দূর্গা পূজার ইতিকথা।

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৭:২১:২৬ সন্ধ্যা

ইংরেজদের তোষণ করতে পলাশী যুদ্ধের বিশ্বাসঘাতক নবকৃষ্ণ দুর্গাপুজা চালু করে

========

গত ১৮ই অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে দৈনিক সংবাদে ‘দুর্গাপূজার ঐতিহাসিক মূল্যায়ন এবং সর্বজনীনতা’ নামক প্রবন্ধে লেখক সঞ্জিব কুমার দেবনাথ লেখেন-

\\\......ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে রাধারমন রায় তার 'কলকাতার দুর্গোৎসব' শীর্ষক প্রবন্ধে বলেছেন- মনুষ্যজগতে সর্বপ্রথম দুর্গাপূজা শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া এবং কলকাতায়। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন তারিখে পলাশীর রণাঙ্গনে মীরজাফরের বেইমানির দরুন ইংরেজ সেনাপতি ক্লাইভের হাতে নবাব সিরাজদ্দৌল্লার পতন ঘটে। ক্লাইভের পরামর্শে নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র এবং কলকাতার নবকৃষ্ণ বসন্তকালীন দুর্গাপূজাকে শরৎকালে পিছিয়ে এনে পলাশী যুদ্ধের বিজয়-উৎসবরূপে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু করে যা পরবর্তীতে পলাশী যুদ্ধের স্মারক-উৎসবে পরিণত হয়। .................................................রাজা সুরথ এবং সমাধির শরৎকালে দুর্গাপূজা করার বিষয়টির কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। কারণ মার্কয়ে পুরাণের কাহিনী অনৈতিহাসিক। রাবন বধের আগে রামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাদেবীর অকালবোধন করেছিলেন বলে যা কথিত আছে, তা কৃত্তিবাসের রামায়ণে পাওয়া গেলেও বাল্মীকির রামায়ণে নেই। সুতরাং গল্পটির জন্ম কৃত্তিবাসের কল্পনায় এবং দুর্গামূর্তি বাঙালির নিজস্ব কল্পনার বস্তু। কারণ এখনও বাঙালি ছাড়া অন্য কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে এ মূর্তি পূজার প্রচলন বিশেষ নেই। উল্লেখ্য, মাঝখানে সুদীর্ঘকাল বাঙালি জনসাধারণের সঙ্গে এ মূর্তিপূজার সম্পর্ক ছিল না। যেমন : রাজা শশাঙ্কের আমলে বাঙালিদের মধ্যে শিবপূজার আধিক্য ছিল, দুর্গাপূজার উল্লেখ পাওয়া যায় না। ..........................প্রকৃতপক্ষে অতীতে নবপত্রিকা পূজা হতো শরৎকালে। দুর্গাপূজা হতো বছরের শ্রেষ্ঠ ঋতু বসন্তকালে। যখন প্রকৃতি ফুলে ফলে রঙিন হয়ে উঠত তখন গরিব প্রজাদের কাছ থেকে খাজনার নামে ছিনিয়ে আনা রক্তরাঙা টাকায় রাজা-জমিদাররা জৌলুশ জাহিরের জন্য দুর্গাপূজা করতেন। এ পূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে পরিচিত ছিল। দুর্গাপূজার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল মূর্তি আর নবপত্রিকা পূজার সঙ্গে জড়িয়েছিল নয়টি উদ্ভিদ। পরে এ দুটিকে গুলিয়ে একাকার করে ফেলা হয়েছে। মূলত ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের বিজয় উৎসব পালন করার জন্য বসন্তকালের দুর্গাপূজাকে শরৎকালে নিয়ে এসে নবপত্রিকা পূজার সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়। এজন্যই শরৎকালের দুর্গাপূজার বোধনের দনকার হয় এবং নবপত্রিকা পূজা সম্পন্নের পর দুর্গাপূজা করতে হয়।.....\\\\\\\

(সূত্র: http://archive.is/omrDF )

উল্লেখ্য দূর্গা পূজার প্রচলণকারী মুন্সি নবকৃষ্ণ পলাশীর যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করে সমস্ত টাকা-পয়সা ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিলো। তাই ইংরেজরা খুশি হয়ে তাকে ‘রাজা’ উপাধি দেয়। ১৭৫৭ সালে সেই নবকৃষ্ণের ‘শোভাবাজার রাজবাড়ি’ বাড়িতে চালু করা দূর্গা পূজা এখনও্ কলকাতায় শোভাবাজার রাজবাড়ির পূজা হিসেবে বহাল আছে।

সবার শেষে একটা প্রশ্নই শুধু করবো-

যে ইতিহাসের সাথে বাংলার পতন, বিশ্বাসঘাতকতা ও ২০০ বছরের পরাধীনতা জড়িয়ে আছে, সেটা বাংলায় উৎসব হয় কি করে ??

বিষয়: বিবিধ

৮৬৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384059
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০৮:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : দাদারা ইংরেজদের গোলামী করতে রাজী তবুও মুসলমানদের এগিয়ে যাওয়া সহ্য করবে না ।
384061
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:০৫
আবু জারীর লিখেছেন : যারা এই পুজা করে তারা কোন বোকার স্বর্গে বাস করে তা তারা নিজেরাও বলতে পারবেনা। না হলে ধর্মের নামে কেউ কি অধর্মের কাজ করে? এরা যদি এদের ধর্মীয় কেতাব পড়ত তাহলে নিজেরো বুঝতে পারত যে এটা কত বড় অধর্মের কাজ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File