রসিক শফিক রেহমানের গ্রেফতার ও খুঁটির জোর : রেজাউল করিম রনি
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:২৭:১০ দুপুর
হায় হায় এইডা কিছু হইল? শফিক রেহমানকে সাংবাদিক
পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে আটক করার মধ্য দিয়ে
সাংবাদিকতার অপমান নিয়ে অনেকে দেখলাম
টেনশিত। আমার পয়েন্ট হলো, চেতনাবাজ মিডিয়া
এইবার গভীর সংকটে পড়ল। শফিক রেহমানকে তো জঙ্গি
বলা যাবে না। ফলে তার পক্ষে তো নিউজ করতেই হয়। বা
স্বাভাবিক নিউজটা হলেও সরকার যে কতো
সুইট #গোলাপসন্ত্রাস করতে পারে তা প্রকাশ হয়ে যায়।
ফলে রেহমান সাহেব গোটা মিডিয়াকে চেতনার
পরীক্ষায় ফেলে দিছেন।
এই বয়োজেষ্ঠ্য রশিক মানুষটি ব্রিটিশ নাগরিক। ফলে
ব্রিটিশ হাইকমিশনও টেনশিত। উনার চাল-চলন ও
চিন্তাতেও পশ্চিমা আধুনিকতার ছাপ। শিশু কাল থেকেই
উনি প্রেমিক। তবে আশা করি উনি ছাড়া পেয়ে
লালগোলাপ বাদ দিয়ে অটিজম নিয়ে কোন অনুষ্ঠান শুরু
করবেন। এবং অটিজম যে একটি জাতীয় সমস্যা এটা উনি
জেলহাজতে থেকে পুরো বুঝে যাবেন বলেও আশা
করতে পারেন। কিন্তু এতো দুর্বল একটা চিত্রনাট্য তৈরি
করে উনাকে গ্রেফতারের বিষয়ে অনেক লীগ সমর্থকও
লজ্জিত দেখলাম। এটা তো স্বাধীনতার স্বপ্নের সাথে
যায় না। গ্রেফতার করে স্বীকার করা হলো, একদিনও গুম
থাকল না -এটা তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে যায় না।
জাতি পুরাই হতাশ।
যা হোক নতুন কারাগার তৈরির একটা প্রয়োজনীয়তা
বুঝতে পারলাম আমরা। আরও যা যা বুঝতে পারলাম না তার
কয়েকটি কথা একটু সংক্ষেপে কই,
১. বিএনপির অবস্থা নিয়ে লীগ বিরুধীদের মনে আশা-
হতাশা দুই আছে। কিন্তু ইদানিং বিএনপি একটু গা ঝাড়া
দেয়ার চেষ্টা করছে। এবং লীগের জন্য বিরক্তিকর
ব্যাপার হলো, এখন আর বিএনপির ভিতর থেকে কেউ
তাদের আগাম তথ্য দিতেছেনা। বিএনপি এতো দিনে
এইটা একটু চেক দিতে পেরেছে, লীগ প্রেমি
বিএনপিদের বাইরে একটা সক্রিয়তা তৈরি হচ্ছে। ফরহাদ
মজহারদের মতো কুলাঙ্গার যারা, উপরে উপরে লীগ
বিরুধী কিন্ত্র্র ভিতরে লীগ এজেন্টদের বিএনপি চিনতে
পেরেছে এতো দিনে। এখন শফিক সাহেব যেহেতু
বিএনপির থিংট্যাঙ্ক( ৯ গ্রুপের একজন) হিসেবে সক্রিয়
ফলে তথ্য দরকার। আর এটা করতে উনাকে আটকের জন্য
তথ্যবাবাকে গুম ও অপহরণের অভিযোগে তুলে নিয়ে ৫
দিনে রিমান্ডে নিয়ে নেয়া হইল। টেনশন নিয়েন না সময়
মতো ছেড়ে দেয়া হবে। যাক এটা নিয়ে আর না বলি।
২. একটা রিপোর্ট ফাঁস হইছে আপনারা নিশ্চই জানেন।
বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীতে বন্ধু রাষ্ট্রের
সোনার ছেলেদের নিয়োগ দেয়ার প্রমাণ হাতে-
নাতে পাওয়া গেল এবার। এটা নিয়ে 'মেইনইস্ট্রীম'
মিডিয়া চুপ। অবশ্য দরকারী বিষয়ে মিডিয়ার চুপ থাকাই
এখন রেওয়াজ। এই ভিডিও এখন নেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
পাবলিক রুপকথার গল্পের বাস্তবায়ন দেখছেন। এতে করে
এন্টি ইন্ডিয়ান প্রপাগান্ডা আরও শক্ত ভিত্তি পাইল। এবং
এখন কোন কিছুই আর প্রপাগান্ডা মনে হবে না। কারণ এই
ঘটনাই ছিল সবচেয়ে অবিশ্বাস্য। এটাই যখন বাস্তব। তখন আর
কোন কিছুই অবাস্তব না, অসম্ভব না। শুধু ভারতের বিরুদ্ধে
খামোস বলার লোকটার অভাব ( হায় ভাসানী, আপনি
কই?)।
এবার রিজিয়নাল পলিটিকস এর হিসেবটা একটু মিলায়
নেন। ভারত বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদকে
সার্টিফিকেট দিয়েছে (বলেছে এটা নাকি সেরা
গণতন্ত্র)। যা গোটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে গেছে। ফলে
বাংলাদেশের সাথে ভারতের ইজ্জতের উপরও কলঙ্ক না
দিলে ওয়েটার্ণ ব্লক আর হেজিমনি ধরে রাখতে পারছিল
না বাংলাদেশ ইসু্যতে। তাই নিউজটা ফাঁস হইতে পারল।
সো ভারত কে ভরসা বা খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে
যারা এই দেশে সন্ত্রাসের রাজত্বকে স্থায়ী করার স্বপ্ন
দেখছেন তাদের শুধু এটাই বলব, খুঁটি সহ উড়ে যাবেন।
দেশটাকে ব্লকে ভাগ না করে একটা গণতান্ত্রিক দেশের
জন্য সংগ্রাম না করে মধু লুটেপুটে নেয়া ও মধু খাওয়ার জন্য
অপেক্ষা করা- দুইটাই জঘন্য মতলব।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে টার্নিং মোমেন্ট চলে
আসছে। সো নাগরিকগন সজাগ হোন।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জয়ভায়াকে নিয়ে নাড়াচাড়া করা উনার মোটেই উচিত হয় নি । মাহমুদুর রহমানের পরিনতি থেকে উনি শিক্ষা নিতে পারতেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন