বাংলাদেশী স্যাকুলার বুদ্ধিজিবীদের দু’টি ভয়
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ৩০ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৫৯:৪০ বিকাল
মোহাম্মাদ আল-আমিন
এক. ইসলাম ধর্ম : বাংলাদেশী স্যাকুলার বুদ্ধিজিবীরা
পরিকল্পিত ভাবে সব সময় ইসলামকে যতটা হেয় করে কথা
বলে ঠিক ততটা অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে বলেনা। কেন
বলেনা, তা এখনো বিস্ময়কর! এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ,
খ্রীষ্টান সহ আরো অনেক ছোট খাটো ধর্ম বিদ্যমান
থাকলেও তারা শুধু ইসলামকে নিয়েই বিষোদগার করে।
সভা সেমিনারে ইনিয়ে বিনিয়ে বুঝাতে চায় যে
‘ইসলাম ধর্ম অপ্রয়োজনীয়’ এবং এটি পালন করা একটি
পার্সোনাল ম্যাটার। হিজাব ইসলামের কোন বিষয় নয়,
এটা সৌদী কালচার। এরা শুধু ইসলাম ধর্ম ভিত্তিক সকল
রাজনৈতিক দলেরই সমালোচনা করে; কথায় কথায়
ইন্ডিয়ার উপমা তুলে ধরে। অথচ, স্যাকুলার রাষ্ট্র ইন্ডিয়ার
ক্ষমতাসীন কট্টর হিন্দু ধর্ম ভিত্তিক দল বিজেপির
সমালোচনা কখনোই করেনা। কেন করেনা-তা এক আশ্চর্য
বিষয়! তাদের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ হলো-
ক্লাসরুম থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র- কোত্থাও ইসলাম
নামক ধর্মের নিশানা রাখা যাবেনা। এবং ইসলাম ধর্মই
আমাদের উন্নয়নের মূল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এনজিওর
মাধ্যমে সেই মেসেজ তারা গ্রাম বাংলার আনাচে
কানাচে প্রচার করে বেড়ায়। বাংলাদেশের
অধিকাংশ এনজিও স্যাকুলার বুদ্ধিজিবীদের দ্বারা
পরিচালিত। ইসলাম বিদ্বেষী এই প্রচেষ্টার অংশ
হিসেবে আমাদের গৌরবের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম
ধর্মের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বার বার। তবে,
সেই প্রচেষ্টাকে ধারাবাহিক ভাবে ব্যার্থ করে
দিয়েছে বাংলাদেশের আপামর সাধারণ জনগন। গতকাল
উচ্চ আদালত কর্তৃক ‘রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম’ বিষয়ক রিট খারিজ
করে দিয়ে, সাধারণ জনগনের সেন্টিমেন্টকেই উচ্চ
আদালত সম্মান জানিয়েছে। এটিই সবচেয়ে আশার কথা।
দুই. সেনা বাহিনী
ঘুরে ফিরে ঐ স্যাকুলার গোটা কতেক বুদ্ধিজীবিরাই
কিন্তু সেনাবাহিনীর বিপক্ষে। তাদের মাষ্টার প্ল্যান
হলো- এই রাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর মতো পাগলা হাতী
লালন পালন করে কোন লাভ নাই। এরা বসে বসে শুধু
রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করছে। যুদ্ধ লাগলে এই সেনাবাহিনী
দ্বারা কিছুই করা সম্ভব নয়। অতএব, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা
এবং সুযোগ সুবিধা কমিয়ে ফেল। এই যুক্তিকে ভ্যালিড
করবার জন্য সেনাবাহিনীকে জনগনের প্রতিপক্ষ
হিসেবে দাঁড় করবার প্ল্যান হাতে নিয়েছে বহু আগে।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষাপট তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ঐ
সময় সাধারন মানুষকে বুঝানো হয়েছে যে এই
সেনাবাহিনী অত্যাচারী, লোভী। তারা বিডিআর
দিয়ে আলু পেয়াজ বিক্রি করে নিয়েছে অথচ তাদেরকে
সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি। অতএব, এই সেনাবাহিনী
অফিসারগণ খুবই খারাপ তাদেরকে শেষ করে দাও। এবং
করেছেও তাই।
শেষ কথাঃ
তনু হত্যার প্রেক্ষাপটে জনগনকে সেনাবাহিনীর বিপক্ষে
ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে। এটি যে একটি সুপরিকল্পিত
মাস্টার প্ল্যান তা বুঝা যায় শাহবাগীদের এক্টিভিটিস
থেকে। শাহবাগীরা খুব সহজে জাগেনা- এটি জানা
কথা। সুনির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট ছাড়া শাহবাগে কোন
মোমবাতি জ্বলে না। প্রতিদিন এদেশে ধর্ষণ হচ্ছে, মানুষ
গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে। তনু হত্যার ঠিক সমসাময়িক সময়ে
শাহবাগী ঘরানার প্রগতিশীল শিল্পী কৃষ্ণাকলির
কাজের মেয়েকে তারই স্বামী ধর্ষন করে হত্যা করেছে;
অথচ শাহবাগীরা সেই মেয়েটির ব্যাপারে টুঁ শব্দটি
করছেনা! কেন করছেনা- তা এখন মিলিয়ন ডলার কুয়েশ্চেন।
অতএব বুঝা যায়, শাহবাগীরা সকল ধর্ষনের বিপক্ষে নয় শুধু
ক্যান্টনমেন্টে যে নাট্যকর্মী তনু হত্য হয়েছে শুধু তারই
বিচার চায়। তার অংশ হিসেবে গোটা সেনাবাহিনীর
বিচার চায়। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে
লেলিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি আটক এই
পরিকল্পনারই একটি অংশ। অতএব, দেশ রক্ষায় সাধারণ
জনতাকে সচেতন হতে হবে এক্ষুনি। বাংলাদেশ নামক
রাষ্ট্রের স্বাধীনতার রক্ষা কবজ হলো দু’টি- ইসলাম এবং
সেনাবাহিনী। এই দুটির যেকোন একটি ধ্বংস হলে অদূর
ভবিষ্যতে এদেশের অস্তিত্ব বিলীন হতে খুব বেশী সময়
লাগবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন