শেখ হাসিনার 'সততা'র ভূয়া প্রচারণা যেভাবে করা হচ্ছে!!!!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৩ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:০৬:১৯ সকাল

কদরুদ্দিন শিশির

"শেখ হাসিনা বিশ্বের ৩য় সৎ সরকার প্রধান" শীর্ষক সংবাদটি গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচিত হচ্ছে। সর্বশেষ বুধবার জাতীয় সংসদেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কথিত সংবাদের প্রেক্ষিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

প্রথমেই দেখে নেয়া যাক সংবাদটি কী ছিল?

বাংলা ইনসাইডার নামে একটি অনলাইন পোর্টাল সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে গত ২০ নভেম্বর। শিরোনাম ছিল, "শেখ হাসিনা বিশ্বের ৩য় সৎ সরকার প্রধান"।

পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে পুরো সংবাদটি এখানে কপি করে তুলে ধরা হল--

//

"প্যারাডাইস পেপারস আর পানামা পেপারস নিয়ে যখন কলঙ্কিত বিশ্ব রাজনীতি। রাজনীতির সঙ্গে যখন দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাচ্ছে, তখন তার আশ্চর্য ব্যাতিক্রম কয়েকজন। পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস, বিশ্বের ৫ জন সরকার রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব রাজনীতিতে যাদের সৎ ভাবা হতো, যাদের অনুকরণীয় মনে করা হতো – তাদের অনেকেই কলঙ্কিত হয়েছেন পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসে। রানি এলিজাবেথ থেকে শুরু করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডার নাম এসেছে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনে। পানামা পেপারস এর ধাক্কায় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন নওয়াজ শরিফ, আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর ডেভিড গুনলাগসন। তথাকথিত সৎ দেশগুলোকে কাঁপিয়ে দিয়েছে গোপনে কর স্বর্গে বিনিয়োগের ফাঁস হওয়া তথ্যভাণ্ডার।

বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ এই প্রেক্ষাপটে সৎ নেতার সন্ধান করেছে। ৫ টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেতৃত্বের সততার মান বিচার হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন ছিল, সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে তিনি কি তাঁর রাষ্ট্রের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ক্ষমতায় আসীন হবার পর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ কতটুকু বেড়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, গোপন সম্পদ গড়েছেন কিনা। চতুর্থ প্রশ্ন সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা। আর পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, দেশের জনগণ তাঁর সম্পর্কে কী ভাবেন?

এই ৫ টি উত্তর নিয়ে পিপলস অ্যান্ড পরিটিক্স ১৭৩ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করেছে। এই গবেষণায় সংস্থাটি এরকম মাত্র ১৭ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যাঁরা শতকরা ৫০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকার প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ৫ টি প্রশ্নে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯০। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, ৮৮ পেয়ে সৎ সরকার প্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮৫ নম্বর পেয়ে বিশ্বে চতুর্থ সৎ সরকার প্রধান বিবেচিত হয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলাবার্গ। আর ৮১ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সের গবেষণায় দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সংস্থাটি গবেষণায় দেখেছে, বেতন ছাড়া শেখ হাসিনার সম্পদের স্থিতিতে কোনো সংযুক্তি নেই। শেখ হাসিনার কোনো গোপন সম্পদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে পিপলস অ্যন্ড পলিটিক্স। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ৭৮ ভাগ মানুষ মনে করেন সৎ এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসার উর্ধ্বে। তবে, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়েছে।

//

সংবাদের মূল কথাটি শিরোনামেই আছে। একটি গবেষণায় শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ৩য় সৎ সরকারপ্রধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষণা পরিচালনাকারী সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, 'পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স' (Peoples and Politics)।

কিন্তু এই নাম দিয়ে গুগল সার্চ করে কোনো সংস্থার নাম পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনো সংস্থার অধীনে Peoples and Politics শিরোনামে কোনো গবেষণা পরিচালিত হওয়ার কোনো প্রমাণ/তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া 'world's honest leaders', 'world's honest politicians', 'Honest World Leaders' ইত্যাদি কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করেও কোনো প্রাসঙ্গিক ফলাফল পাওয়া যায়নি। শুধু প্রথম কীওয়ার্ডের সার্চে বাংলা ইনসাইডার পোর্টালটির ইংলিশ ভার্সনের একটি সংবাদ এসেছে “Sheikh Hasina world's 3rd honest politician”.

(গুগল সার্চে স্ক্রিনশট)

ইনসাইডারের সংবাদের দেয়া ‘সৎ নেতাদের তালিকা’য় শেখ হাসিনার নামের আগে বা পরে থাকা নেতাদের নামের পাশে ‘honest politician’ লিখে সার্চ দিয়েও প্রাসঙ্গিক কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। অথচ, এইসব নেতাদের দেশের সংবাদমাধ্যমে (ইংরেজি ভাষার) তাদের ‘সততার র্যাংকিংয়ে’ শীর্ষস্থানীয় হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক ছিল। অন্তত এসব দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ার বিষয়টি ইনসাইডারের কথিত সংবাদটি যে ‘ভুয়া’ তার ইঙ্গিত দেয়।

(গুগল স্ক্রিনশট)

Peoples and Politics নামে যে সংস্থাটির বরাতে সংবাদ প্রকাশ করা হলো সেটি অস্তিত্ব গুগলে না পাওয়া রীতিমতো বিস্ময়কর। বিশ্বের ১৭৩ দেশের রাষ্ট্রনায়কদের নিয়ে গবেষণা চালানো কোনো সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই! শুধু তাই নয়, এ নামটিরও কোনো অস্তিত্ব গুগল স্বীকার করছে না! এ কেমন সংস্থা? আবার সেই সংস্থার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের-- যেখানে এত দেশ এবং এত এত নেতাকের সততার সার্টিফিকেট দেয়া হল-- সংবাদ দুনিয়ার কোনো সংবাদমাধ্যম জানলো না! শুধু জানলো বাংলাদেশের একটি ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল বাংলা ইনসাইডার, যেটির বিরুদ্ধে নিকট অতীতে একাধিক জঘন্য ভুয়া সংবাদ প্রচারের অভিযোগ রয়েছে (এ বিষয়ে নিচে আলাদা কিছু প্রমাণ দেয়া হবে)।

আবার ইনসাইডারের এই সংবাদ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোনো সংবাদমাধ্যমও আমলে নিলো না! প্রথম আলো থেকে শুরু করে কোনো উল্লেখযোগ্য পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল শেখ হাসিনার ‘৩য় সৎ সরকারপ্রধান’ হওয়ার খবর প্রকাশ বা প্রচার করার মতো বিশ্বস্ত কোনো সূত্র পায়নি।

উল্লেখযোগ্য পত্রিকার মধ্যে একমাত্র দৈনিক কালের কণ্ঠ সংবাদটি প্রকাশ করেছিল বুধবার। “শেখ হাসিনা বিশ্বের তৃতীয় সৎ সরকারপ্রধান” শিরোনামে। লিংক: http://www.kalerkantho.com/404

কিন্তু পরে সংবাদটি ভুয়া নিশ্চিত হয়ে সেটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলে কালের কণ্ঠ। উপরের লিংকটিতে ক্লিক করলে 404 সিগনাল আসে।

(কালের কণ্ঠের দুইটি স্ক্রিনশট)

শেখ হাসিনা: বিশ্বে চতুর্থ কর্মঠ সরকারপ্রধান:

বাংলা ইনসাইডারের গত ১২ নভেম্বরের আরেকটি ভুয়া সংবাদ হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা: বিশ্বে চতুর্থ কর্মঠ সরকারপ্রধান’। অস্তিত্বহীন Peoples and Politics এর নামে এই সংবাদটিও উৎপাদন করা হয়।

(বাংলা ইনসাইডার’র রিপোর্টের স্ক্রিনশট)

গুগলে বিভিন্নভাবে সার্চ করে এই সংবাদটিতে দাবি করা কোনো তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ধরনের কোনো গবেষণা নিকট অতীতে কোথাও হয়েছে এরও প্রমাণ মেলেনি। এমনকি অতীতে কখনো হয়েছে কিনা তার কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি।

শেখ হাসিনার নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে ইনসাইডারের প্রতিবেদন:

গত অক্টোবরে এই বাংলা ইনসাইডার শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় বলে ভুয়া খবর প্রচার করেছিল। যদিও নোবেলের সংক্ষিপ্ত তালিকা একটি গোপনীয় ব্যাপার, যা সাংবাদিকরা শুধু নন, সংশ্লিষ্ট বছরের নোবেল শান্তি বিজয়ী ব্যক্তিটিরও জানার সুযোগ নেই। বলাই বাহুল্য, ইনসাইডারের 'নোবেল শান্তির সংক্ষিপ্ত তালিকায় শেখ হাসিনা' এবং ‘দয়া করে ফোনের কাছেই থাকুন’ শিরোনামের সংবাদ দুটি ভুয়া প্রমাণিত হয়েছিল।

পড়ুন এ সম্পর্কিত বিডি ফ্যাক্টচেক’র প্রতিবেদন:

শেখ হাসিনা কি নোবেল শান্তির সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন?

সংবাদমাধ্যমগুলো নীরব!

তিন দিন ধরে একটি ভুয়া সংবাদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার পর সেটি জাতীয় সংসদে গড়িয়েছে। সংসদে এই ভুয়া সংবাদটি নিয়ে যা হয়েছে তা সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসস এর প্রতিবেদন থেকে তুলে ধরা যাক।

বাসস "সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী" শিরোনামের প্রতিবেদনে লিখেছে--

//

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘মুত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে জীবন বাজি রেখে আমি কাজ করছি। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই আমার সরকারের মূল লক্ষ্য।’

জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ নামক সংস্থার দু’টি গবেষণা প্রতিবেদন সম্পর্কিত এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ধন সম্পদ মানুষের চিরদিন থাকে না, মানুষকে মরতে হয়। সব রেখে চলে যেতে হয়। তবুও মানুষ অবুঝ। সম্পদের লোভে সে অস্থির হয়ে পড়ে এটা ঠিক। এটা মানুষের একটা স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এই প্রবৃত্তিটাকে যে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সেই পারে দেশকে কিছু দিতে, জনগণকে দিতে। আমরা এখানে দিতে এসেছি।’

পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ নামক সংস্থার গবেষণায় ১৭৩টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করে তারা শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ৩য় সৎ সরকার প্রধান হিসেবে এবং বিশ্বের ৪র্থ কর্মঠ সরকার প্রধান হিসেবে অভিমত দিয়েছে।

সবচেয়ে সৎ সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের তালিকার শীর্ষে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এবং দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং। অন্যদিকে কর্মঠ সরকার প্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনা রয়েছেন ৪র্থ স্থানে। এরআগে চীন, ইরান এবং তুরষ্কের রাষ্ট্র প্রধানরা রয়েছেন।"

//

লক্ষ্য করার বিষয় হল, ইনসাইডারের দুটি ভুয়া প্রতিবেদনের বরাতে দেয়া সংসদ সদস্যের বক্তব্যের পাশাপাশি বাসসও নানা ভুয়া তথ্য নিজেদের মতো করে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরেছে! এতে ভুয়া সংবাদটিকে 'বিশ্বাসযোগ্য' করে তোলার প্রচেষ্টা স্পষ্ট।

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, সমকাল, ইত্তেফাক ইত্যাদি পত্রিকাগুলোসহ সব টিভি চ্যানেল নিজেরা বাংলা ইনসাইডারের মতো করে ভুয়া তথ্যের আলোকে ‘শেখ হাসিনা বিশ্বের ৩য় সৎ সরকারপ্রধান’ এমন প্রতিবেদন প্রকাশ/প্রচার করেনি। কিন্তু সংসদে যখন এই ভুয়া তথ্যটি নিয়ে এত হইচই হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী এমন ভুয়া তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, সাথে জনগণকেও বিভ্রান্ত করা হচ্ছে- তখন আশ্চর্য্যজনকভাবে এসব পত্রিকা নীরব! সমাজে ভুয়া তথ্য ছড়ানো রোধ করা এবং এর মাধ্যমে ভুয়া ইতিহাস তৈরি হওয়ায় বাধা দেয়া সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্ব। কোনো সত্যিকারের গবেষণা বা তদন্ত প্রতিবেদনে যদি কোনো দেশের সরকারপ্রধান বিশ্বের অন্যতম সৎ ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হোন তাহলে সেটি অবশ্যই বড় সংবাদ। বাংলা ইনসাইডারের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সত্য হলে বাংলাদেশের শীর্ষ সব গণমাধ্যম সেই বড় সংবাদটি গত দুই দিনে প্রকাশ করেনি কেন? আর যদি তারা জেনে থাকে যে, ইনসাইডারের সংবাদটি ভুয়া তাহলে কেন সংসদে এই ভুয়া তথ্য আলোচিত হওয়ার পর নিজেদের সংবাদ প্রতিবেদনে তথ্যটির অসত্যতা তুলে ধরেনি, ধরছে না?

সূত্র ঃ

http://www.bdfactcheck.com/factcheck/29

বিষয়: বিবিধ

১১৫৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384485
২৩ নভেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:২৯
হতভাগা লিখেছেন : এই খবর বাংলাদেশের ৮৭% মানুষ বিশ্বাস করেছে। ব্রুট মেজরিটি পেতে কত % আসন পাওয়া লাগে ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File