জামায়াত ইসলামীর ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে ফতোয়া দানকারী আলেমদের উদ্দ্যেশ্যে
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৩ অক্টোবর, ২০১৭, ০৬:৫৬:১০ সন্ধ্যা
সুবিধা মতো জায়গায় ফতোয়া প্রদান করে ফেতনা সৃষ্টিকারী আলেমরা যদি তাদের ফতোয়ার উপর আমল করতো, আল্লাহর কসম, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হওয়ার আগে বাতিলের আঘাতে ফতোয়াবাদী আলেমদের গর্দান যেতো।
মুখে জিহাদের কথা বলবেন, গণতন্ত্র মানি না বলবেন, আর নাগরিক কার্ডের জন্য লাইন ধরবেন, পরীক্ষার সার্টিফিকেটেও গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা আছে, আর বলবেন গনতন্ত্র মানি না!
মেনেও সকল সুবিধা ভোগ করেও যে বলে মানি না, অথচ ভিতরে ভিতরে সব কিছুই মানে, আর যাতে কোন ইসলামী শক্তি বাতিলের সামনে মাথা উঁচু করে না দাঁড়াতে পারে, সেই জন্যই এদের মন গড়া ফতোয়ার কথা মনে পড়ে, এটা কি আরেক বাটপারী না?
যদি সত্যিই এরা এদের কথা গনতন্ত্র বিরোধী আন্দোলন করতো, যা কিছুকে তারা হারাম বলে তার উপরে যদি নিজেরা আমল করতো, জিহাদের পক্ষে যদি ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে তারা অটল থাকতো, এক একটার গায়ে জুব্বা তো দূরের কথা এদের গর্দান খুঁজে পাওয়া যেতো না, বর্তমান সময়ে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম তো দূরের কথা ইসলামী নেতৃত্বে যাদের অস্তিত্বই নেই, তাগুতের বুকে বসবাস করে এদের মুখে ফতোয়া আসে কি করে?
গণতন্ত্র নাজায়েজ বলা, একমাত্র মনে হয় জামায়াতের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়াই এদের কাজ, হরতাল দীর্ঘদিন হয়ে আসছে, তখন জামায়াতের হরতাল করার মতো এতো পরিমান জনশক্তি ছিলো না, অন্যান্যরা যখন হরতাল করেছে তখন জায়েজ ছিলো, জামায়াতের সময় এসে তা নাজায়েজ হয়ে গিয়েছে, অথচ যাত্রাবালার উদ্ভোধনীর জন্য এদের পকেটে হাদীয়া পৌছানো জায়েজ, জনগনের লুন্ঠনের হারামের টাকা দানের নামে এদের পকেটে ভরা জায়েজ।
এদের কথাগুলো শুনে মনে হয় প্রথমত আপনি বাংলাদেশ তো দূরের কথা, পুরো বিশ্বের কোথাও নেই, হয় তো আদি কালে আছেন, অথবা মঙ্গল গ্রহ বা সৌর জগতের কোথাও অবস্থান করছেন, যেখান থেকে আপনি কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবেন জিহাদ করবেন, আর উপর থেকে কেউ আপনার জন্য অস্ত্র সাপ্লাই দিবে, আসলে আপনার পাঁয়ের নীচে মাটি আছে তো! বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আপনি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মাইর ধর খেলে তার জবাব কি দিবেন।
সবাই তাগুতের পক্ষে, আপনি বিপক্ষে প্রমাণ দিন, অন্যরাতো ফাঁসিতে ঝুলছে, আপনার কেন এখনো জিহবা কেটে নেয়া হয় নাই,সাহস থাকলে তাগুতের পেছনে লড়াই করতে যান না, কেন তাগুতের পক্ষ হয়ে জামায়াতের পেছনে লাগতে এসেছেন, আজকের বাজারে বিরানীর রেট কতো? আপনার ঈমানের চাইতেও কি বেশী? প্রিয় পাঠক, অবাক হবেন, কেবল দাওয়াত খাওয়ার নামে এবং জনগণের অর্থ লুন্ঠনকারীদের দানে এদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ১০ তলা বিল্ডিং বানিয়েছে , এমনও নজীর আছে।
গনতন্ত্রকে কুফরী বলে এমন কুফরী দেশে বসবাস করে আপনি তো দেখি মোনাফেকদের পক্ষ অবলম্বনই করলেন! আর নিরবে বসে থেকে তাগুতের গোলামী কি ইসলাম সমর্থন করে? আর যদি প্রতিবাদই করতে হয় তার ভাষা কি?
ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলে গেলাম, যারা কোরআনের বরাত দিয়ে হরতাল বিরোধী ফতোয়া দেয়, পবিত্র কোরআনের কোথাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে চুপ থাকতে বলা হয় নাই, সুতরাং সেই প্রতিবাদের ভাষা যদি জামায়াতে ইসলামী হরতাল দিয়ে করে থাকে, বসে বসে গনতন্ত্র হারাম ফতোয়া দিয়ে গণতন্ত্রের সকল সুবিধা হাতিয়ে নেয়া আলেমদের থেকে জামায়াতে ইসলামী জিহাদের পথে কোটি গুন এগিয়ে আছে, ইনশা আল্লাহ।
কোরআনে যে পরিমান জিহাদের আয়াত আছে, এর চেয়ে উত্তম পদ্ধতি যদি কেউ আবিস্কার করে দেখাতে পারো যদি হিম্মত থাকে ধান্দাবাজী ফতোয়া দেয়ার আগে ফতোয়া বাস্তবায়ন করে দেখাও, তোমাদের কতটুকু রক্ত দেয়ার হিম্মত আছে জাতি দেখতে চায়, যে পথ থেকে জামায়াতে ইসলামী কখনো এক বিন্দুও সরে আসে নি, নাকি তা কেবল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ফতোয়া শুরু করে রাতের আধারে তাগুতের সাথে বুক মিলিয়ে দেয়ার মতো নীচক ঘটনা।
কিছু রোগ আছে, মরার পরে ভালো হয়, তবে ছোঁয়াছে হওয়ার কারণে তার আগে অনেকের মাঝে ভাইরাস ছড়ায়, যে ভাইরাসগুলো ঈমানকে ধ্বংস করে দেয়, আল্লাহ আমাদের এমন ধরণের ভাইরাসগুলো থেকে হেফাজত করুক, আমীন।
Abul Bayan Helali ভাইয়ের.ফেসবুক :টাইমলাইন থেকে
বিষয়: বিবিধ
৭৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরকম হরতাল মাসে ৩/৪ টা দেওয়া যায় না ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন