শেখ হাসিনার নতুন উপলদ্ধি, তাহলে 'মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ' থাবা বাবার কি হবে? কদরুদ্দীন শিশির

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:১৫:৪২ সকাল

ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর ও বিদ্বেষপূর্ণ ভাষায় ব্লগে

লেখালেখির ব্যাপারে অবশেষে মুখ খুলেছেন মাননীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত ৩ বছর ধরে এ নিয়ে

আমাদের সমাজ বিভক্তির চরমে পৌঁছেছে। এবছর পহেলা

বৈশাখ গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের

বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন তিনি। এ ইস্যুতে গত

প্রায় একবছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান বদলে সুসংহত

করতে চাইছেন। যদিও এবারই প্রথম তিনি সরাসরি

‘মুক্তচিন্তা’ শব্দ ও ভাবটাকে সরাসরি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু

বানিয়েছেন। তার সেই বক্তব্যের কথাগুলো অবিকল বা

পুরোপুরি প্রকাশ করেনি বেশিরভাগ পত্রিকা/

টেলিভিশন। যে যার মতো সুবিধাজনক অংশ প্রচার বা

প্রকাশ করেছে। ফলে সংবাদ পাঠক/শ্রোতাদের অনেকেই

হয়তো সব কথা জানতে পারেননি। গুরুত্ব বিবেচনায়

কয়েকটি টেলিভিশন সংবাদের ক্লিপ থেকে

প্রধানমন্ত্রী সেদিনকার বক্তব্যে ধর্মবিদ্বেষী

ব্লগারদের বিরুদ্ধে কী বলেছেন তা হুবহু তুলে ধরার

চেষ্টা করছি।

এনটিভির ওইদিনের (১৪ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত সংবাদের

ভিডিও ক্লিপ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিম্নোক্ত বক্তব্য

পাওয়া যায়-

“কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখা এটা

কক্ষনো গ্রহনযোগ্য না। এখন একটা ফ্যাশন দাঁড়িয়ে গেছে

যে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তা হয়ে গেল

মুক্তচিন্তা। আমি তো এখানে মুক্তচিন্তা দেখি না। আমি

এখানে দেখি নোংরামি। যাকে আমি নবী মানি তার

সম্পর্কে নোংরা কথা কেউ যদি লেখে তো সেটা

কক্ষনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। ঠিক তেমনি অন্য

ধর্মেরও যারা তাদের সম্পর্কেও কেউ কিছু যদি লেখে

তাহলে এটা কক্ষনো গ্রহণযোগ হবে না।”

বক্তব্যে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অংশ “যাকে আমি নবী

মানি তার সম্পর্কে নোংরা কথা কেউ যদি লেখে তো

সেটা কক্ষনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। ঠিক

তেমনি অন্য ধর্মেরও যারা তাদের সম্পর্কেও কেউ কিছু

যদি লেখে তাহলে এটা কক্ষনো গ্রহণযোগ হবে না।”

এনটিভিতে প্রচারিত বক্তব্যটিতে মাঝখান থেকে কিছু

কথা বাদ দেয়া হয়েছে। চ্যানেল ২৪ এর ক্লিপে তা আছে।

“কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখা এটা

কক্ষনো গ্রহনযোগ্য না। এখন একটা ফেশন দাঁড়িয়ে গেছে

যে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তারা হয়ে গেল

মুক্তচিন্তা। আমি তো এখানে মুক্তচিন্তা দেখি না। আমি

এখানে দেখি নোংরামি। আমি এখানে দেখি পর্ণ। পর্ণ

লেখা লেখে। এত নোংরা নোংরা কথা কেন লিখবে?”

বুঝাই যাচ্ছে এনটিভি ‘পর্ণ’ শব্দটি সেন্সর করেছে। অবশ্য শুধু

এনটিভি নয়, বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমই ওইসব ব্লগারদের

লেখালেখিতে থাকা অশ্লীলতার মাত্রা বুঝাতে

প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহার করা এই শব্দটি এড়িয়ে গেছে। প্রথম

আলো, সমকাল, কালের কণ্ঠ, ইত্তেফাক ইত্যাদিসহ

বেশিরভাগ টেলিভিশন চ্যানেল ‘পর্ণ’ শব্দ প্রকাশ করেনি।

একাত্তর টিভির সংবাদের ভিডিও ক্লিপে প্রচার করা

হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিম্নোক্ত অংশ-

“এটা কোনো ধর্ম পালন না, বা ধর্মকে অবহেলা না। এটা

সম্পূর্ণরূপে তাদের চরিত্রের দোষ এবং তারা বিকৃত

মানসিকতায় ভোগে। সেই জন্যই তারা এ ধরনের লেখে।

আশা করি সেই ধরনের কোনো লেখা কেউ লেখবেন না।

আমি একজন মুসলমান হিসেবে প্রতিনিয়ত আমার ধর্মীয়

অনুশাসন আমি মেনে চলি। কাজেই সেখানে কেউ যদি

লেখে সেটা আমার নিজেরও কষ্ট হয়। আর এই লেখার জন্য

কোনো অঘটন ঘটলে সে দোষ সরকারের ওপর আসবে কেন?

সবাইকেই সংযমতা নিয়ে চলতে হবে। সবাইকেই একটা

শালীনতা বজায় রেখে চলতে হবে। অসভ্যতা কেউ করবে

না। অসভ্যতা কেউ করলে তার দায়িত্ব কে নেবে? আমরা

নেব না। আর মানুষ খুন করার মধ্যে কোনো সমস্যার সমাধান

নাই। আবার একজন লিখলো আরেকজন সেটা খুন করে সেটা

প্রতিশোধ নেবে এটা তো ইসলাম ধর্মে বলেনি।

বিচারের দায়িত্ব আল্লাহ তাদেরকে দেয় নাই।”

লম্বা লম্বা এত উদ্ধৃতির উল্লেখ লেখার সৌন্দর্যের জন্য

হানিকর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের স্পর্শকাতরতা এবং

গুরুত্ব বিবেচনায় সেটা করতে হল।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ধর্মবিদ্বেষী লেখাগুলোকে

কয়েকটি অভিধায় অভিহিত করেছেন যেমন, ‘পর্ণ’

‘নোংরা’ ‘অগ্রহণযোগ্য’, ‘বিকৃত মানসিকতা’ ‘চরিত্রের

দোষ’ ‘অসভ্যতা’ ইত্যাদি। সাথে নিজের উদাহরণ টেনে

তিনি বলেছেন, এ ধরনের লেখা ‘ধর্মীয় অনুশাসন মেনে

চলা মানুষকে কষ্ট দেয়’।

শেখ হাসিনা একজন ধার্মিক মানুষ। তাকে ধর্মীয় দিক

থেকে একজন লিবারেল মানসিকতা পোষণকারী ব্যক্তি

হিসেবেই অনুমান করি। এখন একটা প্রশ্ন উঠতে পারে যে,

প্রধানমন্ত্রী যেসব লেখালেখিকে ‘পর্ণ’ ‘নোংরা’ ‘বিকৃত

মানসিকতা’র বলছেন সেগুলো কি আসলেই এমন?

লেখাগুলোকে এসব অভিধায় অভিহিত করা কি আসলেই

সঠিক বা উপযুক্ত? প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় সেগুলো পর্ণ বা

নোংরা লেখা- ঐ বক্তব্যের যৌক্তিকতা বুঝতে ওইসব

লেখালেখিকে সামনে এনে যাচাই করাটাই উত্তম উপায়

হতে পারত। কিন্তু নোংরা আবর্জনা নিয়ে ঘাটাঘাটিও

খুব ভাল কাজ নয়।

নোংরা ব্লগ লেখার জন্য সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদের

একজন হচ্ছেন ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসীদের

হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া রাজীব হায়দার শোভন।

তিনি ব্লগে ‘থাবা বাবা’ নামে পরিচিত ছিলেন। এটা

সর্বজন স্বীকৃত তথ্য। অনেকের কাছে এ সংক্রান্ত ক্রীনশট-

ভিডিও ইত্যাদি ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। তার নোংরা

ভাষার ইসলামবিদ্বেষী কিছু লেখা নিয়ে খুনের পরপরই

প্রথম দিন ইনকিলাবে এবং পরের দিন দৈনিক আমার দেশ-এ

বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেসব রেকর্ড

আছে। অবশ্য ব্লগে ও ফেইসবুকে সর্বাধিক সমালোচিত

লেখাগুলোর ‘লিংক’ এখনো বিদ্যমান থাকলেও সেগুলো

আর কার্যকর না। ব্লগ/ফেসবুক বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ থেকে

সেগুলোতে প্রবেশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

তবে বিভিন্ন ব্লগে অন্যদের পোস্টে করা ‘থাবা বাবা’র

নানা মন্তব্য এখনো পড়া যায়। সামহোয়ারইন ব্লগের

“বাঙালি মুসলমানের মন” শিরোনামে এই লিংকের

পোস্টটিতে ( http://www.somewhereinblog.net/blog/

omio_ujjal/29488000 ) ২০১১ সালের ২২ শে নভেম্বর দুপুর ১টা ৯

মিনিটে একটি মন্তব্য করেন থাবা বাবা।

এই লিঙ্কের মন্তব্যটি এখানে উল্লেখ করতে চাই না। শুধু

ডকুমেন্টেশনের স্বার্থে লিংকটা দিয়ে রাখলাম।

এগুলো কাউকে পড়তে অনুরোধ করাও এক মানসিক পীড়ার

বিষয়। আর ‘ব্লগ’ হিসেবে তার লেখাগুলো যে কেউ

চাইলেই ইন্টারনেটে দেখে নিতে পারেন। ১৬

ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এর ইনকিলাব এবং পরদিনের আমার দেশ

পত্রিকার কপিগুলোও দেখা যেতে পারে। আগ্রহীরা

স্বচক্ষে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ওই লেখাগুলোর

ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহৃত অভিধাগুলো সঠিক কিনা।

আরেকটা কথা, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু নিজেই ওই

লেখাগুলোকে ‘নোংরা’ ‘পর্ণ’ বলছেন, ফলে আর সাক্ষ্য

প্রমাণ দিয়ে তা ‘নোংরা’ জিনিস হিসেবে প্রমাণ

করার প্রয়োজনীয়তা থাকে না।

একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর আগের মন্তব্য:

উপরে আমরা দেখলাম ‘পর্ন’ ‘নোংরা’ ও ‘বিকৃত মানসিকতা’

নিয়ে লেখা ধর্মবিদ্বেষী ব্লগগুলোর ব্যাপারে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান। তিনি

তাতে বলেছেন যে এ ধরনের লেখায় তিনি নিজেই কষ্ট

পান।

এখন আমরা দেখবো এসব ‘পর্ণ’র অন্যতম নেতৃস্থানীয় লেখক

রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা ২০১৩ সালের ১৫

ফেব্রুয়ারি খুন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তার সম্পর্কে কী

মন্তব্য করেছিলেন?

১৬ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোর প্রিংন্ট সংস্করণে

প্রকাশিত “জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির অধিকার

নেই: প্রধানমন্ত্রী” শিরোনামের সংবাদটিতে অনলাইনে

একটি ভিডিও যোগ করে দেয়া হয়। রাজীব হায়দারের

বাসায় তার মাকে সান্তনা দিতে যাওয়া শেখ হাসিনা

রাজীব ওরফে থাবা বাবা সম্পর্কে যা বলেছেন চ্যানেল

আইয়ে প্রচারিত সেই ভিডিও ক্লিপটি থেকে তার

বক্তব্যের শেষাংশটি তুলে ধরা হল-

“এই যে তরুণ সমাজ তারা মনে হল একাত্তরের পর আবার সমগ্র

বাঙালী জাতির চেতনায় এতটা উন্মেষ ঘটাতে

পেরেছে। আর সেই চেতনা যখন তারা এমন জাগ্রত করলো

সে সময় প্রথম শহীদ সে। এবং এটা সবাই ধরেই নিতে পারে

কারা করছে। তবে এটুকু কথা দিতে পারি এদের ছাড়বো

না।” লিংক: http://archive.prothom-alo.com/…/date/2013-02-16/

news/329689

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আরো কিছু বলার আগে

ওইদিনের প্রথম আলোর আরেকটি সংবাদের উদ্ধৃতি দিতে

চাই। “রাজীব দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ: তোফায়েল”

শিরোনামের ওই সংবাদটিতে লেখা হয়েছে, “আওয়ামী

লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ

বলেছেন, ব্লগার রাজীব দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ।

রাজীব চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর রক্ত দিয়ে উজ্জীবিত

করে গেছেন তরুণ প্রজন্মকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল

থেকে শাহবাগের কর্মসূচি আবারও লাগাতার করা

হয়েছে।” লিংক: http://archive.prothom-alo.com/…/date/2013-02-16/

news/329706

নিহত বা মারা যাওয়া যে কোনো মানুষের পরিবারকে

সান্তনা দিতে যাওয়া শুধু মানবিক দিক থেকে নয়, ধর্মীয়

দিক থেকেও একটি উত্তম কাজ। প্রধানমন্ত্রী একজন মানুষ

এবং একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সেই কাজটিই

করেছেন নিহত রাজীবের মায়ের কাছে ছুটে গিয়ে।

কিন্তু সেখানে দেয়া তার বক্তব্যটি ছিল ‘সান্তনা’র

বাইরের কিছু।

কোনো দাবি নিয়ে মাঠে আন্দোলনরত একটি গোষ্ঠির

কোনো সদস্য কোনোভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যু/হত্যার

শিকার হওয়ার পর তাকে ‘প্রথম শহীদ’ বলে অভিহিত করা

নিশ্চিতভাবেই একটি দীর্ঘ ‘যুদ্ধের’ দিকে

আন্দলনকারীদের ধাবিত করতে উৎসাহ দেয়ার নামান্তর।

কারণ, ‘প্রথম’ দিয়ে তো মাত্র শুরুটাই বুঝানো হল। আর

কাউকে ‘শহীদ’ বলে মহিমান্বিত করার অর্থ হচ্ছে তার

‘শাহাদাত’র সাথে জড়িত চিন্তা, কর্ম ও আবেগকে আরো

উস্কে দেয়া। আমরা সবাই সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে

জেনেছি যে, রাজীব হায়দারের হত্যার সাথে (কারণ

হিসেবে) জড়িত ছিল ব্লগে তার বিতর্কিত লেখালেখি,

যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ বক্তব্য অনুযায়ী

‘পর্ণ ও নোংরা’ এবং ‘বিকৃত মানসিকতা’ সম্পন্ন মানুষের

কাজ।

কিন্তু ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী এবং তার

দলের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমদ যখন সেই ‘পর্ন ও

নোংরা’ লেখালেখি করা ‘বিকৃত মানসিকতা’র

ব্যক্তিটিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের শহীদ’র মর্যাদায় আসীন

করেছিলেন, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই তার সাথের

‘বিকৃত মানসিকতা’র বাকি গুটিকয় লোক শতগুণ বেশি

উৎসাহ নিয়ে তাদের ‘নোংরামি’ চর্চা বাড়িয়ে

দিয়েছিল। তাই নয় কী?

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মত দেশের লাখো কোটি

লিবারেল ধার্মিক মানুষ নিজেরদের চোখে ‘বিকৃত

মানসিকতা’র ব্লগারদের ‘নোংরামি’ দেখছিল, আর

দেখছিল দেশের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিদের কর্তৃক তাদের

উৎসাহ যোগানোর দৃষ্টান্তগুলোও। প্রধানমন্ত্রী এখন যেমন

তার ধর্মকে আঘাত করায় কষ্ট পাচ্ছেন, ঠিক এমনি তখন ওই

ধার্মিক মানুষগুলোও কষ্ট পেয়েছেন। নিজেরা আক্রান্ত

বোধ করেছেন। ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ‘বিকৃত মানসিকতা’য়

আক্রান্ত গোষ্ঠি এবং তাদের উৎসাহদাতাদের শত্রু জ্ঞান

করতে শুরু করেছেন। তাহলে প্রধানমন্ত্রী এখন এত সব পর্ণের

রেকর্ড এবং সেগুলোকে উস্কে দেয়ার দায়

সোজাসাপ্টা অস্বীকার করবেন কী করে!

তবে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান দেরিতে হলেও স্বচ্ছ ও শক্ত

হয়েছে এজন্য দোয়া করি। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত

করুক! দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজনের শুরু যে জায়গা

থেকে, সেই বিভাজনের শেষের শুরুও হোক সেই জায়গা

থেকেই! আমিন!

বিষয়: বিবিধ

১২১১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366064
১৮ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:২১
হতভাগা লিখেছেন : ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিয়ে ১লা বৈশাখের উৎসব নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য না করার কথাও ঐ ট্রেইলারের সাথেই ছিল । লক্ষ্য করেন নি হয়ত ।
376888
২৮ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
হতভাগা লিখেছেন :



মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File