই

আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী -সমর্থক বা

ভোটার ছিল। কারণ ঐ এলাকায় আওয়ামী লীগ

প্রার্থী বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিতহয়েছিল।

সে হিসেবে সারা দেশের রাজাকার, আল-

বদর ইত্যাদীর তালিকা প্রকাশ করলেও দেখা যাবে

৯০%রাজাকার আওয়ামী লীগ থেকে এসেছে।

কিন্তু এখনকি সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে এর বিচার করবে? আসলে জামায়াতে ইসলামীকে

সেদিনের কোন অপরাধে নয়, বরং ১৯৭১ সালে

অখন্ডপাকিস্থানের সমর্থক ছিল এমন সব

দল বর্তমানে বিলীন কিন্তুএকমাত্র জামায়াত দিন দিন

জনপ্রিয় হচ্ছে। এই জনপ্রিয়তায় জামায়াতের জন্য

কাল হয়েছে। অথচ স্বাধীনতা বিরোধী

হিসেবে চীনপন্থী বাম দলগুলোর ভূমিকার কথা

কেউ আজ বলেনা। কারণ তারা কেউই আজ আর

রাজনৈতিক মাঠে নেই।

জামায়াতে ইসলামীর অপরাধ হলো জামায়াত আজ

ইসলামের আদর্শবাদী একটি শক্তিশালী দল।

আরেকটি তথ্যহলো ১৯৭১ সালে জামায়াতের

সদস্য ( রুকন )সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০০ জনের মতো।

এখনসে সংখ্যা অনেক গুণে বেশি। শুধু

জামায়াতের সদস্য(রুকন) সংখ্যার ১৯৭১ সালের

তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০ গুণ। এটা

জামায়াতের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও সাংগাঠনিক শক্তি বৃদ্ধির অন্যতম উদাহরণ। এই জন প্রিয়তারকারণে বিএনপি

জামায়াতের পাশে থাকে। আবারআওয়ামী

লীগের জামায়াত বিরোধীতার কারণও

এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি। জামায়াত যদি আজ মুসলিম

লীগেরঅবস্থায় পতিত হতো তাহলে নিজামী-

মুজাহিদদেরকে কেউ শুধু তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী

নয় সাধারণ অপরাধীও বলতো না। যেমন

এখনকেউই মুসলিম লীগের নাম স্বাধীনতা

বিরোধী হিসেবে মুখেও আনেনা।

বিষয়: বিবিধ

৭৩০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385235
০১ মে ২০১৮ রাত ০৯:৫৬
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : জামায়াত ইসলামি নিয়ে চিল্লাইলে বড় বড় বোতল খেতে পারে এইজন্য জামাত নিয়ে এত চুলকানি

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File