ইসলামী সম্মেলনে মুসলিম নেতারা, নেই শুধু শেখ হাসিনা আর স্বৈরশাসক সিসি
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৪ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:২৫:০৬ রাত
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিরাজমান মতপার্থক্য দূর করার
লক্ষ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন
সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে সমবেত হয়েছেন
বিশ্বের ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।
দুদিন ব্যাপী এ শীর্ষ সম্মেলন বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এবং
এতে ভাষণ দেবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ
তাইয়্যেপ এরদোগান।
১৯৬৯ সালে ওআইসি প্রতিষ্ঠার তুরস্ক এই প্রথম এ সংস্থার
শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করল।
শুক্রবার এরদোগানের এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে
শীর্ষ সম্মেলন শেষ হবে।
এবারের বৈঠকে মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে
সৌদি রাজা সালমান বি আবদুলআজিজ, ইরানি
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অংশ নিয়েছেন।
তুরস্ক বলছে, বিশ্বের ১৭০ কোটি মুসলমানের মধ্যে
মতপার্থক্য নিরসন করার চেষ্টা করবে তারা।
তবে সিরিয়া ও ইয়েমেন সংকট এ সম্মেলনে কালোছায়া
ফেলেছে। সৌদি আরব ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান দুটি
দেশের সঙ্কটে বিপরীতে মেরুতে অবস্থান নিয়েছে।
সাবেক উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ইস্তাম্বুলে,
যেখানে বসে উসমানীয় শাসকরা কয়েক শতাব্দী শাসন
করেছেন, আয়োজিত এ সম্মেলন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব নেতাই
অংশগ্রহণ করলেও মিশরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ
আল-সিসি অংশ নেননি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাও শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেননি।
মিশর ও বাংলাদেশ দুই মুসলিম প্রধান দেশেই ওআইসির
গুরুত্বপুর্ন সদস্য । মুসলিম বহুল। অবশ্য শেখ হাসিনা ও মিশরের
সিসির উপন্থিত না থাকার পিছনে অনেকেই বলছেন, দেশ
দুটি মূলত এখন ক্ষমতাসীনদের মদদে মুসলিম নিপীড়নের
আখড়ায় পরিনত হয়েছে। এক্ষেত্রে ইসলামপন্থিদের উপর
নির্যাতন, বিরোধী মতালম্বীদের হত্যা, মিডিয়া দলন,
গুমের ক্ষেত্রে দেশ দুটির প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায় ।
মুসলিম নিধনের ক্ষেত্রে ভারত ও ইসরাইল গলায় গলায় মিল।
এক্ষেত্রে হাসিনা ও সিসি বিরোধী মত দলনে
যথাক্রমে ভারত ও ইসরাইলের উপর অনেকাংশেই
নির্ভরশিল ।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন