জমে যাওয়া গ্যাস ও ঘনীভূত ইতিহাস: মিনার রশীদ
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১০:০৬:৪২ রাত
১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ ডিগ্রি
প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সাত্তার। এর আগে
সম্ভবত রাশিয়া থেকেও তিনি এরূপ একটি ডক্টর অব
সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
তিনি বিজ্ঞানে ডক্করেট পাওয়ার মতই একটি কথা
বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন , শীতের জন্যে গ্যাস জমে যায় ।
বুধবার বিকেলে দশম সংসদের নবম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর
পর্বে ‘বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্যাসের তীব্র
সঙ্কট নিরসনে সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে’ চট্টগ্রামের
সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর এমন এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে
প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বস্তুতপক্ষে কোন গ্যাসই সরাসরি জমে না - অধিকাংশ
গ্যাস (স্বাভাবিক চাপে বা বায়ূমন্ডলের চাপে) শূণ্য
ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার অনেক নীচে ( boiling point)
প্রথমে তরল হয় ,তারপর তাপমাত্রা আরো কমালে ( melting
point) ঘনীভূত হয় বা জমে যায়। বাংলাদেশের শীত তো
দূরের কথা উত্তর মেরু কিংবা দক্ষিণ মেরুর প্রচন্ড শীতও
নাছোরবান্দা এই গ্যাসকে জমাতে পারবে না । কাজেই
রাশিয়া কিংবা যশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডক্টরেটের
এই তত্ত্ব খোদ বিজ্ঞানের কাছেই এক বিষ্ময়ের ব্যাপার
হয়ে দাঁডিয়েছে।
স্বাভাবিক চাপে বিউটেইন নামক গ্যাসটি শূণ্যের এক
ডিগ্রী নিচে নামলে তরলে রূপান্তরিত হয় এবং শূণ্যের
১৪৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে নামলে তা জমে যায় ।
প্রোপেইন নামক গ্যাসটি শূণ্যের ৪২ ডিগ্রী নিচে নামলে
তরল হয় এবং শূণ্যের ১৮৭ ডিগ্রী নিচে নামলে তা জমে
যায় ।
মরহুম প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান বলেছিলেন , আমার
নেত্রী কখনই ভুল বলতে পারেন না। তিনি বেঁচে থাকলে
বোধ হয় আজো তাই বলতেন।
৩৫০ জন এমপি সংসদ নামক এই খোয়ারটিতে ( ইনুদের দেয়া
নাম) আছেন । খ্রীষ্টের জন্মের ২০১৬ বছর পরেও উক্ত
সংসদের একজন সদস্যকেও পাওয়া গেলো না যিনি এই
বিষয়টি নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করার মত পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক
জ্ঞান কিংবা সাহস রাখেন ।
কাজেই উত্তর কোরিয়ার মতই ভয়ানক বিপদে পড়ে গেছে
আমাদের প্রিয় সোনার বাংলাদেশ। এই তত্ত্ব শুনে নাক
বা ভুরু কুচকালে বা হেসে দিলেও অদূর ভবিষ্যতে জেলে
যেতে হতে পারে ।
(২)
শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় বিপদে পড়েছেন
বেচারি বেগম খালেদা জিয়া। এখন যে কোন সময় নাকি
তিনি জেলে যেতে পারেন । একই শনির দশায় গয়েশ্বর
বাবুও যে কোন মুহুর্তে এক লাখ টাকার থাপ্পর খেয়ে বসতে
পারেন।
অথচ বেগম জিয়া ঘুণাক্ষরেও শহীদদের কোন সংখ্যার
উল্লেখ করেন নি । শহীদদের সংখ্যা নিয়ে যে বিতর্ক
রয়েছে তিনি শুধু তা দূর করার কথা বলেছেন।
১৯৭১ সালে শহীদদের সংখ্যা কীভাবে ত্রিশ লাখ হয়ে
পড়লো - তার ব্যাখ্য করতে গিয়ে কেউ কেউ ৩ মিলিয়ন
আর ৩ লাখের মধ্যকার অর্থগত জটিলতাকে দায়ী করেন ।
উপমহাদেশের লাখের মত অন্য কোন জায়গায় এই এককটি
নেই । সেখানে আছে মিলিয়ন বা বিলাতি লাখ ।
বিলাতি লাখ ( মিলিয়ন ) যে আমাদের লাখের দশগুণ এটা
অনেকেই জানতেন না । সমস্যার জন্ম সম্ভবত এখান থেকেই ।
তখনকার অবিসন্বাদিত নেতার মুখ থেকে উচ্চারিত এই
ভুলটিকে শোধরিয়ে দেয়ার জন্যে আজকের মত (গ্যাস জমে
যাওয়ার তত্ত্বের মত ) সেদিনও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়
নি ।
আসলে শহীদদের সংখ্যা বাড়িয়ে বললে তাদের প্রতি
কখনই সম্মান দেখানো হয় না । তাদের প্রতি সম্মান
দেখানো হবে যদি তাদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে একটি
সঠিক তালিকা করা হয় ।
অনেকেই ইউরোপে হলোকাস্টের অস্বীকারকারীদের
বিরুদ্ধে আইনের মত এদেশেও একটি আইন করার কথা বলছেন ।
ইউরোপে এমন একটি আইন রয়েছে শুনেই এরা চরমভাবে
পুলকিত হয়ে পড়েছেন । কিন্তু এই বিজ্ঞজনেরা জানেন না
, যে এই আইনটি করার আগে তারা হলোকাষ্টে নিহতদের
একটা তালিকা তৈরি করেছেন । সেই তালিকাটিতে
ষাট লাখ ইহুদিদের নাম ও পরিচয় লেখা রয়েছে ।
কাজেই ওদের মত আইন করার আগে ওদের মত করেই একটা
তালিকা তৈরি করে নেন ।
(৩)
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ । সেই লক্ষণটি সর্বক্ষেত্রে
দেখাচ্ছেন এদেশের রাজনীতিতে ট্যাংক ডেন্সার
হিসাবে পরিচিত ইনু । তিনি ইদানীং আওয়ামী লীগের
চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার হয়ে পড়েছেন . মুফতির
চেয়েও বড় মুফতি হয়ে পড়েছেন । আমরা জানি , আল্লাহর
নামের পাশে বা শ্রদ্ধা ভক্তির সম উচ্চতায় অন্য কোন
নামকে বসানো যায় না ।
শহীদদের প্রতি অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে এই ট্যাংক
ড্যান্সার সেই কাজটিই করে বসেছেন । একাত্তরের
শহীদগণ জাতির সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপ্য । সেই সম্মান
দেখাতে গিয়ে তাদেরকে আল্লাহর নামের পাশে
বসানোর দরকার নেই । এখানে অহেতুক আল্লাহকে টেনে
আনার দরকার ছিল না । আল্লাহকে আল্লাহর জায়গায়
রেখে শহীদদের যথাযথ সম্মান দেখানোর অনেক জায়গা
বা পদ্ধতি রয়েছে।
এই শহীদদের বড় অংশ ছিলেন মুসলমান । আল্লাহ সম্পর্কে
এঁদের ধর্মীয় ভাবনা কমরেড ইনুর 'দেয়ার ইজ নো গড ' ভাবনা
থেকে ভিন্ন । কমরেডের এই লাল রংয়ের 'নতুন গড' তার এই
হেয়ালী কথায় হয়তোবা অস্বস্তি বোধ করবেন না । কিন্তু
মুসলমান শহীদদের আল্লাহ কমরেড ইনুর এই কিছিমের
বাদরামিতে অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হবেন বলে এই শহীদগণ
জীবিত থাকতে বিশ্বাস করতেন । একেশ্বরবাদী সেই
ধর্মীয় ভাবনাকে আলগোছে খোঁচা মেরে মূলত স
বিষয়: বিবিধ
১০৮৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন