তাসমীমার বক্তব্যে মিডিয়ার নীরব সম্মতি?
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৮:০৬:৫২ সকাল
বর্তমানে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার সাথে জড়িত
বড় অংশটি ইসলামবিদ্বেষী। মাঝে মাঝেই মিডিয়া
সংশ্লিষ্টদের এই চেহারা উম্মুক্ত হয়ে পড়ে। যেমন আবারও
হল আজ।
গতকাল শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদপত্রের সম্পাদকদের
সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। সেখানে
উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের সম্পাদকরা যোগ দিয়ে
বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সরকারের পরিবেশমন্ত্রী
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী ও দৈনিক ইত্তেফাকের
সম্পাদক তাসমীমা হোসেন।
সেখানে নিজের বক্তব্যের সময় তাসমীমা হোসেন বলেন,
“ফার্মগেটে একটি পার্ক দখল করে ওয়াজ মাহফিলের
আয়োজন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে এটি
ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সাথে কয়েকজন মন্ত্রীরও সমর্থন
রয়েছে। এভাবে শহরের মধ্যে যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান,
ওয়াজ মাহফিল, তাবলিগ বন্ধ করা উচিত। মসজিদ থেকে
মাইকে উচ্চ শব্দে আজান দিয়ে শব্দ দূষণ করা হচ্ছে। তিনি
বলেন, যাদের আজান শোনা দরকার তারা প্রয়োজনে
মসজিদের সাথে ইলেট্রনিক মাধ্যমে নিজেদের কানে
লাগিয়ে শুনতে পারে।”
কিন্তু তাসমীমা হোসেনের এই চরম ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য
আজ রোববারের সব জাতীয় পত্রিকায় পুরোপুরি এড়িয়ে
যাওয়া হয়েছে। একমাত্র দৈনিক নয়া দিগন্ত তাদের
“ক্লিন ঢাকা গ্রিন ঢাকা গড়তে গণমাধ্যমের সহযোগিতা
চাইলেন মেয়র আনিসুল হক” শিরোনামের সংবাদে
প্রতিবেদনে বক্তব্যটি উদ্ধৃত করেছে।
শনিবার অবশ্য অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ তাদের
“সহযোগিতা না করলে ‘খবর’ আছে: আনিসুল হক”
শিরোনামের খবরে তার এ সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি অংশ
প্রকাশ করেছে।
বিডিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে--
“ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমীমা হোসেন
মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য ধর্মীয় ওয়াজ-মাহফিল
ঢাকা শহরের মধ্যে না করে তুরাগ নদীর তীরে করার
পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি ফার্মগেইট পার্কে কুতুববাগ
দরবার শরিফের মাহফিলের কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগের
কথা তুলে ধরেন।”
কিন্তু রোববারের অন্য কোনো জাতীয় পত্রিকা এ ধরনের
কোনো বক্তব্য ছাপায়নি।
এ ক্ষেত্রে একটি অনুমানের আশ্রয় নেয়া যায়। ধরে নেয়া
যাক, তাসমীমা বা অন্য কেউ ওই বৈঠকে বলেছিলেন,
“ঢাকা শহরে হিন্দুধর্মে রথ অনুষ্ঠান বা দূর্গাপূজার কারণে
যানজটের পড়ে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
ফলে রথ বা পূজা ঢাকার বাইরে পালন করা উচিত।”
ওই বৈঠকের কথা বাদ দিয়েও বলা যায়, এর বাইরে কোনো
ব্যক্তিও যদি এমন কথা বলতেন বা বলেন তাহলে মিডিয়ার
প্রতিক্রিয়া কী হত? বা হবে?
নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘সাম্প্রদায়িকতা’
‘ধর্মীয়বিদ্বেষ ছড়ানো’ ইত্যাদি অভিযোগ এনে আজকের
পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতা সংবাদ পরিবেশিত হতো।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে ভয়াবহ বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে নীরব থেকে
কি এদেশের মিডিয়া তাসমীমা হোসেনের প্রতি
সম্মতি প্রকাশ করেনি?
বিষয়: বিবিধ
৮৯৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন