বিচারপতি নিজেই যখন খুনের মামলার চার্যশিট ভুক্ত আসামী!!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৯ আগস্ট, ২০১৭, ০৬:৪৮:৪৪ সকাল
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ছয় জন নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছেন বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু নিজেও তাঁর ছাত্রজীবনে খুনের মামলার প্রধান আসামী ছিলেন।
১৯৮৮ সালের ১৭ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল লতিফ হলের ছাত্রশিবির কর্মী আসলামকে তার কক্ষে হত্যা করা হয়েছিল। পরদিন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় ৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় প্রধান আসামী ছিলেন তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু। মামলার এজাহারে বলা হয়, রুহুল কুদ্দুস বাবু কিরিচ দিয়ে আসলামকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
আসলাম হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহ আলমের নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও মামলায় পুলিশি তদন্তের পরই প্রধান আসামী রুহুল কুদ্দুস বাবুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জ গঠনের ওপর শুনানি শেষে আদালত বাবুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে।
মামলাটি নিম্ন আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল মহাজোট সরকার এই মামলা থেকে রুহুল কুদ্দুস বাবুসহ ৯ জনের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
এর তিনদিন পরে (১১ এপ্রিল ২০১০) রুহুল কুদ্দুস বাবুসহ ১৭ জনকে হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়।
রুহুল কুদ্দুস বাবুর নিয়োগ নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রতিবাদের মুখে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম শুরুতে বাবুকে শপথ পাঠ করাননি।
বিচারপতি ফজলুল করিমের পর প্রধান বিচারপতি হন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, যিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকই ৪ নভেম্বর ২০১০ তারিখে এই বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসকে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ পড়ান। collected
তথ্যসূত্র: tinyurl.com/ycr2s3rs
tinyurl.com/y9nvaudb
tinyurl.com/yakjv7lj
tinyurl.com/y8emvv3z
বিষয়: বিবিধ
৮১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন