নতুন বছরে জাতির জন্য নতুন উপহার! !!! ডাস্টবিনে মিলল নবজাতক, নাম বৈশাখী!!!!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:৪১:২১ সন্ধ্যা

কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় রাস্তার

পাশের একটি ডাস্টবিন থেকে এক মেয়ে নবজাতককে

উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা

কর্মকর্তা (আরএমও) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নবজাতককে জন্মের দুই

ঘণ্টার মধ্যে ডাস্টবিনে ফেলা দেওয়া হয়। তবে শিশুটি

বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওর নাম

দিয়েছে বৈশাখী।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত

১১টার দিকে রেল স্টেশনের পাশে ডাস্টবিনে শিশুটির

কান্না শুনতে পান ময়নুল হক ও জিতু নামের দুই যুবক। পরে

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দুই যুবক শিশুটিকে ডাস্টবিন

থেকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি

করে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ওই নবজাতকের

চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নবজাতককে দেখাশোনা করছেন

শহরের পুরাতন রেল স্টেশন পাড়ার শাহ আলমের স্ত্রী

খাদিজা বেগম।

ময়নুল হক বলেন, ‘আমি রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়

শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই। পরে ডাস্টবিনের

কাছে শিশুটিকে পাই। পরে জিতুকে ডেকে নিয়ে

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

খাদিজা বেগম বলেন, ‘সদর হাসপাতালে আমি রোগী

দেখতে এসেছিলাম। এ সময় শিশুটিকে হাসপাতালে

নিয়ে আসা হয়। নাম পরিচয়হীন শিশুটিকে দেখে আমার

মায়া লেগে যায়। আমি তখন থেকেই বাচ্চাটির দেখা

শোনা করছি। আমি শিশুটিকে নিতে চাই।’

খাদিজা বেগমের স্বামী শাহ আলম বলেন, ‘আমার স্ত্রী

শিশুটি নিতে চায়। আর ওই আশায় বাড়িতে না গিয়ে

শিশুটির দেখাশোনা করছি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ

সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে আবেদন করছি যেন ওকে আমার

স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিচয়বিহীন শিশুটির

ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ

সুপার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে

জানানো হয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

৮৩৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

365652
১৩ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : এ দেশে কিছু দোকান আছে যার নাম 'বায় এণ্ড সেল'৷ তারা পুরাতন জিনিষ কেনে আর বেচে৷ আমাদের সরকারের উচিৎ এমন একটা ডিপার্টমেন্ট খোলা যারা এই ডাষ্টবিনের বাচ্চা গুলোকে ফেলার আগেই জমা নিয়ে চাহিদা মত সরবরাহ করবে৷ দিনে দিনে এর সংখ্যাতো বাড়তেই থাকবে৷ এ সমস্ত বিষয়ে স্কুলে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে৷ তারাতো অবশ্যই প্রাক্টিক্যালে শিখবে৷ স্যরি৷ ধন্যবাদ৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File