ওরা এক হচ্ছে, আমরা বিভক্ত হচ্ছি!
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৮:৪৯:২১ সকাল
ইসলাম এবং মুসলমানের দুশমনরা ইতিহাসের স্বর্ণ যুগ পার
করছে৷ দিন দুপুরে তাদের পৈশাচিক উল্লাস বাস্তবেই
চিন্তার ভাজ ফেলছে কপালে। সদর্পে বলে কয়ে
ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খিস্তি খেওড় করছে।
মুক্তমনার নামে চলছে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র
বিষোদ্গার। মানবতার মুক্তি দূত হজরত রাসূল সাল্লাল্লাহু
অালাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে তাদের ঔদ্ধত্য সীমা
অতিক্রম করেছে বহু অাগে৷
সাংস্কৃতিক যুদ্ধে সর্বত্র তাদের জয়যাত্রা। অামাদের
তরুণরাতো নাম সর্বস্ব মুসলমান। চিন্তা-চেতনায় তাদের
অধিকাংশ পুরোপুরি নাস্তিক। মুসলমানদের নির্মল এবং
মনুষ্যপোযোগি তাহজিব তামাদ্দুন তাদের কাছে
সেকেলে এবং অচল মনে হয়! ইউরোপের নোংরা আর
কুৎসিত কালচার তাদের পয়মন্ত!
ইদানিং ইউরোপের অসভ্য কুকুরদের অশ্লীলতাও রাখঢাক
ছাড়া অামদানি করা হচ্ছে। এ কারণে জীর্ণশীর্ণ থেকে
তারা ধীরে ধীরে সবল হয়েছে৷ পত্র পল্লব বিস্তৃত করেছে।
শিকড় প্রোথিত করেছে উঠতি বিপুল তরুণের ভাবনার
জগতে।
বিপরীতে অামরা এখনো গবেষণা করি খণ্ড এবং অখণ্ড
ভারত নিয়ে। ভারত ভাগ না হলে মুসলমানদের কি কি লাভ
হত, সেটা নিয়ে গবেষণা করি বছরের পর বছর৷
খণ্ড ভারতের কারণে কি কি ক্ষতি হয়েছে, সেটার
চুলচেরা বিশ্লেষণ করি।
গোল টুপি, পাঁচ কল্লি এবং কিশতি টুপির মধ্যে কোনটা
সুন্নাত, সেটা নিয়ে হাক ডাক দিয়ে মুনাজারার
অাহবান করি।
পাঞ্জাবি না জুব্বা, কোনটা সুন্নাত? সেটা নিয়ে এক
মাদ্রাসা আরেক মাদ্রাসাকে নিয়ে হাসি মশকারি
করি!
জোট বেজোট নিয়ে অামাদের কাদা ছোড়াছুড়িতো
এখন কদর্যতার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গেছে৷
এক দল থেকে বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হয়ে একজন
অারেকজনের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে রণক্ষেত্রে
নেমেছি! নিজ প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠায় কদর্য খেলায়
মেতে উঠতে একবারও ভাবি না৷
ওয়াজ মাহফিলে গিয়েও জোট বেজোট নিয়ে
খোলামেলা অালোচনা করি।
নিজের ক্ষুদ্র দলের বিরুদ্ধে কথা বলায় লাঠিসোটা
নিয়ে ওদেরকে তাড়াতে বের হই।
ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে অামার জাতি ভাইদের
তাড়িয়ে এলাকা ছাড়া করি৷ পরে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়,
কনস্টান্টিনোপলের দুর্গম এবং অজেয় দুর্গ জয় করে
ফেলেছি!
অামরা ছিলাম পরিপুষ্ট এবং প্রতাপান্বিত। এখন হয়ে
পড়েছি লিকলিকে এবং অসাড়। যারা অক্সিজেন দিয়ে
মৃত প্রায় বৃক্ষটিকে আবার জীবিত করবেন, তারাই জিইয়ে
রাখছেন বিভেদের বিষবৃক্ষটিকে। নিজেদের শিষ্য এবং
মুরিদদের ঠেলে দিচ্ছেন একপেশে দৃষ্টিভঙ্গির
গড্ডালিকা প্রবাহের স্রোতে!
সব মিলিয়ে মিল্লাতে মুসলিমের অাকাশে বিদ্যূত
চমকাচ্ছে মুহুর্মুহু। যে কোন সময় নামতে পারে প্রলয়ংকরী
ঝড়ো বৃষ্টি। বাতাসের তীব্রতায় উৎক্ষিপ্ত ধুলোর ন্যায়
উড়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে অামাদের বসতবাড়ী।
শিলাবৃষ্টির অাঘাতে হবো রক্তাক্ত!
পূর্বাভাসতো পাচ্ছি অনেক পূর্ব থেকে! কিন্তু অামরাতো
মতভিন্নতার চাদর সরাতে পারছিনা। বরং দিন দিন তা
আরো জেকে ধরছে অামাদেরকে!
মুমিন মাত্রই এই দুরবস্থায় অস্থির হয়ে ওঠার কথা | কিন্তু আমরা নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিচ্ছি ঠিকই তবে মুসলমানদের এক কাতারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছিনা।
বিষয়: বিবিধ
৮৮৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলাম শান্তির ধর্ম ,
তারপর ও কেন মুসলিমরা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন দল উপদল তৈরি করে ,
একদল আরেক দলের পিছনে লাগে ??
কারন আমরা অনেকে ই শুনে মুসলিম ,
আমরা জানি ই না যে ধর্ম গ্রন্থে কি বলা আছে ।,
আর এই সুযোগে সুযোগ সন্ধানিরা আমাদের পিছন থেকে ইন্ধন দেয় ,
আর আমরা না বুঝেই নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি শুরু করে দেই…
মন্তব্য করতে লগইন করুন