সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেডমাষ্টারের হাত পা ভেঙে পুলিশে দিল আওয়ামী লীগ নেতা, উপজেলা চেয়ারম্যান! !!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৮ মার্চ, ২০১৭, ০২:৫৯:৫৬ দুপুর
বড়ই মহান কাজ এটা |চেতনার খাঁটি বাস্তবায়ন ও বলা যায় |
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে তিনজন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার কীর্তিপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকের নাম আবদুল লতিফ মিয়া। তিনি গোবিন্দ ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আর উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম সুলতান হোসেন খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আহত অন্যরা হলেন কীর্তিপাশা এলাকার উত্তম দাস, তাঁর বোন রিনা দাস ও ভাইয়ের স্ত্রী অঞ্জনা দাস।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষক আবদুল লতিফ ও উত্তম দাসকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দুজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ মিয়া সোমবার রাত ১০টার দিকে উত্তম দাসের বাড়িতে বেড়াতে যান। এর কিছুক্ষণ পর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান তাঁর লোকজন নিয়ে উত্তম দাসের ঘর থেকে আবদুল লতিফকে টেনেহিঁচড়ে বের করেন। এর পর তাঁকে হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এ সময় তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে হকিস্টিকের আঘাতে উত্তম দাস, তাঁর বোন রিনা দাস ও ভাইয়ের স্ত্রী অঞ্জনা দাস আহত হন।
পরে উপজেলা চেয়ারম্যান নিজেই তাঁর গাড়িতে করে আহত ব্যক্তিদের ঝালকাঠি থানায় নিয়ে যান। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের হাসপাতালে পাঠায়।
বিষয়: বিবিধ
৭৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন