মিডিয়া রিভিউ >> দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন জামায়াত নেতারা!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০২:৪৩:৩৬ দুপুর

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে রাজনীতি বিষয়ক অনেক

অভিযোগ আছে। তার অনেক কিছুই সত্য, অনেকগুলো হয়তো

বা প্রচার। তবে জামাতের নেতাদের বিরুদ্ধে, বিশেষ

করে যারা ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জোট সরকারের আমলে

সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন,

কোনো দূনীর্তির অভিযোগ উঠেনি।

বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন

বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময়ে ‘দূর্নীতিমুক্ত

থাকতে পারায়’ জামাত নেতাদের প্রশংসা করেছেন।

অথচ তিনি তার নিজ দলের অনেক নেতাকে দূর্নীতির

কারণে সতর্ক করেছিলেন।

২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সহায়াতায় ক্ষমতায় থাকা

তত্বাবধায়ক সরকারের সময় সারাদেশে

নজিরবিহীনভাবে দূর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। সেই

অভিযানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকেও গ্রেফতার

করা হয়।

এই দুই দলের চরম দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত নেতারা

অনেকে দেশ ছাড়েন। আবার শত শতজনকে শুধু দূর্নীতির

মামলায় কারাগারে ঢুকানো হয়। তাদের দূর্নীতির

রেকর্ড থাকার দুর্বলতাকে ব্যবহার করে অনেক নেতা

নিজেদের দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করা হয়।

ওই সময় দেশব্যাপী আলোচনার অন্যতম একটি বিষয় ছিল,

জামাতের নেতাদের দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্টতার

কোনো প্রমাণ না পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি। বিশেষ করে

জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক

সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ

মোজাহিদ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিক

মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন

করেছিলেন।

কিন্তু তখনকার সরকারের বেশিরভাগ উপদেষ্টা আওয়ামী

ঘরানার এবং প্রায় সবাই চরম ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতার

(কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলামবিদ্বেষীও) থাকা

সত্ত্বেও জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের

দূর্নীতির অভিযোগ তুলেননি। আসল কথা হচ্ছে তুলতে

পারেননি।

একই অবস্থা বর্তমান সরকারের আমলেও বিরাজ করছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধীদের দমনে ‘মামলা’

অস্ত্রটি যেভাবে ব্যবহার করছে তা অতীতের সব রেকর্ড

ভঙ্গ করেছে। রাজনৈতিক বিভিন্ন মামলার পাশাপাশি

‘দূর্নীতি মামলা’ও আওয়ামী লীগ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার

করছে। স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে

হয়রানি করা হচ্ছে এ ধরনের মামলা দিয়ে।

কিন্তু জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে গণহারে ‘দুর্নীতির

মামলা’ না দিয়ে ৭১ এর মানবাতাবিরোধী অপরাধের

মামলায়ই জড়িয়েছে।

‘দূর্নীতিপরায়ন নয়’ জামায়াত নেতাদের ক্ষেত্রে প্রায়

সার্বজনীন হয়ে ওঠা এই ধারণাটি এখন পরিবর্তন করে

দিতে চায় মিডিয়া।

গত ২৯ জানুয়ারি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার

লীড শিরোনাম ছিল, “দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের

কার কত সম্পদ”। সেই প্রতিবেদনটির ইন্ট্রোটা ছিল এরকম--

“যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্তরা বিভিন্ন সময়ে

ছিলেন সরকারের মন্ত্রী ও এমপি। ক্ষমতার সুযোগে তারা

গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসার

মালিকানা নিয়ে হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে

মাত্র আট যুদ্ধাপরাধীরই। ২০১০ সালের বিভিন্ন সময়ে

কারাগারে যাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে

আয়কর রিটার্নে যেসব সম্পদের কথা বলা হয়েছে সেটাই

হাজার কোটি টাকার সমান। তবে এ হিসাব শুধু তাদের

নিজেদের নামে ঘোষিত সম্পদের।”

এরপর পত্রিকাটি জামাত নেতাদের (তাদের সাথে

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও) জমা

দেয়া ‘আয়কর রিটার্ন ঘোষণা’ থেকে তথ্য উপস্থাপন করে

‘হাজার কোটি টাকা’র সম্পদের বিবরণ দিয়েছে।

যে দলটির নেতারা ৫ বছর ধরে মন্ত্রণালয় চালানোর পরও

তাদের বিরুদ্ধে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও দূর্নীতির

বদনাম করে না, সেই দলটির নেতাদের বিরুদ্ধেই একটি

পত্রিকা বলছে তারা “ক্ষমতার সুযোগে গড়েছেন সম্পদের

পাহাড়”!

বিষয়: বিবিধ

১২১২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358485
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৩২
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

নতুন এসাইনমেন্ট....

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File