এক অনবদ্য বাবু সোনার কথা!!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:৩৩:৫৬ রাত
রংপুরের নিহত আইনজীবী রথীশ চন্দ্র 'বাবু সোনা' তার জমাজমি বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। একই সাথে তিনি জমি বিক্রির টাকা নিয়ে ঘনঘন ইন্ডিয়া যাচ্ছিলেন। স্ত্রীর হাতে নিহত হওয়ার ক'দিন আগেও তিনি কিছু জমি বিক্রি করে টাকাটা বাড়িতে রেখেছিলেন। ইন্ডিয়ান ভিসাও করা হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত দু'এক দিনের মধ্যেই তিনি টাকা নিয়ে ইন্ডিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
বাবু সোনা উকিলের ব্যাকগ্রাউন্ডটা খুব ইন্টারেস্টিং। উনি জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহার সাহেবের যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষী। রংপুরের বদরগঞ্জ এলাকার দশম শ্রেণীর ছাত্র আজহার ৭১ সালে যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তার স্বাক্ষ্য দিয়েছেন ৩৫ কিঃমিঃ দূরে মাহিগঞ্জের বাসিন্দা তৎকালীন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রথীশ চন্দ্র। মজার ব্যাপার হচ্ছে রথীশ চন্দ্র শুধু নিজে স্বাক্ষ্য দিয়েই ক্ষান্ত হননি, উনি কলকাতা থেকে এক হিন্দু নারীকে নিয়ে এসে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন সেই নারী নাকি দশম শ্রেণীর ছাত্র দ্বারা নিগৃহীত হয়েছেন। এই নারীকে স্বাক্ষ্য দিতে নিয়ে আসার এরেঞ্জমেন্টটাও ছিল বাবু সোনা উকিলের।
বাবু সোনা উকিল ভীত ছিলেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত ছিলেন। যুদ্ধাপরাধ মামলায় তার ব্যাপক অংশগ্রহণের বিনিময়ে উনি খুব বেশী লাভবান হননি। সরকার পরিবর্তন হলে এই ব্যাপক মিথ্যাচার এর ফলাফল নিয়ে উনি শংকিত ছিলেন। তাই সব বিক্রি করে ওপারে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। স্ত্রীর সহযোগিতায় উনি ওপারে গেলেনও কিন্তু সত্যিকারের ওপারে।
উনি মঞ্চ নাটক করতেন। আজহার সাহেবের মামলা নিয়েও বড় নাটক সাজিয়েছিলেন তার গলায় রশি পড়াবেন বলে। এটিএম আজহার এখনো বেঁচে আছেন। কিন্তু গামছার ফাঁস গলায় নিয়ে তিনিই আগে চলে গেলেন। আল্লাহর বিচার কখনো খুব নির্মম।
বিষয়: বিবিধ
৭৪৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন