আতিউর এর আওয়ামী খাতিরে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে লাল বাতি!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৫ মার্চ, ২০১৬, ০২:১৬:৫৪ দুপুর
‘চেতনার সৈনিক’ আতিউর রহমান এখন ‘বলির পাঠা’ হতে
যাচ্ছেন। এক সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আতিউর
নিজের অতি আওয়ামীপনা দিয়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
গভর্নরের পদ বাগিয়ে নেন। যদিও এখন তার সেই অতি
আওয়ামীপনা কোনো কাজেই আসছে না। শেখ হাসিনার
রাজ্যশাসন টিকিয়ে রাখতে তার আশপাশের রাঘব
বোয়ালরা, যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক
বিলিয়ন ডলার লুটে জড়িত, ছাড় পেয়ে যাচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘আইওয়াশ’ হিসেবে ঘটনার
পুরো দায়ভার গভর্নর আতিউর রহমানের উপর চাপিয়ে মূল
হোতাদের দায়মুক্তি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অবশ্য, আতিউরের পদত্যাগের কোনো কারণ নেই, বিষয়টি
তেমন নয়। একজন গভর্নর হিসেবে তিনি দুইটা অমার্জনীয়
অপরাধ করেছেন: এক মাসাধিক কাল ধরে এত বড় ঘটনা
তিনি লুকিয়ে রেখেছেন (সেটা ইচ্ছায় বা চাপে হোক),
দুই: ঘটনা প্রকাশের পর যখন দেশে তো অবশ্যই, সারা দুনিয়ায়
তোলপাড় চলছে তখন তিনি পরিস্থিতির চাহিদার ১৮০
ডিগ্রি বিপরীতে দাঁড়িয়ে বিদেশ সফরে গেছেন! তাও
আবার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ব্যক্তিগত কাজ! শুধু এই দুই কাজের
জন্য আতিউরের শুধু পদত্যাগ নয়, দায়িত্বে অবহেলার জন্য
বিচারেরও মুখোমুখি হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি আছে।
কিন্তু এটা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে,
আতিউর রহমান নিজে কথিত হ্যাকিংয়ের নামে টাকা
লুটের সাথে জড়িত নন। তার অধীনস্থ এবং সরকার ঘনিষ্ট
লোকজন বাইরে তাদের সহযোগীদের সহায়তায় টাকা
চুরি করেছে। আবার ব্যাংকের ভেতরের এবং বাইরের
চোরদের ‘ধরা পড়লে সমস্যা হবে না’ ধরনের প্রশ্রয় দেয়ার
জন্য নিশ্চিতভাবেই সরকারের উপর মহলের এক বা একাধিক
ব্যক্তির সংশ্লিস্টতা রয়েছে।
শেয়ারবাজার লুটকারী চক্র, পদ্মাসেতুর মতো
আন্তর্জাতিক প্রকল্পে ঘুষ চাওয়া চক্র, ডেস্টিনি নামে
টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্র, সোনালী ব্যাংক, বেসিক
ব্যাংক লুটকারী চক্র ইত্যাদি নানা ধরনের এক বা
একাধিক চক্র রয়েছে যারা কখনো বিচারের সম্মুখীন
হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান
লুটের সাথে সরকারের এমন প্রভাবশালী চক্র জড়িত না
থাকলে ছোট খাটো কেউ তাতে আগাতে সাহস করবে
না।
যেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক
মাত্রা পেয়েছে, ফলে এখন কাউকে না কাউকে
‘শায়েস্তা’ করে আইওয়াশ করতে হবে। কিন্তু মূল হোতাদের
তো কোনোভাবেই সামনে আনা যাবে না। সামনে
আনলে সরকারের একদম উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের পকেট
থেকে বিড়াল বেরিয়ে যাবে! এ অবস্থায় উত্তম বলির
পাঠা হচ্ছেন, গভর্নর। পরিস্থিতির চাহিদার কারণে গভর্নর
আতিউরের অতীত অতি আওয়ামীপনাকেও এখন আর আমলে
নেয়া যাচ্ছে না। নিজের দায়টুকুর সাথে বাকি
হোতাদের দায়ও তার ঘাড়ে চাপিয়ে তর্জন গর্জন শুরু
হয়েছে। হয়তো আজই তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে
তল্পিতল্পা গুটিয়ে ‘রবিন্দ্রগবেষণায়’ মনোযোগ দেবেন।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন