হে আল্লাহ ! এই জালিমদের তুমি ধ্বংস করো
লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৬:২৬:২১ সন্ধ্যা
পুলিশী বর্বরতা >> তিন তরুণকে গুলি করে পঙ্গু করে দিলো
পুলিশ!!
নিখোঁজের ৯ দিন পর দুই শিবির নেতাকে হাজির করে
র্যাব নিখোঁজের ৯ দিন পর দুই শিবির নেতাকে হাজির
করে র্যাব
কেটে ফেলতে হলো কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ তিন
তরুণের পা। আর চিরদিনের জন্য পঙ্গু হলেন তারা। ওই
তরুণেরা হলেন- ইসলামী ছাত্রশিবির জয়পুরহাট শাখার
সভাপতি আবু যর গিফরী (২৮) ও সেক্রেটারি ওমর আলী (২২)।
আরেকজনের নাম আলামিন (২৬)।
ইসলামী ছাত্রশিবির অভিযোগ করেছে, গত ৮ ডিসেম্বর
ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসার পথে রাজধানীর
আব্দুল্লাহপুরে বাস থেকে নামিয়ে আবু যর গিফরী ও ওমর
আলী আটক করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে
তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে
সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর ছাত্রশিবির
দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পর গত ১৭ ডিসেম্বর ছাত্রশিবিরের
দুই নেতাকে আটক করার কথা জানায় র্যাব। র্যাব-৫ এর পক্ষ
থেকে বলা হয়, শিবিরের এই দুই নেতাকে ভোররাতে
জয়পুরহাটের পাচবিবি উপজেলার কদমতলী আটক করা হয়। এর
সাথে কথিত অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। ওই দিন দুই
ছাত্রনেতাকেই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির করা হয়।
তারা তখন সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে হেটে সবার সামনে
আসেন। র্যাব তাদের আটকের কথা জানানোর পর পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ তাদের পাওয়ার পর রাতে 'অস্ত্র উদ্ধার' অভিযানে
বের হয়। এ সময় জয়পুরহাট শিবিরের দুই নেতাসহ তিনজন
গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পুলিশ বলছে, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ তারা
আহত হয়েছেন। এ সময় অস্ত্র উদ্ধার করার দাবিও করেছে
পুলিশ। তবে ছাত্রশিবির বলছে, রাতের আঁধারে
পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে বন্দুকযুদ্ধের নাটক
সাজিয়ে তাদেরকে গুলি করা হয়েছে। আহতদের প্রথমে
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বগুড়া
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর
তাদেরকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ গভীর
রাতে অভিযানের নামে খুব কাছ থেকে দু’জনেরই হাটুর
ওপর গুলি করে। এ সময় আটক আরো একজনের পায়ে গুলি
চালানো হয়। রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পুলিশ
পাহারায় চিকিৎসাধীন ওই তিন তরুণের একটি করে পা
ইতোমধ্যেই কেটে ফেলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এই তিন
তরুণ চিরদিনের জন্য পঙ্গু হলেন।
এদিকে আজ রোববার দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও
সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াসিন আরাফাত বলেছেন,
আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ তাদের
পবিত্র দায়িত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে একের পর নৃশংসতা ও
বেআইনি কাজের নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করে চলেছে।
ছাত্রশিবির জয়পুরহাট জেলা সভাপতি আবু যর গিফরী ও
সেক্রেটারি ওমর আলী ঢাকায় আসার পথে গত ৮
ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করার পর অস্বীকার করে ৯ দিন পর
অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে মিডিয়ার সামনে
হাজির করে র্যাব। এমন বেআইনি কাজের পরও তাদেরকে
রাতের আঁধারে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে
বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে গুলি করা হয়। এখন তারা
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ইতিমধ্যে
তাদের পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
তারা বলেন, পুলিশের এই নৃশংসতায় জাতি হতবাক। দেশ ও
জনগণের প্রতি তাদের ওয়াদার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে
একের পর এক বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতারের
পর আদালতে হাজির না করা এবং রাতের আঁধারে গুলি
করা কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব
হতে পারেনা। এই নৃশংসতা পুলিশের মহান পেশার সম্পূর্ণ
বিপরীত ও প্রতারণা। তাদের কিছু বর্বর কর্মকাণ্ড বার বার
পুলিশের পবিত্র অবস্থানে কলঙ্ক লেপন করছে। পুলিশের এমন
দায়িত্বজ্ঞানহীন অমানবিক কর্মকাণ্ডে তাদের প্রতি
জনগণের আস্থা শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে। আমরা এই
ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শিবিরের এই দুই নেতা আরো বলেন- এ ঘটনার মাধ্যমে
আবারো প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে আইনের শাসন ও
মানবাধিকার আজ শুন্যের কোঠায়।
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
বিষয়: বিবিধ
১০৮২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন