এক কিংবদন্তী ধর্ষক ও খুনির ইতিকথা!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৭ আগস্ট, ২০১৭, ০৮:১৮:৩৮ রাত
( এটা ফেসবুক থেকে কপি করা লেখা)
কেমন ছিল শেখ কামাল?
মনে করায়ে দিলো ভন্ড পীর হাবিব। সে তার পূর্বপশ্চিমে ছেপেছে-
“যেমন ছিলেন শেখ কামাল!” সেখানে আরও লিখেছে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সামনে আইকন ছিল কামাল, তারুণ্যের প্রতীকী চরিত্র!! সেই সাথে মনে পড়ে যায় গেলোবছর বড় বোন হাসিনার ডায়লগ, “শেখ কামাল ছিল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং বেঁচে থাকলে সে জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতো!”
আবার একটু দেখি- কেমন প্রতিভাবান ছিল মহামতি কামাল?
এপিসোড এক:
আইউব খানের আমলে ঢাকার ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতো পাঁচ পাথর। দেশ স্বাধীনের পর পাঁচ পাথরের স্থানে যায়গা নেয় আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। বাকিদের ছাত্র রাজনীতিকে পায়ের তলায় গুড়িয়ে দেবার জন্য শেখ কামালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী চালনা করে ছাত্রলীগ। কামালের আশ্রয়ে জন্ম নেয় আওরঙ্গ, লুকু, হান্নানদের মত ভয়ানক খুনি সন্ত্রাসীরা। তাদের ফ্যাসিস্ট কর্মকান্ডের ফলে ক্যাম্পাসে ভিন্নমতাবলম্বী ছাত্র সংগঠনগুলি ছিল সব সময়েই কোনঠাসা।
শুধু অন্য ছাত্র সংগঠনের ছাত্রদের পিটিয়ে সোজা করাই নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানোও কামাল বাহিনীর কাজ হয়ে পড়ে। চুহাত্তরের ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারের প্রভাত ফেরী শেষে বাড়ি ফিরতে থাকা ১৭ জন ছাত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায় কামাল বাহিনী। তাদের লালসার শিকার হয়ে লোকলজ্জা এবং আরো ভয়াবহ নির্যাতনের আশংকায় তারা হয়ে যায় নিভৃতচারী। সংবাদপত্রগুলি ভাসা ভাসা এবং কম গুরুত্ব দিয়ে খবরটি ছাপে। তবে তখনকার ঢাবি স্টুডেন্টদের স্মৃতির মণিকোঠায় খবরটি ঠিকই রয়ে যায়। এরপর মহসিন হলের এক শিক্ষক প্রোভোস্টের স্ত্রীকেও ছাত্রলীগ তুলে নিয়ে সম্ভ্রমহানি করে। ঢাবির ইতিহাসে এধরণের উদাহারণ বোধ করি আর কোনদিন সৃস্টি হবে না। ব্যাপারটি এমন আলোড়ন তুলেছিল যে, খান আতা তার "আবার তোরা মানুষ হ" ছবিটিতে এই ঘটনাটি তুলে দিয়েছিলেন।
তবে ঢাবির উদীয়মান সেরা অ্যথেলেট সুলতানা ছিলেন সত্যি ভাগ্যবতী। কেননা তাকে ঐ ১৭ জন নির্যাতিতা কিংবা শিক্ষকের স্ত্রীর পরিণতি বরণ করতে হয়নি। শুধু কামালের অস্ত্রের মুখে ছিনতাই হয়ে নিজ ও পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে শেখ কামালকে স্বামী হিসেবে বরণ করতে হয়েছে। এহেন বিব্রতকর কাজে বিরক্ত হয়ে শেষে সুলতানার সাথে বিয়ে দিয়ে দেন মুজিব।
মজিবের শাসনকে বিরোধী দল মুক্ত করতে কামালের স্টেনগান পার্টি সারা ঢাকা শহর চসে বেড়াত। যুবকদেরকে ধরে ধরে ঢোকাত আবাহনী ক্লাবে। বেশীর ভাগই নিহত হয়েছিলেন। আহমদ ছফাকেও ধরার জন্য কামালের বাহিনী দৌড়িয়েছিল। চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ শিক্ষককে ধরে আবাহনী ক্লাবে আটকায় কামাল, পরে শেখ মুজিবকে খবর জানাতে সক্ষম হয়, এবং প্রাণে বেঁচে যায়। তিনি পরে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ন সচিব হন। মোট কথা, ঐ সময় রাজধানীর মুর্তিমান আতঙ্ক ছিল কামাল।
এপিসোড: দুই
"... তেহাত্তরের ৩ সেপ্টেম্বর ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মুজিববাদী ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন যৌথভাবে নির্বাচন করে। তাদের প্যানেলে ডাকসুর সহ-সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের নূহ-উল-আলম লেনিন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন ছাত্রলীগের ইসমত কাদির গামা। পক্ষান্তরে জাসদ-ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আ ফ ম মাহবুবুল হক ও জহুর হোসেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় ভোট গণনার সময় দেখা গেল, মাহবুব-জহুর পরিষদ বিপুল ভোটে এগিয়ে। তাদের জয় সুনিশ্চিত। হলগুলোতেও অবস্থা একই রকম। রাত আটটার দিকে লেনিন-গামার সমর্থকেরা ভোট গণনার কেন্দ্রগুলোতে হামলা করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে এক হল থেকে অন্য হলে যান। প্রতিপক্ষ দলের ছাত্ররা এবং ভোট গণনার কাজে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা আতঙ্কিত হয়ে যে যেদিকে পারেন পালিয়ে যান। এ প্রসঙ্গে 'মুজিববাদী ছাত্রলীগে'র একজন কর্মীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উদ্ধৃত করা যেতে পারে.......... “সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানের নেতৃত্বে আমরা মিছিল নিয়ে বের হয়েছি। সেদিন আমাদের সাথে ৫০-৬০ জন নেতৃস্থানীয় নেতা-কর্মী ছিল। এদিকে নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সমর্থিত পরিষদ জয়ী হতে পারে আর মুজিবপন্থী পরিষদ পরাজিত হতে চলেছে এমন খবর পেয়ে শেখ কামাল ডাকসুর বাক্স ছিনতাই করে। মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় আমরা দেখি শেখ কামাল বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে রযেছে। তার মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা, শুধু চোখ দুটো দেখা যায়। তার পায়ের কাছে কয়েকটি ব্যালট বাক্স। শেখ কামালের আশপাশে কয়েকজন বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মিছিল নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার আগে আমরা ধারণাও করিনি যে শেখ কামাল ইতিমধ্যে ডাকসুর বাক্স ছিনতাই করে ফেলেছে।” (সূত্র:ইজাজ আহমেদ বিটু, হতভাগা জনগণ - প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ, রাঢ়বঙ্গ, রাজশাহী)।"
... ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সেটা ছিল একটা কলঙ্কজনক দিন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সরকারবিরোধী ছাত্রসংগঠন জিতে যাবে, এটা মেনে নেওয়ার মতো উদারতা আওয়ামী লীগ সরকারের ছিল না। জাসদ থেকে অভিযোগ করা হয়, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরীর কাছে অভিযোগ জানালে তিনি কোনো রকমের ব্যবস্থা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে সরকারে যোগ দেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান॥"
[মহিউদ্দিন আহমদ, জাসদের উত্থান পতন : অস্থির সময়ের রাজনীতি ॥ প্রথমা প্রকাশন - অক্টোবর, ২০১৪ । পৃ: ১০৫-১০৬ ]
এপিসোড তিন:
১৯৭৪ সালের এক বিকেল। মিতু নিউমার্কেট গেল শপিং করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র অনার্স শেষ করেছে। বয়স ২৩/২৪। অসাধারন সুন্দরী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। মিতুর বাবা ৪৭ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাইগ্রেট করেন। খুব ধনী পরিবার। শিপিং বিজনেস। জুট এক্সপোর্ট তাদের মেইন বিজনেস। একজন সত্যিকার বাংলাদেশি। স্বাধীনতা চাইতেন মন থেকেই। সেই সময় আওয়ামী লীগকে ২ কোটি টাকা ডোনেটও করেন।
শেখ কামালের দুষ্টি পড়ে মিতুর দিকে। শেখ কামাল তখন পরিচিত ছিল 'কিং কোবরা' হিসেবে। rape was very common factor for him, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রুম বরাদ্দ ছিল শুধু তার এই কাজের জন্য। মেয়েরা বাধ্য হত সেই রুমে ঢুকতে। কে চায় মারা যেতে? কে চায় তার পরিবারকে ধংস হতে দেখতে? শেখ কামালের একটি গ্যাং ছিল এই কাজের জন্য। সেই সময় এই গ্যাং ফেমাস ছিল। তাদের ফান করার স্থান ছিল আবাহনী ক্লাব। কারা ছিল গ্যাংয়ে? বর্তমানের বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান, এসপি মাহবুব ছিল এই গ্যাং এর কী পারসন। মাহবুব মুন্সিগন্জের and he was the head of killer force.
মিতুকে শেখ কামাল এবং তার গ্যাং তুলে নেয় নিউমার্কেট থেকে। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে আবাহনী ক্লাব। মিতু গ্যাং রেপের শিকার হয়।
এই ঘটনা শুনে শেখ মুজিবের মন্তব্য ছিল "that is why I have made BAKSAL"
ঘটনার পর মিতু এবং তার পরিবার সমস্ত বাংলাদেশিকেই ঘৃনা করতে শুরু করে। কানাডাতে চলে যায় তারা। মন্ট্রিলে আছে বর্তমানে। মিতু বিয়ে করে একজন পাকিস্থানীকে। তারা আর কখনোই বাংলাদেশে ফিরে আসেনি। কোন বাংলাদেশির সাথে যোগাযোগও রাখেনি।
শেখ মুজিব তার ছেলের বিচার করেনি। বাংলাদেশের জনগন সেই বিচার করেছে ১৫ আগষ্ট। আর সালমান এফ রহমানের বিচার করেছে আল্লাহ। তার একমাত্র মেয়ে প্রায় বছর দশেক আগে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করত যখন, মাতাল অবস্হায় গ্যাং রেপ হয় তারপর বাঁচতে গিয়ে ৮তলা থেকে লাফ দিয়ে মারা যায়।
[বিঃদ্রঃ 'মিতু' ছদ্ম নাম ব্যবহার করা হয়েছে, আসল নাম দিলে বাংলাদেশের অনেকেই চিনে ফেলবে। কারন মিতু বাংলাদেশের এক বনেদী পরিবারের সন্তান। বর্তমানে তিনি বৃদ্ধা, পুত্র-কন্যা নাতি নাত্নিদের নিয়ে প্রবাসে দিন পার করছেন। কিছু সময় সোস্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি করেন। Courtesy....জাতির নানা]
এপিসোড চার:
অাওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা ছিলো শেখ কামালের বন্ধু। এদের প্রায় ত্রিশজনের একটা দল ছিলো। বিভিন্ন জায়গায় এরা অাডডা মারতো। অাবার সেনাবাহিনীর অফিসারদের কোন পার্টি হলে সেখানেও এই দলটি উপস্থিত হতো। দলের মধ্যে তৎকালীন প্রেসিডেন্টের ছেলে হওয়ায় দলটির ক্ষমতাই ছিলো অন্যরকম। কাউকে তোয়াক্কা করতোনা তারা। একটি বিয়ের পার্টিতে মেজর ডালিমের বউকে গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে তার উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে এবং এক পর্যায়ে মেজর ডালিমের স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে। এই অবস্থায় ডালিম বাধা দিতে গেলে তার সাথে গোলাম মোস্তফার ছেলের ঝগড়া হয়। শেখ কামাল সেখানে উপস্থিত ছিলো। সে সরাসরি তার বন্ধুর পক্ষ নেয়। এবং মেজর ডালিমের বউকে তুলে নিয়ে যায়। [তথ্যসূত্র : লে. কর্নেল অব. এমএ হামিদ পিএসসি/ তিনটি অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা]
এপিসোড পাঁচ:
সময়কাল ১৯৭৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত। শেখ কামাল ও তার সহযোগীরা অস্ত্র হাতে রাজধানীতে কুখ্যাত সাদা রঙের মাইক্রোবাস নিয়ে নেমেছে। উদ্দ্যেশ্য ব্যাংক ডাকাতি। অন্যদিকে শহরজুড়ে সিরাজ সিকদারের অাগমন ধ্বনিতে কম্পমান মুজিবও তার চ্যালা চামুন্ডারা। পুলিশবাহিনী চরম স্নায়ুযুদ্ধে ভুগছে। ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টাকালে শেখ কামালের দলবলকে সিরাজ সিকদারের দল মনে করে গুলী চালায় সার্জেন্ট কিবরীয়া। অাহত হয় শেখ কামাল। পরদিন গণকন্ঠ পত্রিকায় বিস্তািরত ছাপা হয় মুজিব পুত্রের ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি। [তথ্যসূত্র : মেজর জেনারেল অব. মইনুল হোসেন বীর বিক্রম] কিন্তু পুলিশের বিবৃতিতে পরে বলা হয়, “দুস্কৃতিকারীদের ধাওয়াকালে দুর্ঘটনাক্রমে শেখ কামাল ও তার সঙ্গীরা পুলিশের গুলিতে আহত হয়।” এর পর থেকে কোথাও কোনো খুন, ডাকাতির ঘটনার খবর পেলেই শেখ মুজিব প্রথমে স্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ দিতো, “হাসুর মা, দেখো তো কামাল ঘরে আছে কি না?” এরপরে কামাল চরিত্র নিয়া আর কিছু বলার দরকার আছে কি?
এপিসোড ছয়:
মতিয়া চৌধুরীকে প্রেসক্লাবের সামনে ধাওয়া করে ধর্ষনের চেষ্টা করে শেখ কামাল। ছেড়া কাপড়চোপড় নিয়ে তাকে রক্ষা করেন সফিউল আলম প্রধানরা।
এপিসোড সাত:
১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভেন মার্ডারের জন্য দায়ী ছিল শেখ কামাল।
এপিসোড আট:
আবাহনী ক্লাবের সাথে ফুটবল খেলার সময় বিপক্ষ দলের গোল পোষ্টের পিছনে স্টেনগান নিয়ে দাড়িয়ে থাকত কামাল, যাতে করে গোলকীপার বল ছেড়ে দিয়ে আবাহনীর বিজয় নিশ্চিত হয়।
এপিসোড নয়:
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সকালে শেখ মজিবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শেখ কামাল নিজেই তার বাহিনী নিয়ে ক্যাম্পাস পাহারায় নেমে পড়ে। ১৪ আগষ্ট রাতে তার থাকার কথা ছিল ক্যাম্পাসে। কিন্তু সে চলে যায় বাসায়। ১৫ আগস্ট সকালে ৩২ নম্বরের বাড়ি ঘেরাও করে শেখ মুজিবকে আটক করে নিয়ে যেতে চায় মেজর মহিউদ্দিন ও মেজর নূরের বাহিনী। কিন্তু কামাল তার স্টেনগান থেকে গুলি শুরু করে, যাতে মারা যায় একজন সৈনিক আহত হয় কয়েকজন। ওপর থেকে শেখ জামালও ব্রাশ ফায়ার করে। এরপরেই আগস্ট বিপ্লবের নায়কদের পাল্টা গুলিতে প্রথমে নিহত হয় কামাল, পরে শেখ মজিব, আর শেষে গ্রেনেডে জামাল ও অন্যরা। শেখ কামাল অস্ত্র দিয়ে বাপকে বাঁচাতে গিয়ে সেই অস্ত্রের আঘাতেই পরিবার সুদ্ধা খতম নিশ্চিত করে। এই হলো তার অবদান!
............শেখ কামাল এত্ত সব অসম্ভব গুণের অধিকারী ছিল যে, বেঁচে থাকলে ঢাকা শহর ভরে যেত কামালের সন্তানে। জাতি বুঝতে পারত “জাতীয় ভাই’ কি বস্তু! তবে সেক্ষেত্রে হাসিনার আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া লাগত না। ওয়াজেদ মিয়ার ভাতের হাড়ি ঠেলেই জীবন পার করতে হতো।
কামরুল ইসলাম এর ওয়াল হতে।
বিষয়: রাজনীতি
১৮৮৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন