যাওতো হানিফ কলকেটা ঠিকমতো সেঁজে আনো বাপ

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০২:২২:১৮ দুপুর

আমান আব্দুহু

ক্যাপশনঃ রোববার রাজশাহী সিপাইপাড়া এলাকায়

পাকিস্তান আমলে তৈরী করা মিউনিসিপ্যাল পার্কে

পাকিস্তানের প্রথম গর্ভণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী

জিন্নাহ’র নাম থাকায় পার্কটি’র নামফলক ভেঙে দেয়

মুক্তিযোদ্ধারা ।

১. নামফলক ভেঙে দিচ্ছে 'মুক্তিযোদ্ধারা'! হু মুক্তিযুদ্ধ

চলছে। কোটা, দখল, ধর্ষণ সবই তো আসলে যুদ্ধ। খেলা হবে।

২. মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনেক আত্মসম্মান।

তারা দুর্জয় তারা নির্ভীক, তারা শত্রুর সাথে সকল সম্পর্ক

ছিন্ন করে। তাই তারা জিন্নাহর নাম থাকা নামফলক

উপড়ে ফেলে।

ধরেন, কোন শত্রু গিফট পেপারে মুড়িয়ে নেম কার্ড

লাগিয়ে আপনার কাছে একটা গাড়ি গিফট পাঠালো।

আপনার অনেক চেতনা, আপনি কি করবেন? গিফট পেপার

ছিড়ে খুড়ে নেম কার্ড ভেঙ্গে পায়ে দলে মুচড়ে সেই

গাড়িেত চড়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবেন।

এইসব ছোটলোক মুক্তিযুদ্ধারা যদি পার্ক ভেঙ্গে নতুন

পার্ক বানাতো, পাকিস্তানীদের বানানো সংসদ ভবন

ভেঙ্গে নতুন সংসদ ভবন, কমলাপুর ষ্টেশন ভেঙ্গে নতুন রেল

ষ্টেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভেঙ্গে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়

ভবন বানাতে পারতো তাহলে হয়তো বলা যেতো চেতনা

ষ্ট্রং আছে।

কিন্তু আফসোস! চেতনার বাহাদুরি কেবলমাত্র নাম

ফলকের উপর জারি থাকলো। ফইরের বাচ্চা ফইর হাহাহাহ

মোশাররফ করিম।

৩. চেতনার এইসব বাহাদুরি দেখলে, সত্যি কথা হলো,

ভালো লাগে। শত্রু যখন বলদামি করে তখন তা উপভোগ করা

দরকার। পছন্দের মানুষদের বলদামিতে ক্ষুদ্ধ হলেও চেতনার

বলদামিতে আনন্দিত হই। স্বীকার করছি, এইটা ভালো

না।

৪. জিন্নাহর নাম দেখে মনে পড়লো আহমদ ছফা

লিখেছিলেন প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের কথা। তিনি

প্রফেসর রাজ্জাককে বাংলাদেশের স্বাধীনতা

চিন্তার স্থপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি এও

বিস্তারিত লিখেছেন রাজ্জাক সাহেব কিভাবে

পাকিস্তান আন্দোলন সমর্থন করতেন এবং জিন্নাহকে

সমর্থন করতেন। সম্ভবত হ্যারল্ড লাস্কি অথবা অন্য কোন

বিখ্যাত পন্ডিতের সাথে প্রফেসর রাজ্জাক ছাত্র থাকা

অবস্থায় কিভাবে জিন্নাহর পক্ষ নিয়ে তর্ক করেছিলেন

তাও লিখেছিলেন আহমদ ছফা।

৫. স্বাভাবিক বোধ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ইতিহাসের

ধারাবাহিকতা নিয়ে গর্ব করে। গর্ব করার মতো না হলে

বিশ্লেষণ করে। অন্যদিকে উপহারের নেমকার্ড ছিড়ে

ফেলে সেই উপহারের কেক খেতে থাকা ছোটলোকরা

সাধারণত নিজের বাপকেও অস্বীকার করে।

৬. একসময় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি ছিলো প্রফেসর

রাজ্জাকের মতো মানুষেরা, যারা ছেড়া পাঞ্জাবী

আর চাদর গায়ে দিয়ে পাঁচতারা হোটেলে আমেরিকান

মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে তোয়াক্কা করতো না। তখন

সে মন্ত্রী গর্বও করতো, এই লোক বিদেশের

বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কলিগ ছিলো।

এখন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি হলো খাটের তলে

লুকিয়ে থাকা আবেগ-থকথকে লেখাচোর এবং বিদেশের

বিলাসী জীবনে পালিয়ে যাওয়া গাঞ্জাসেবী

ইতিহাসবিদ লুচু মহাশয়।

সুতরাং নামফলকের সাথে যুদ্ধ করার ডন কুইক্সোট মার্কা

এইসব দৈন্যতা স্বাভাবিক।

৭. শেষে আবারও বলি, ছবিটা দেখে খুব ভালো লাগছে।

চেতনাযোদ্ধাদের এই ইডিওক্রেসি আরো শক্তিশালী

হোক। ইতিহাসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে দাদাদের

দাসত্ব প্রতিষ্ঠা হোক।

সুবে বাংলার যবনগুলোকে হাঁটার সময় পায়ের জুতো

যখন আবার হাতে তুলে নিতে হবে, যখন তাদের জন্য

টাঙ্গাওয়ালা ভিস্তিওয়ালার জব মার্কেট শক্তিশালী

হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন যখন ছোটলোকদের

পেছন দিয়ে বের হয়ে যাবে, রাজনীতি করতে চাও?

হাহাহ যাওতো হানিফ কলকেটা ঠিকমতো সেঁজে

আনো বাপু শুনতে হবে শুধুমাত্র তখনই এরা বুঝতে পারবে

আসলে মুক্তিযুদ্ধের কিংবা স্বাধীনতার সংগ্রামের

চেতনা কি জিনিস।

বিষয়: বিবিধ

৯৭০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359916
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:২৫
শেখের পোলা লিখেছেন : বেশী বাকী নেই সে দিন আসিতে৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File