সিনহার আবেদনে এতো ভুল ! ছুটির আবেদন কি অন্য কেউ লিখেছেন?
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৪ অক্টোবর, ২০১৭, ০৬:২৯:৪৫ সন্ধ্যা
সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা এক মাসের ছুটিতে যাওয়া নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকারের চাপের মুখে প্রধান বিচারপতিকে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি (প্রধান বিচারপতি) এখন সরকারের কাঠগড়ায়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ নাকচ করে দেয়া হচ্ছে।
কী ছিল প্রধান বিচারপতির ছুটি নেয়া সেই চিঠিতে? বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন এসকে সিনহার সেই চিঠি।
রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রধান বিচারপতির লেখা চিঠির ‘বিষয়’ এ লেখা হয়েছে- ‘অসুস্থতাজনিত কারণে ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটির আবেদন।’
এরপর লেখা হয়েছে, ‘মহাত্মন, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি গত বেশ কিছুদিন যাবত নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভুগছি। আমি ইতোপূর্বে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছি। আমার শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্রামের একান্ত প্রয়োজন। ফলে আমি আগামী ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটি ভোগ করতে ইচ্ছুক।’
আরও লেখা হয়েছে, ‘এমতাবস্থায় আগামী ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ (ত্রিশ) দিনের ছুটির বিষয়ে মহাত্মনের সানুগ্রহ অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’
চিঠির নিচে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বাক্ষর রয়েছে।
আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের পুরো চিঠিটি পড়েও শোনান।
মজার ব্যাপার হচ্ছে তার আবেদন পত্রের লাইনে লাইনে ভুল । লেখা হয়েছে অমি( হবে আমি ) । আবার লেখা হয়েছে ‘অক্রান্ত’ । হবে আক্রান্ত।
আর্মির ক্যু’তে প্রধান বিচারপতির চেয়ারচ্যুতি
আর্মি জেনারেলদের ব্যবহার করে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বাবুকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর অজানা কাহিনী শুনুন। খুব ঘনিষ্ঠ সোর্স থেকে পেলাম ভেতরের আসল এবং ১০০% সত্য খবর। মাত্র কয়েক মিনিটের অপারেশনে সিনহা বাবু কুপোকাত।শরৎকালীন ভ্যাকেশন শেষ হলো। অনেকদিন পর কোর্টের কার্য্যক্রম শুরু হলো।সিনহা বাবু সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে সুপ্রীম কোর্টে এলেন। একটি অনুষ্ঠানের ভেন্যুও ভিজিট করলেন। ভিজিট শেষে নিজ অফিসে বসলেন।
এমন সময় সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে আওয়ামী কিছু সিনিয়র আইনজীবির গোপন সহযোগিতায় সিভিল ড্রেসে প্রধান বিচারপতির অফিস রুমে ঢুকলেন কয়েকজন আর্মি জেনারেল। উল্লেখ্য, এই আর্মি জেনারেলরা রাতের অন্ধকারে সুপ্রীম কোর্টে ভবনে ঢুকেছিলেন এবং তারা প্রধান বিচারপতির অফিসের পাশের একটি রুমে আত্মগোপনে ছিলেন। আর্মির এই আওয়ামী জেনারেলরা রুমে ঢুকেই কোমর থেকে অস্ত্র বের করে সিনহা বাবুর বুকের দিকে তাক করে বলে, ‘এই কাগজে স্বাক্ষর করো।’
পদত্যাগপত্র একটা ওরা রেডি করে নিয়ে গিয়েছিলো। সেটাতেই ভয়ে স্বাক্ষর করলেন সিনহা বাবু। স্বাক্ষর শেষ হলে প্রধান বিচারপতির অফিসের পাশে বিল্ডিং এর নীচে রাখা গাড়িতে এনে জ্বোরপূর্বক উঠায়ে উনাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয় আর্মি জেনারেলরা। এরপর তাকে তার বাসায় কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়। কার্যত গৃহবন্দি সিনহা বাবুর সাথে কেউ কথা বলতে পারছেন না।
শরৎকালীন ভ্যাকেশন শেষে সাধারণত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সে সুযোগও পাননি ওই দিন তিনি। এর আগেই তাকে কোর্ট এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। অথচ সিনহা বাবু আগেই চিঠি দিয়ে সোমবারের গেট টুগেদারে আইনজীবিদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ইতিহাস বলে, কখনও কোনো প্রধান বিচারপতি দাওয়াত করে এভাবে ছুটি নিয়ে চলে যান নাই।
সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম একবার আইনজীবিদের এভাবে দাওয়াত করে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি হাঁটতে পারছিলেন না, স্ট্রেচারে করে এসে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আর সিনহা বাবু সেই গেট টুগেটার ছিলো সকাল সাড়ে দশটায়, কিন্তু সেই গেট টুগেটারে অংশগ্রহণ করার সময় আসার আগেই কোর্টে এসে ওদের দেওয়া কাগজে স্বাক্ষর করে চলে গেলেন।
আবেদনের কপি দেখেন। প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি বরাবর এরকম একটা সাদামাটা ছুটির আবেদন কি করতে পারেন? আর ছুটির আবেদনে দেখেন কতগুলো বানান ভুল। এটা ওখানে বসে বসে আর্মি জেনারেলরা তাড়াতাড়ি এটা তৈরী করায় এটা সাদামাটা এবং শুধু বানান ভুল আর ভুল রয়ে যায়। প্রধান বিচারপতির ছুটির আবেদনে কপি দিলাম। তাঁকে যে জ্বোর করে গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হয়, সে ছবি এখোনো হাতে আসেনি। আসলে সেটাও দেবো।
সূত্র :বিডি টুডে!
বিষয়: বিবিধ
৬৫৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন