আল্লাহ যদি এভাবেই মিথ্যার বেশাতি ধ্বংস করত!!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৭:১৯:৫৪ সন্ধ্যা
বই নিসন্দেহে জ্ঞানের বাহন। আর বিবেকবান মানুষ মাত্রই জ্ঞানের প্রয়োজন অনস্বীকার্য | কিন্তু বাংলা একাডেমী একুশের বই মেলাতে এমন সব বই প্রকাশ করে যেগুলো পড়ে মানুষ আর মানুষ থাকেনা। পবিত্র কুরআনের বিকৃতি থেকে শুরু করে ইসলামের নবী (স) এর জীবন নিয়ে যে চরম ঘৃণ্য লেখা বই বলে চালিয়ে দিয়ে এরা সমাজ ও সভ্যতাকে ধ্বংস করে চলেছে। আমার মত দুর্বল চরিত্রে মুসলমান মনের কষ্ট বুকে চেপে কোন রকম বেঁচে আছি | আর প্রতি মুহুর্তে আল্লাহর কাছে শয়তানদের ধ্বংস কামনা করছি।
আল্লাহ বোধহয় এবার আমাদের প্রার্থনা কবুল করেছেন। একুশের বই মেলায় তাই শিলা বৃষ্টি আঘাত হেনেছে |
শিলাঝড়ে লণ্ডভণ্ড বইমেলা!!!!!
অমর একুশে গ্রন্থমেলার দুই প্রাঙ্গণেই থইথই করছে পানি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি সেচছেন। তাতেও
তেমন পানি সরছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছিল সেচ।
বাংলা একাডেমি তথ্যকেন্দ্রের মাইক থেকে ভেসে
আসছিল, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মেলা সাময়িক
বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে বইমেলার
কার্যক্রম আবার শুরু করা হবে।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের দিককার
টিন দিয়ে তৈরি বেষ্টনী উড়ে গেছে শিলাঝড়ে।
অনেক স্টলের সাইনবোর্ডের নাম-নিশানাও খুঁজে পাওয়া
যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে হাঁটু পর্যন্ত পানি। সেই পানি
প্রবেশ করেছে স্টলগুলোতে। স্টলগুলোর ভেতর ভেজা
বইয়ের স্তূপ। যেগুলো সামান্য ভিজেছে সেগুলো শুকনো
কাপড় দিয়ে মুছছিলেন বিক্রয়কর্মীরা। কাদায় হাঁটা
যাচ্ছে না। অকেজো হয়ে যায় সিসিটিভি ক্যামেরাও।
এককথায় মাত্র সাত মিনিটের শিলাঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে
দিয়ে গেছে প্রাণের মেলা।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ
ছিল মেঘাচ্ছন্ন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারে
ছেয়ে যায় ঢাকা। ধারণা করা হচ্ছিল, বৃষ্টি নামতে
পারে। গতরাতে ঢাকার আশপাশে ও আরও কয়েক জেলায়
বৃষ্টি হওয়ায় এ ধারণা করছিলেন মানুষ। বেলা ১১টা ৫০
মিনিট থেকে ৫৭ মিনিট পর্যন্ত প্রবল শিলাবৃষ্টি ও
সেইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় উড়েছে ঢাকা। মাত্র ৭
মিনিটের বৈরি আচরণে হতভম্ব হয়ে পড়ে নগরবাসী। আর
সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বইমেলা।
মৌসুমের এটিই ছিল প্রথম শিলাবৃষ্টি। শিলাখ-ের আকারও
ছিল বেশ বড়। শিলাখ-ের আঘাতে বেশিরভাগ স্টলের
সাইনবোর্ড ও নামফলক উড়ে যায়। অনেক স্টলের ছাদ ফুটো
হয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভিজে যায় বই। কিন্তু ৭
মিনিটের ওই ঝড়ো হাওয়া আর শিলাবৃষ্টির পর হঠাৎ করেই
আকাশে হেসে ওঠে সূর্য। ঝলমলে আলো দেখে বোঝারই
উপায় নেই, একটু আগেই কেমন সেজেছিল প্রকৃতি! এর
কিছুক্ষণ পরেই আবার মুষলধারে বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টির
স্থায়িত্বকালও কম ছিল। তবে তার আগেই শেষ হয়ে যায় সব!
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলার দুই প্রাঙ্গণেই প্রায় সব
স্টলই কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রমনা কালীমন্দিরের পাশে যে
স্টলগুলো আছে। সেখানে হাঁটুপানি। প্রতিটি স্টলেই
পানি ঢুকেছে। নষ্ট হয়েছে লাখ লাখ টাকার বই। এ দিকে
প্রায় পঞ্চাশটির মতো স্টল রয়েছে। এরই একটি অন্বেষা
প্রকাশনী। এর সত্ত্বাধিকারী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘এ
দিকটা অনেক নিচু। পুরো জায়গায় ডুবে গেছে পানিতে।
বেশিরভাগ বই ভিজে গেছে। বইগুলো এখন সরাতেও
পারছি না।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গিয়েও
দেখা গেল একই চিত্র। অন্যপ্রকাশ, অনন্যা, ইউনিভার্সিটি
প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল), সাহিত্যপ্রকাশ, শিকড়, ইত্যাদি
গ্রন্থপ্রকাশ, শ্রাবণ প্রকাশনী, বিভাসসহ বেশিরভাগ
প্রতিষ্ঠানের স্টলে পানি ঢুকেছে এবং বই নষ্ট হয়েছে।
অনন্যা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী মনিরুল হক
বাংলামেইলকে বলেন, তাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকার
মতো বই ভিজেছে। আমরা এখনও বইগুলো সরানোর কাজে
ব্যস্ত আছি।’
অন্যপ্রকাশের বিক্রয়কর্মী তুহিন বলেন, ‘এত সতর্ক থাকার
পরেও শিলাবৃষ্টির কারণে আমাদের স্টলের ছাদ
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পানি পড়ে প্রচুর বই ভিজে গেছে।
নষ্ট হয়েছে অনেক টাকার বই।’
ইউপিএলের বিক্রয়কর্মী মো. আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ৮০
ভাগ বই ভিজে গেছে। প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো বই নষ্ট
হয়েছে।’
সাহিত্যপ্রকাশের বিক্রয় ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন বলেন,
‘আমাদের স্টলটির অবস্থা ভয়াবহ অবস্থা। লাখখানেক
টাকার মতো বই নষ্ট হয়েছে।’
বিষয়: বিবিধ
১১০৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন