ইতি -নেতির কথকতা
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ০৮:০৫:৩২ রাত
দার্শনিক যারা আবার বেশিরভাগই নাস্তিক , তারা প্রায়শই বলে থাকেন জীবনে যাই ঘটুক না কেন সব কিছুকেই ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করা। আবার আস্তিকেরা ও কেউ কেউ বলে থাকেন 'খোদা যা করেন ভালোর জন্যই করেন '| সেই হিসেবে আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ভালো মন্দ সব ঘটনাকেই ইতিবাচক ভাবে দেখার একটি নৈতিক শিক্ষা আমাদের আছে। যারা এ শিক্ষাটাকে মনে প্রাণে ধারণ করে তারা জীবনের ঘটে যাওয়া বিপর্যয় গুলোকে খুব সহজেই মেনে নিয়ে নতুন পরিবেশে সব কিছুই আমার নতুন করে শুরু করতে পারে। এভাবেই একজন সচ্চরিত্রবান নারী হঠাৎ করে একদল ধর্ষকের পাল্লায় পড়ে খুব সহজেই পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে নিয়ে বেঁচে থাকে। আবার এমনি করেই ডাকাত কিংবা জঙ্গী দলে ভিড়ে যায় কেউ কেউ। যারা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নিজের বিশ্বাস আর আদর্শকে বলি দিতে পারেনা তাদের জীবনের বিপর্যয় আর ঠেকানো যায়না | ঠিক এ কারনেই আমি জীবনের সব পরিবর্তনকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখার পক্ষে নই।
আর যারা মানুষকে এমন হওয়ার জন্য উতসাহ যোগায় তাদেরকে আমি প্রকৃত মানবতার শত্রু বলেই মনে করি।
হ্যাঁ , তারা হয়তো জীবনের প্রতি হতাশ হয়ে পড়া কোন মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে নেশার সামগ্রী ধরিয়ে দিতেও কুন্ঠাবোধ করেন না। এতে হয়তো বিপর্যস্ত মানুষটা নিজেকে আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরাতে পারে। কিন্তু এমন আঘাত যা নেশা দ্রব্যের মাধ্যমে ভোলানো হয় তা কিন্তু চিরতরে হৃদয় থেকে মুছে যায়না | ফলে নেশার ঘোরটা কেটে গেলেই তাকে আবার অসীম যন্ত্রণা গ্রাস করে। সে প্রকৃত অর্থেই আর আগের মতো স্বাভাবিক হতে পারেনা |
কাজেই আমাদের জীবনে যাতে বিপর্যয় নেমে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু আমাদের জীবনের অনেক বিপর্যয় নাস্তিক কিংবা খারাপ চরিত্রের মানুষের মাধ্যমেই ঘটে তারাই আবার নিজেদের সার্থে সেসব বিপর্যয়কে কাটিয়ে ওঠার জন্য অনৈতিক পন্থা গ্রহণ করতে পরামর্শ দেয়।
বিষয়: বিবিধ
৯১৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন