এই হলো আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র !!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৬ মার্চ, ২০১৭, ০৯:০৭:৩৮ রাত
একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিতর্কের আয়োজন করা হল। বিতর্কের বিষয় "জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি, শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী" । আমন্ত্রণ জানানো হল যথারীতি ছাত্রদল ও ছাত্রলীগকে। বিতর্ক শুরু হল।
.
ছাত্রদলঃ আমি বক্তব্যের শুরুতেই বলতে চাই, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। তারা দাবি করে শেখ মুজিব নাকি স্বাধীনতার ঘোষক। কিন্তু আমরা জিয়াউর রহমানের লিখিত ঘোষণা বক্তব্য ও ভয়েস রেকর্ড দেখাতে পারলেও তারা এর কিছুই দেখাতে পারেনি। সবাই বলে আমি এর থেকে শুনেছি, ওর থেকে শুনেছি।
.
ছাত্রলীগঃ ফকিরন্নিরপুত, কুলাঙ্গার।
.
ছাত্রদলঃ জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবেই স্বাধীনতা ঘোষনা দেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ২৬ মার্চ, আর মুজিব নগর সরকার গঠিত হয় ১৭ এপ্রিল। মাঝখানের এই ২২ দিনের জন্য জিয়াউর রহমানই ছিলেন আপদ কালীন অস্থায়ি রাষ্ট্রপতি।
.
ছাত্রলীগঃ নটিরপুত, জারজপুলা।
.
ছাত্রদলঃ তারা বলে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করল কে? আমারও একই প্রশ্ন মুজিব নগর সরকারকে তাহলে নির্বাচন করল কে? তখনো বাংলাদেশের কোন সংবিধান রচিত হয়নি। আসলে আপদ কালীন সময় কোন সংবিধানের দিকে না তাকেয়ে যে কাউকে হাল ধরতে হয়। যেমনটা করা হয়েছে বর্তমানে ইউক্রেনে।
.
ছাত্রলীগঃ শুয়রের বাচ্চা, কুত্তা।
.
ছাত্রদলঃ বাংলাদেশের প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।কারণ তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এই দেখুন সেই ঘোষণাপত্র, ‘এতদ্বারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতেছি যে, সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি থাকিবেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি থাকিবেন।'
.
কিন্তু ৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে শেখ মুজিব ১২ জানুয়ারি কিভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন? তখনও তো সংবিধান প্রণীত হয়নি।
.
ছাত্রলীগঃ বেজন্মা, হারামি।
.
ছাত্রদলঃ শেখ মুজিবুর রহমান যদি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন তাহলে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি কেন আবার প্রধানমন্ত্রী হলেন? অপ্রিয় হলেও সঠিক ইতিহাসের স্বার্থেই ইতিহাসের কঠিন সত্যগুলো বলা প্রয়োজন।
.
ছাত্রলীগঃ *গীর পুত, বদমাস।
.
ছাত্রদলঃ ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে ‘সাপ্তাহিক’ পত্রিকায় প্রকাশিত ড. কামাল হোসেনের একটি সাক্ষাৎকারের বলেন,‘শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেছিলেন পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে। পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে হয়ে গেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি জাতিসংঘের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে ফিরতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটিও করেননি।
.
ছাত্রলীগঃ খা*কিরপুত, নষ্টার পুত।
.
ছাত্রদলঃ এই অনুষ্ঠানে ইতিহাসের আলোকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বলছি যে জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার ঘোষক, শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী । কিন্তু এ বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের কোনো নেতাই কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দিয়ে অশ্লীল কথা বলেছেন।
.
ছত্রলীগঃ কুলাঙ্গার, নতিরপুত।
.
ছাত্রদলঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে ছোট করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ৪০০ টাকার মেজর। এ ধরণের মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বরং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করেছেন। কারণ এই ৪০০ টাকার মেজর, ২০০ টাকার ক্যাপ্টেন, ১০০ টাকার সিপাহী, ৫০ টাকার কৃষক কিংবা লুঙ্গি পরা গামছা পরা স্বাধীনতাকামী মানুষগুলোই কখনো একবেলা অথবা আধাবেলা খেয়ে না খেয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো নিরাপদে কলকাতা পাড়ি জমালে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। বাস্তব ইতিহাস হচ্ছে, ৪০০ টাকার মেজররাই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু যাদের কাছে মানুষ আশা করেছিল তারা মুক্তিকামী মানুষকে নেতৃত্ব দিবেন, তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন।
.
ছত্রলীগঃ শুয়রের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা।
.
ছাত্রদলঃ শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি চেয়েছিলেন স্বায়ত্বশাসন। এক সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিব বিদেশী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘স্বাধীনতা? নো নো আই ডোন্ট মিন দ্যাট, আই ওয়ান্ট অটোনমি।’
.
ছত্রলীগঃ ওরে তুই কুত্তা থাম, আমার মুখ খারাপ করিস না। চু*নির পুয়া।
.
ছাত্রদলঃ বর্তমান অবৈধ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত কয়েকদিন আগে বলেছেন, কারো ঘোষণায় স্বাধীনতা আসেনি। অথচ এই আবুল মাল তার ‘বাংলাদেশ: ইমার্জেন্স অব এ নেশন’ বইয়ে লিখেছেন, জিয়াউর রহমানই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’
.
ছাত্রলীগঃ মা*র পুয়া, ফকিরন্নির পুয়া।
.
ছাত্রদলঃ 'মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ নামে একটি বই থেকে তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবকে স্বাধীনতা ঘোষণার অনুরোধ জানালে শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে অস্বীকৃতি জানান। শেখ মুজিব তাজউদ্দিনকে সাফ জানিয়ে দেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হতে পারে।
.
ছাত্রলীগঃ নব্য রাজাকার। রাজাকারের দোসর।
.
ছাত্রদলঃ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে, ’৭১ এর ১০ এপ্রিল থেকে শেখ মুজিব বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তাহলে, ২৬ মার্চ থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ কি নেতৃত্বশূন্য ছিল?
.
ছাত্রলীগঃ জামায়াত শিবির রাজাকার, এইই মূহুর্তে বাংলা ছাড়।
.
ছাত্রদলঃ আওয়ামী লীগ কথায় কথায় রাজাকারদের মন্ত্রী বানানোর জন্য বিএনপির উপর দোষ চাপায়। অথচ বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের প্রথম মন্ত্রী বানায় শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার পিতার আমলের তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরিধী এবং রাজাকার একে ফায়জুল হকক এবং মাওলানা নুরুল ইসলামকে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে প্রথম জাতীয় পতাকা তোলার সুযোগ করে দেন।
.
ছাত্রলীগঃ ফাঁসি ফাঁসি চাই, কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই। ফাঁসি ফাঁসি চাই সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই।
.
ছাত্রদলঃ সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, হাসিনা নিজেই আত্মীয়তা করছেন যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারের সাথে। নুরা রাজাকারের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফও একজন রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী। এই রাজাকারের ছেলের কাছেই হাসিনা তার মেয়ে পুতুলকে তুলে দিয়েছে।
.
ছাত্রলীগঃ তোমরা যতই চেষ্টা কর, কোন লাভ হবে না। এই বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই।
.
ছাত্রদলঃ ৭১ সালের ২৫ মার্চ যেদিন শেখ মুজিব আত্মসমর্পন করলেন সেদিনই মুজিবের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। মুজিব সেদিন আত্মসমর্পন না করে যুদ্ধের নেতৃত্ব গ্রহণ করলে অমর হয়ে থাকতে পারতেন। ইতিহাসের নির্মম সত্য হচ্ছে- পাকিস্তানীদের কাছে প্রথম আত্মসমর্পনকারী বাঙালীর নাম শেখ মুজিবুর রহমান।
.
ছাত্রলীগঃ কুত্তার বাচ্চা সম্মান দিয়ে কথা বল। বঙ্গবন্ধু না জন্মালে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
.
ছাত্রদলঃ আওয়ামী লীগ কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হলো গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা। অথচ এর কোনোটিই এখন বাংলাদেশে নেই।
.
ছাত্রলীগঃ জামায়াত শিবির রাজাকার, এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়। ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমাই ভালবাসি। খা*কির পুত, নটিরপুত, ফরন্নির পুত, অবৈধ সন্তানের স্থান এই বাংলার মাটিতে নাই।
.
হা হা হা... এই হল ছাত্রলীগের যুক্তি তর্ক।
.
হজরত আলী (রা.) এর বানীটা আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি, "মুর্খ ও খারাপ মানুষের শেষ অস্ত্র হচ্ছে গালি।" credit---Bongomitro
বিষয়: বিবিধ
১১৮০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০৭.০৩.১৯৭১ এই ভাষণ দেবার পর ৮ তারিখ হতে ২৪/২৫ তারিখ পর্যন্ত মুজিব-ইয়াহিয়া-ভূট্টো কিসের আলাপ করেছিলেন ঢাকা - লাহোর / করাচী / ইসলামাবাদে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন