অধিকার আছে আমারও!!!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৮ আগস্ট, ২০১৭, ০৮:১৭:২৩ সকাল

বাংলাদেশের সংবিধানকে সব চেয়ে বেশী ধর্ষণ বা বলাত্কার করেছে আওয়ামী লীগ। কথিত গণতন্ত্র আর স্বাধীনতার সংগ্রামের নেতৃত্বের আসনে থেকে দেশ থেকে গণতন্ত্রের চিহ্ন টুকু মুছে দিতেই শেখ মুজিব বাকশাল কায়েমের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। গণমানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে চির তরে স্তব্ধ করে দিতেই হিংস্র হায়েনার মতো রক্ষীবাহিনীর জন্ম দিয়েছিলেন। অবশেষে সেই "বাকশাল " কিংবা "রক্ষী বাহিনী " কেউই তাকে নির্মম পরিণতি থেকে বাঁচাতে পারেনি। ভয়ঙ্কর ভাবেই তার জাতির উপর বিশ্বাঘাতকতার মাশুল দিতে হয়েছে। তার মৃত্যুতে তাই জাতি "ঈদের আনন্দ " নিয়ে উত্সব করেছে।

সেই উত্সবের প্রতিশোধ নিতেই শেখ হাসিনা রাজনীতিতে এসেছিলেন। ভারতের দাদাবাবু আর এ দেশের ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী ক্রীড়নকদের সহায়তায় জাতিকে উচিৎ শিক্ষা দিতে আজ শেখ হাসিনা অনেকটাই সফল। রাজ পথে হাজারো তান্ডব চালিয়ে, অফিসগামী কর্মকর্তাদের "ন্যাংটা " করে যে পিশাচ তন্ত্রের জন্য শেখ হাসিনা আর তার চেলারা "আন্দোলন " করেছিল সেই পিশাচ তন্ত্রই এখন তাদের ক্ষমতার মসনদ. রক্ষা করার একমাত্র হাতিয়ার। সেই পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে জাগারণ দেখলেই আওয়ামী হায়েনাদের হৃদপিণ্ডে মহাপতনের আশঙ্কা ছড়িয়ে পরে।

বাংলাদেশের কিংবা বলতে গেলে বিশ্বের কোন দেশের ইতিহাসে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মত এমন শয়তান বিচারপতি একজনও পাওয়া যাবেনা। মুন সিনেমা হলের মালিকানা সংক্রান্ত মামলার জের ধরেই এই "ত্রাণখোর " বিচারপতি নামের কলন্ক সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেছিল। সেই মামলার রায়ে সে (এই লোকটাকে তিনি বলে সম্বোধন করতে আমার বিবেকে বাঁধে) অনেক সুন্দর (আপাত দৃষ্টিতে) পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল। কিন্তু অবসরে গিয়ে যখন রায়ের লিখিত কপি দেয় সেখানে সে ভালো পর্যবেক্ষণ গুলো বাদ দিয়ে হাসিনার নেমক হারামীকে জায়েজ করে। কিন্তু এখন বর্তমান প্রধান বিচারপতির দেওয়া রায়ের সুন্দর ও দেশবাসীর জন্য কল্যাণকর পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় সে উচ্চ কন্ঠ। শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের মত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগও আজ বিচার বিভাগের উপর চড়াও হয়েছে। কারণ এই বিচার বিভাগই এখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক মাত্র আশ্রয়স্থল। ক্ষমতার নামে, দেশ শাসনের নামে RAB, পুলিশ আর আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী দিয়ে জনগণের কণ্ঠ অনেকটাই স্তব্ধ করা গেলেও তারা আশ্বস্ত হতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষকে চিরতরে ইন্ডিয়ার গোলাম বানিয়ে রাখার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। তার পথে যেটুকু বাঁধা এখনও আছে তাও উপরে ফেলতে এখন তারা বদ্ধ পরিকর.। তাইতো প্রধান বিচারপতিকে শায়েস্তা করতে হাসিনা এখন মরিয়া। প্রধান বিচারপতি হিন্দু হলেও সত সাহসের পরিচয় দিয়ে দেশের মানুষের আকাংখার সাথে সংগতিপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এতে বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তো এখন আর সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে চলেন না। এখন নব্য রক্ষীবাহিনী ই তার একমাত্র ভরসা। তাই সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যেই সামনে আসবে, ততপরতা দেখাবে তাকেই রক্ষীবাহিনীর ভয় দেখিয়ে স্তব্ধ করে দেবে।

শেখ হাসিনা এখন প্রধান বিচারপতির দেওয়া পর্যবেক্ষণ বিষয়ে তার হায়েনা সরকারের মনোভাব তুলে ধরতে রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে। তো শেখ হাসিনার যদি অধিকার থাকে রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার তাহলে আমারও নিশ্চয়ই সে অধিকার আছে। কিন্তু জানি আওয়ামী নির্বাচিত হাসিনার পুতুল রাষ্ট্রপতির কাছে আমার প্রতিক্রিয়া জানানোর কোন অপশন নেই। আমি এই ব্লগের ডিজিটাল পাতায় আমার প্রতিক্রিয়া লিখে রাখলাম। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ সময়োপযোগী। এতে আওয়ামী হায়েনাদের গায়ে আগুন লাগলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু খুবই খুশি। এরই জের ধরে যদি আর একটি 15 ই আগস্ট এর জন্ম হয় তাহলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আরও একবার 75 এর 15 আগস্টের মত "ঈদের আনন্দে " ভাসবে এ কথা আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি।

বিষয়: বিবিধ

৬৮০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383806
১৮ আগস্ট ২০১৭ সকাল ০৯:৩৮
হতভাগা লিখেছেন : ৮৭% আসন দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে । যেটার বলে তারা ব্রুট মেজরিটি পেয়েছে এবং পেয়েছে সংবিধানকে ইচ্ছেমত সংশোধনের ক্ষমতাও।

383807
১৮ আগস্ট ২০১৭ দুপুর ০২:১১
চেতনাবিলাস লিখেছেন : কবে এবং কিভাবে 87% আসন দিল মানুষ? এ তো জোর করে ভালবাসার নামে ধর্ষণের নামান্তর।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File