কায় জানে হাসিনা ক্যানে কান্দিছ
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৯ মার্চ, ২০১৬, ০৭:২১:৩৫ সন্ধ্যা
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
কয়েক দিন আগে দুপুরে খেতে গিয়েছিলাম এক বন্ধুর
বাসায়। তাতে আমন্ত্রণকারীর এক পরিবার আত্মীয়ও ছিল।
এই পরিবারটি এসেছিলেন দিনাজপুরের এক গণ্ডগ্রাম
থেকে। গণ্ডগ্রাম তাদের ছোট করার জন্য বলছি না। বলছি এ
কারণে যে, লেখাপড়া জানলেও তারা এখনো তাদের
আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
আমার স্ত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। অধ্যাপনার চাকরি
থেকে এখন অবসরে। তিনিও দেখি ছেলেমেয়েদের
সাথে আইবাম যাইবাম খাইবাম- এরকম ভাষায় ইদানীং
কথা বলেন। এ নিয়ে ছেলেমেয়েরা অবিরাম তাকে
টিটকারি দেয়। কিন্তু তার বক্তব্য, আমার মাও তো এই
ভাষায়ই কথা বলতেন, অসুবিধা তো কিছু হয়নি।
ছেলেমেয়েদের দেখি, কখনো তাকে নকল করার চেষ্টা
করছে। আমি সেটা উপভোগই করি।
টেবিলে সেদিনের একটি সংবাদপত্র ছিল। তাতে বেশ
বড় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ক্রন্দনরত ছবি
ছাপা হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নানা কারণে
কাঁদেন। কিন্তু সেদিন তিনি কেন কাঁদছিলেন, মনে করতে
পারছি না। ছবিতে ছিল শেখ হাসিনা মাথা নিচু করে
কাঁদছেন আর টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মুছছেন।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে একটি ছয়-সাত বছরে মেয়েও ছিল। সে
কিছুক্ষণ পর পরই তার মায়ের কাছে এসে জিজ্ঞেস করছিল,
‘হ্যাঁ মাই, হাসিনা ক্যানে কান্দিছু?’ কেউ তার কথায়
তেমন গুরুত্ব দিচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এসে তার
মাকে একই প্রশ্ন করছিল, হ্যাঁ মাই, হাসিনা ক্যানে
কান্দিছু? আমরা নানা বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। কেউ খুব
একটা মনোযোগ দিচ্ছিল না। আমি যে কিছু বলব, তারও
কোনো উপায় ছিল না। কারণ এ ভাষার সাথে আমি
পরিচিত নই। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির মা মুখ ঝামটা দিয়ে
বলে বসলেন, ‘কায় জানে, হাসিনা ক্যানে কান্দিছু।
যাঃ ক্যানে’। মেয়েটি মুখ ভার করে দূরে গিয়ে বসে
রইল।
শিশুটির প্রশ্ন সঙ্গত ছিল। আর শিশুদের তো অপরিমেয়
কৌতূহল। কেন কাঁদবেন শেখ হাসিনা। তাকে ধমক দিয়ে
সরিয়ে না দিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর কারো না কারো
দেয়া উচিত ছিল। ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়া ঠিক হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোকের অনেক কারণ আছে।
সেগুলো সঙ্গতও। মানুষ আবেগপ্রবণ। কাঁদতে তিনি
পারেনও। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ৮০০
কোটি টাকা লোপাটের দায়ে যিনি অভিযুক্ত, সেই ড.
আতিউর রহমানের পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রীর চোখ দিয়ে
টপটপ করে পানি পড়ছিল, একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল।
শুধু ৮০০ কোটি টাকাই নয়, নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক
থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট হাজার কোটি টাকা
বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। একটি বানান ভুলের
জন্য ফিলিপিন্সে তা আটকে যায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস
সচিব এহছানুল করিম তার ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন,
প্রধানমন্ত্রী আতিউরের সৎ সাহসের প্রশংসা করেছেন।
ক’জন পারে এ রকম ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে। কিন্তু
এহছানুল করিম বলেননি যে, আতিউরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ
করার সময় প্রধানমন্ত্রীর চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু ঝরে
পড়ছিল। এ দাবি আতিউরের। তবে এখন তা সত্য বলেই
প্রমাণিত হয়েছে। আতিউর যে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়
দিয়েছেন, তাতে তাকে এই ৮০০ কোটি টাকা পাচারের
দায়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল। তা না
করে তার প্রশংসা করে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলো
কেন?
এই টাকা চুরির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সরকার
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর নাজনীন
সুলতানা ও আবুল কাসেমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ড. আসলাম আলমকে
ওএসডি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
বলেছেন, সচিব আসলামের কোনো দোষ নেই, তবে তিনি
দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। এর আগে
আতিউর পদত্যাগ করার পর মাত্র চার ঘণ্টার জন্য এই
আসলামকেই সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত
করেছিল। আর চার ঘণ্টা পর তাকে বাদ দিয়ে সাবেক
অর্থসচিব ফজলে কবিরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
নিযুক্ত করা হয়েছে। এই অর্থ পাচারের ঘটনায় হঠাৎ করেই
সরকার এতটা আউলিয়ে গেছে যে, মুহূর্তে মুহূর্তে
সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হচ্ছে। কিন্তু তার আগে এক মাস দশ
দিন আতিউরের আদর্শের সরকার কোথায় ছিল? এই ৮০০
কোটি টাকা চুরির ঘটনা ঘটার পর ড. আসলাম বাংলাদেশ
ব্যাংকের তিনটি বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন। আতিউর
বোর্ডকেও জানানোর প্রয়োজন বোধ করেননি যে, তার
নেতৃত্বাধীন ব্যাংক থেকে ইতোমধ্যে আট শ’ কোটি
টাকা চুরি হয়ে গেছে। এই চুরির সাথে যদি আতিউরের
কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকে, তবে তিনি তা
এক মাস পাঁচ দিন ধরে কেন লুকিয়ে রাখলেন? প্রকাশ
করলেন তখনই, যখন এই টাকা নিয়ে ফিলিপিন্সে তোলপাড়
পড়ে যায়। আবার আতিউরের পেট চিঁড়ে কেন টাকা চুরির
বিষয়টি বের করতে পারলেন না, সেটা ড. আসলামের
দোষ হয়ে গেল?
কিন্তু আতিউরের প্রতি অর্থমন্ত্রীর ক্ষোভ অপ্রকাশিত
থাকেনি। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রথম আলোতে
প্রকাশিত তার সাক্ষাৎকার থেকে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। ড.
আতিউর সম্পর্কে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তার
অবদান প্রায় শূন্য। তিনি শুধু জনসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন। আর
রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা
শতভাগ জড়িত। স্থানীয়দের ছাড়া এটা হতেই পারে না।
ছয়জন লোকের হাতের ছাপ ও বায়োমেট্রিকস ফেডারেল
রিজার্ভে আছে। নিয়ম হলো প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এভাবে
ষষ্ঠ ব্যক্তি পর্যন্ত নির্দিষ্ট প্লেটে হাত রাখার পর
লেনদেন আদেশ কার্যকর হবে। তিনি (গভর্নর) সঙ্কটটির
গভীরতাই বুঝতে পারেননি। খবর পেয়েও তিনি দেশের
বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। তিনি খালি পৃথিবী ঘুরে
বেরিয়েছেন আর লোকজনকে অনুরোধ করেছেন বক্তৃতা
দেয়ার জন্য তাকে সুযোগ দিতে ও দাওয়াত দিতে। এখন
বেরোচ্ছে এগুলো। ঘটনার এক মাসেও সরকারের শীর্ষ
মহলকে না জানানোর কারণ হিসেবে আতিউর পাজল্ড
হয়ে গিয়েছিলেন বলে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাও
নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘এটাও
ভুল। আমার নিয়োগ করা গভর্নর, অথচ তিনি সব সময়ই বলে
এসেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। এমনকি
পদত্যাগপত্রও তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন। এটা
তিনি পারেন না। তার পদত্যাগপত্রটিও হয়নি। আমাদের
দেশে তো ওইভাবে নিয়ম-কানুন মানা হয় না। অন্য দেশ
হলে আমার অনুমতি ছাড়া তো তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে
দেখাই করতে পারতেন না।’
অর্থমন্ত্রীর এ কথা সর্বাংশে সত্য। বেশ কিছুকাল যাবৎ
লক্ষ্য করছিলাম, আতিউর বিভিন্ন জনসভায় বক্তৃতা করে
বেড়াচ্ছেন। আমার মনে হয়েছিল, আতিউরের দু’দফা
গভর্নরের মেয়াদ তো শেষ হয়ে আসছে। আর মুহিত
সাহেবেরও বয়স হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো
আতিউরকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন যে, মুহিত সাহেবকে
বাদ দিয়ে তাকেই পরবর্তী অর্থমন্ত্রী করা হচ্ছে। আতিউর
তার রিহার্সাল দিতে শুরু করেছেন। তাছাড়া আতিউরের
বস অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নন। প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর বস।
তাহলে আতিউর কোন বিবেচনায় অর্থমন্ত্রীর নির্দেশ
সত্ত্বেও বিমানবন্দর থেকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না
করে ‘ক্লান্তি’র অজুহাতে বাসায় চলে গেলেন। মাত্র
দু’ঘণ্টা বিমানে বসে থেকেই তিনি এতটা ক্লান্ত হয়ে
পড়লেন! পরদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তার কাছে
পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী অশ্রুসিক্ত নয়নে
তা গ্রহণ করলেন। আজব! আর ব্যাংকের এরকম অবস্থায় তিনি
ভারত গিয়েছিলেন কোন প্রমোদে? কোন তদবির করতে?
ফিরে এসে বললেন, টাকা চুরির ব্যাপারে তিনি
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। টাকা
বাংলাদেশের। চুরি হলো নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক
থেকে। চলে গেল ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কায়। আর তিনি
আলোচনা করতে গেলেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে। এমন
গাঁজাখুরি গল্প খুব কমই শোনা যায়।
রাকেশ আস্তানা ও তানভীরকে অপহরণ
ভারতীয় নাগরিক ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপ-তথ্য
কর্মকর্তাকে বিশ্বব্যাংকের সাবেক আইটি বিশেষজ্ঞ
দেখিয়ে বেশ কিছুকাল আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের
আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে
রাকেশ আস্তানাকে। তিনি এসে বাংলাদেশ
ব্যাংকের আইটি সিস্টেমে এমন সব সফটওয়ার ঢুকিয়েছেন
বা ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন, যার সাথে বাংলাদেশ
ব্যাংকের কর্মকর্তরা পরিচিত নন। বাংলাদেশ
ব্যাংকের প্রায় আট হাজার কোটি টাকা চুরির চেষ্টা ও
শেষ পর্যন্ত ৮০০ কোটি টাকা চুরিতে সফল ঘটনার সাথে
রাকেশ আস্তানার দিকে সন্দেহের তীর নিবদ্ধ হয়
একেবারে শুরু থেকেই। পৃথিবীর ব্যাংকিং ইতিহাসে এত
বড় চুরির ঘটনা এটাই প্রথম। কিন্তু এই চুরির ঘটনা তদন্তের জন্য
রাকেশ আস্তানাকে আবার নিয়োগ দেন তারই প্রতিষ্ঠিত
অতি ক্ষুদ্র একটি খ্যাতিহীন প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই-কে।
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিকসের ওয়েবসাইট অনুসারে রাকেশই এই
ফায়ারআই-এর প্রধান নির্বাহী। চুরির সাথে যার
সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, তার প্রতিষ্ঠানকেই আবার
নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেটি তদন্তের জন্য। গভর্নর আতিউর
কি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন?
যে ছয় কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ও তা পরীক্ষা করে
নিউ ইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক টাকা ছাড় করে, তারা
সবাই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাদের ধরা
যাচ্ছে না কেন? এর জবাব মুহিত সাহেবও এখন পর্যন্ত
দেননি। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি যে টাকা চুরি হলো, তার
বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ড. আতিউর এক মাস ধরে
অপেক্ষা করলেন, যাতে টাকাগুলো নিরাপদে ব্যাংক
সিস্টেম থেকে বেরিয়ে ব্যক্তির হাতে পৌঁছে যেতে
পারে। ইতোমধ্যে সেই আট শ’ কোটি টাকা ব্যক্তির হাতে
পৌঁছেও গেছে। আর তারপর ‘বীরে’র মতো পদত্যাগ
করেছেন আতিউর। তদন্তকারী দলের উদ্ধৃতি দিয়ে এক
সহযোগী লিখেছেন, ‘এ কাজে ব্যবহৃত চারটি ইউজার
আইডি শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত
করা গেছে। এটি একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের কাজ। এতে দেশী-
বিদেশী চক্রের লোকজন জড়িত রয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করা হয়েছে। দেশী চক্রে
প্রভাবশালী মহল জড়িত। তাদের নাম প্রকাশ করা সহজ কাজ
নয়। জীবনের ঝুঁকি আছে। আমরা প্রায় নিশ্চিত, কারা এ
কাজের সাথে জড়িত। আর অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রাকেশ
আস্তানার কাজের পরিধি কমানো হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে
নিয়োজিত র্যাবের সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ
তানভীর হাসান জোহাকে বুধবার দিবাগত রাতে
কচুক্ষেত এলাকার ডিজিএফআই অফিসের সামনে থেকে
অপহরণ করা হয়েছে। তবে কোনো থানাই তার পরিবারের
মামলা নেয়নি। তিনি এই অর্থ চুরির প্রকৃত কিছু তথ্য
সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। ফলে
একটি মহল তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বলে তিনি মিডিয়াকে
জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তদন্তে রাকেশ আস্তানার
দেয়া অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্যের সাথে দ্বিমত পোষণ
করেছেন জোহা। ফলে তদন্ত থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার
একটা চেষ্টা ছিল। অপহরণের সময় তার এক বন্ধু তার সাথে
ছিলেন। তিনিই অপহরণের কথা পরিবারকে জানান। তার
অপহরণ সম্পর্কে আমাদের সন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তাকে তদন্তের প্রয়োজনে
আটক করা হতে পারে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ৮০০ কোটি টাকা
ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার
হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক জানিয়েছে সে টাকা আর
ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ভালোই দায়িত্ব
পালন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর
রহমান। আর তার এই সাফল্যের পরও তার পদত্যাগেই কি তবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেঁদে ফেলেছিলেন? তবে
কি তিনি আগে থেকেই ঘটনার পূর্বাপর জানতেন?
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
বিষয়: বিবিধ
৯৮৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন