এক শাহবাগির জবানবন্দীঃ শাহবাগের আসল চেহারা (কপি পোস্ট)

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ১১:০৩:২২ সকাল

আমান আব্দুহু

শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা মাহমুদুল হক মুন্সীর

'কেন জার্মানি এলাম' লেখাটি অন্য অনেকের আগে তার

নিজস্ব ওয়েবসাইটের প্রথম লেখা হিসেবে পড়েছিলাম।

পাবলিশ করার প্রায় সাথে সাথেই। তার মতো মেধাহীন

গুরুত্বহীন ছিঁচকে শাহবাগির লেখার প্রতিক্রিয়ায় কিছু

লিখতে ইচ্ছা হয়নি তখন। তবে বুঝতে পারছিলাম

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলোর

ডকুমেন্টেশনে তার এই কনফেশনের কিছু পয়েন্টের গুরুত্ব

আছে। তাই অন্যদের লেখাগুলো পড়ছিলাম।

ব্লগার হত্যাকান্ডগুলো যে আসলে আওয়ামী লীগ সরকারই

করছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্টটি শেষপর্যন্ত

শাহবাগিরাও স্বীকার করে নিলো। কিন্তু পাশাপাশি দুই

একটি ছোটখাটো পয়েন্ট অনেকের চোখ এড়িয়ে গেছে

মনে হলো।

তার আগে, মুন্সী কেন গুরুত্বহীন? কারণ লেখালেখিতে

তার মৌলিক কোন অবদান কিংবা ভালো কোন লেখা

গত সাত আট বছরে কখনো দেখিনি। বরং সে শাহবাগিদের

মাঠপর্যায়ের পরিশ্রমী লোক। এ পরিশ্রম করে করেই তার

রুটিরুজি এসেছে বিগত বছরগুলোতে। সে রাইট ট্র্যাকে

আছে বুঝা যাচ্ছে। সামনেও আসতে থাকবে।

তার বাবা যশোরের এক কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক। আওয়ামী

পরিবারে কৈশোরে, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়

নব্বই সালের আঠাশে ডিসেম্বর তারিখে, বোমা

নাড়াচাড়া করতে গিয়ে তার এক হাতের কবজি উড়ে

যায়। সেসময় বাড়িতে বাড়িতে জর্দার কৌটায় ককটেল

বানানো ছিলো অনেকটা বহুলপ্রচলিত এক কুটিরশিল্প। সে

এক হাত দিয়ে বহুদিন যাবত আবেগী বয়ান টাইপ করে

যাচ্ছে, এজন্য অবশ্য কৃতিত্ব দেয়া যায়।

যাইহোক, স্বতন্ত্রভাবে মুন্সীর ব্যাক্তিগত কোন গুরুত্ব না

থাকলেও একজন খাঁটি শাহবাগি কেমন হয় এর নমুনা

হিসেবে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। কারণ সে

শাহবাগিদের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।

এটা স্বাভাবিক অবশ্য, অন্য শাহবাগিরা উদ্যোক্তারাও

কমবেশি তারই মতো।

বাংলাদেশে যখন বিকাশে টাকা ট্রান্সফারের

সিষ্টেম নতুন এসেছে তখন থেকেই সে বিভিন্ন অসহায়

অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সা তুলে আসছে।

ব্লগে, এবং পরে ফেইসবুকে ইভেন্ট পয়দা করাতে

প্রণিধানযোগ্য শাহবাগিদের মতো মুন্সীও সবসময় ইঁদুর

দৌড়ে ব্যস্ত থাকতো। তার নিজের পরিবারেও সবাই

কথিত ক্যান্সারের রোগি। তার মা বউ চাচা দুলাভাই

ইত্যাদি ইত্যাদি সকল ক্যান্সার কিডনী টিউমার ইত্যাদি

রোগীর ব্যায়বহুল চিকিৎসার জন্য অনেক বিকাশ একাউন্ট

এবং ব্যাংক একাউন্ট ব্যাবহার হয়েছে।

যাইহোক, ইভেন্ট খোলার অভ্যাস থাকাতে জামায়াত

নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি না হওয়ার

প্রতিবাদে সে শাহবাগে মানববন্ধন করার জন্য ফেইসবুকে

সর্বপ্রথম প্রতিবাদী এক ইভেন্ট খুলে ফেলে। এভাবেই

কবজি হারানো বোমারু মুন্সী হয়ে গেলো শাহবাগ

আন্দোলনের অন্যতম এক উদ্যোক্তা।

শাহবাগি সব পান্ডাদেরই এরকম বিচিত্র সব ইতিহাস আছে।

কেউ হয়তো মেডিকেল থেকে ড্রপআউট হওয়া চটি পিয়াল।

অথবা কেউ বৃটেনে শাশুড়ের টাকায় খেয়ে পড়ে কোন

ডিগ্রি না পেয়েও নিজেকে বিশাল আইনজ্ঞ দাবী করা

গোলাম মারুফ ওরফে নিঝুম। কিংবা অন্য কেউ হয়তো

ছাত্রদলের রাজনীতি করে ঘুরঘুর করা শেষপর্যন্ত ঝোপ বুঝে

কোপ মেরে গাছের আগায় চড়ে বসা জেবতিক। অথবা

এসএসসি পাশ করতে না পারা বখাটে গাঁজাখোর এবং

প্রাক্তণ শিবির কর্মী খলিল ওরফে সবাক। অথবা

চল্লিশোর্ধ অবিবাহিত বিকৃত বেকার মশিউর ওরফে

আল্লামা শয়তান।

কোন একদিন হয়তো এসব উপাখ্যান একসাথে সংকলিত হবে।

এদের সবার একটা কমন ফ্যাক্টর হলো এরা বাংলা

সাহিত্যের গল্প উপন্যাসগুলো প্রচুর পড়েছে। সুতরাং চলতি

বাংলা ভাষায় ঝরঝরে লিখা লিখে আবেগি

বাংলাদেশীদের আবেগের একতারায় ঝড় তুলতে এরা দক্ষ

হয়েছে। এটাই হলো শাহবাগি আন্দোলনের প্রাণভোমরা।

সত্য, কিংবা বাস্তবতা, কিংবা ন্যায় এখানে

অপ্রয়োজনীয়। শব্দের পর শব্দ বসিয়ে প্রচন্ড বিশ্বাসযোগ্য

আবেগি রুপকথা সাজানোই হলো আসল কথা।

একটা উদাহরণ দেয়া যাক। মুন্সীর আলোচ্য লেখার

ভূমিকা পড়লে মনে হবে সে কখনো বিদেশ যেতে চায়নি

কারণ তার খালা খালু কানাডা আম্রিকা থাকে তারা

তার হাতে পায়ে ধরেছে কানাডা যাওয়ার জন্য কিন্তু

সে কখনো যায়নি। এই যুক্তি বিশ্বাস করে নাচছে যে তরুণ

প্রজন্ম, সে কিন্তু বেমালুম ভুলে গেছে তার নিজেরও কোন

খালা চাচু ফুপু কানাডা আম্রিকা থাকে কিন্তু তারপরও

সে কানাডা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে দিন কাটায়।

যাইহোক, বাংলাদেশে যখন ইন্টারনেট আসলো তখন এইসব

অকালকুষ্মান্ড বেকার বখাটে ভাষাদক্ষদের জন্য একটা

প্লাটফর্ম হয়ে দাড়ালো সামহোয়ারইনব্লগ। নরওয়েজিয়ান

এক আইটি এক্সপার্ট আরিল্ড ক্লোক্কেরহৌগ

বাংলাদেশের মেয়ে সৈয়দা গুলশান আরা জানা'কে

বিয়ে করে বাংলাদেশে আইটি ব্যাবসা শুরু করেছিলো।

তারা একটা ইন্টারনেট ফোরাম খুলে, যা ছিলো

চ্যাটরুমের সুশীল সংস্করণ। নাম দেয়া হয় ব্লগ।

এখানে অনেক মেধাবী লোকও ছিলো, আর নিয়ন্ত্রণে

ছিলো শাহবাগি পান্ডাদের সিন্ডিকেট। এখানে মুন্সী

প্রথমে স্বপ্নকথক নামে লিখতে শুরু করে। তারপর এক ঘটনায়

সোয়াইনব্লগের মালকিন জানা'কে জঘন্য গালি

দেয়াতে তার সে নিক ব্লক করে দেয়ার পর সে রুদ্রপতাম

নামে লিখে, পরবর্তীতে তার ডাক নাম বাঁধন নামে

লিখে। কৌতুকের বিষয় হলো জানা'কে জঘন্য সব

গালিগালাজ এবং অশ্লীল রসিকতার শিকার

বানিয়েছে তার প্রিয় শাহবাগিরাই।

এ শাহবাগিদের আরেকটা কমন ফ্যাক্টর হলো তাদের

ইসলাম বিদ্বেষ। কিছুদিন আগে ইউটিউবে এক ভিডিও

দেখেছিলাম যেখানে এক টকশোতে নিঝুম যুক্তি

দিচ্ছিলো পিয়াল জেবতিক এরা নাস্তিক না। হ্যাঁ অবশ্যই,

মুন্সীও কখনো নাস্তিক ছিলো না। কিন্তু এখন সে

নিজেকে অনেক অনেক পড়ালেখা করে মহাক্রোধসম্পন্ন

এক অবিশ্বাসী হয়ে যাওয়ার এক বিশাল দাবী নিয়ে

আবির্ভূত হয়েছে।

শাহবাগি আওয়ামী ক্যাম্পে যতগুলো আছে প্রায় সবগুলোই

গোপনে বা প্রকাশ্যে এধরণের অবিশ্বাসী। এরা আসলে

যুক্তি কিংবা পড়ালেখার উপর নির্ভর করে ধর্মে

অবিশ্বাসী না। তারা মিলাদ, জুমা, জানাযা এগুলো

অস্বীকার করে না। সারাজীবন স্বয়ং আল্লাহকে

গালিগালাজ করে মরার পর জানাযা খুঁজে। ইসলামের

সাথে এদের সমস্যা মূলত দুই জায়গায়। এক হলো মদ খেতে

গাঁজা খেতে অসুবিধা, দুই হলো লাল পর্দার মুক্তিযুদ্ধ

করতে অসুবিধে। তাই তারা ইসলাম বিদ্বেষী। সর্বোপরি

ধর্মের বিরোধীতা করে নিজেকে আধুনিক প্রগতিশীল

জ্ঞানী প্রতিপন্ন করার তাড়না আছেই। এক সাথে চেতনার

পান্ডামি করা এবং ইসলামের পক্ষে থাকা এস্কিমো

ওরফে জিয়াউদ্দিন হলো এক্ষেত্রে বিরল এক উদাহরণ।

নিরানব্বই শতাংশই হলো পিয়াল কিংবা আসিফের মতো

প্রকাশ্য বা লুকানো শয়তান। সময়ে দরকার হলে এদের লেজ

আগে বা পড়ে বের হয়েই যায়।

আরিল্ড জানা’র সোয়াইনব্লগে এরা আল্লাহ তায়ালা,

রাসুল সা. এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বছরের পর

বছর ধরে যেসব কুৎসিত চর্চা চালিয়েছে তার নমুনা অন্য

কোন ভাষায় সম্ভবত নেই। এটা তারা করেছে শুধুমাত্র

একটা কারণে। মুসলিমদের বিক্ষুদ্ধ করে রেখে অস্থিরতা

লাগিয়ে রাখার জন্য। তাদের এ ফাঁদে স্বাভাবিকভাবে

পা দিয়েছে অপরিপক্ক ঈমানদারের দল। তারা ঈমানের

দাবী পূরণে প্রতিবাদ করে করে শাহবাগিদের টিকে

থাকার অক্সিজেন সরবরাহ করে গেছে। ক্যাচালের এই

ডামাডোলে শাহবাগিরা দক্ষতার সাথে

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ইসলামের সাথে সম্মুখযুদ্ধে

মুখোমুখি নামাতে সক্ষম হয়েছে। এটা তারা পারতো না

যদি না আওয়ামী লীগ তাদের পৃষ্ঠপোষকতা না করতো।

কিন্তু গন্ডগোল এবং হানাহানি থেকে ফায়দা তোলার

একই প্রকৃতির রাজনৈতিক দল আওয়ামীরা যখন তাদের

মাথার উপর ছাতা ধরেছে, তখন সে বাস্তবতা প্রচন্ড

শক্তিশালী একটা বিষয় হয়ে দাড়ায়, যা উপেক্ষা করে

থাকা যায় না।

যাইহোক, অগুরুত্বপূর্ণ মুন্সীর গুরুত্বপূর্ণ এই লেখা থেকে

পরিস্কার জানা যায় কিছু জিনিস। বুলেট পয়েন্ট করলে

দেখা যায়ঃ

- শাহবাগিদের নিজেদের স্বার্থান্বেষী বা

ধান্দাবাজির চরিত্র।

- নিজেদের নামে নিজেরা হিটলিষ্ট বানিয়ে

পত্রিকায় পাঠানো।

- নিজেদের গ্রুপিং এবং ছাত্রলীগের বশ্যতা স্বীকার,

তাদের হাতে মঞ্চের দখল দিয়ে দেয়া।

- শাহবাগি ব্লগারদের খুনে নিজেরাই জড়িতা থাকা।

- শাহবাগে নিজ লোকদের ভীড়ের ভেতর

নিজেদেরকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা।

- সশস্ত্র বাহিনী সহ সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির সাথে

শাহবাগিদের গোপন সম্পর্ক এবং বৈঠক।

- দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতার নীতিনির্ধারণে

তাদের গোপন অংশগ্রহণ।

- পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রের কুৎসিত চেহারা ইত্যাদি।

এসব পয়েন্টগুলো নিয়ে অনেকে লিখেছেন। এগুলো

শাহবাগ আন্দোলনের ইতিহাসে আছেই, মুন্সীর লেখাটা

এখন পাতি রেফারেন্স হিসেবে সংযোজন হলো।

এসবের পাশাপাশি দুইটা পয়েন্ট বিশেষভাবে খেয়াল

করা দরকার। প্রথমটি হলো তাদের নেটওয়ার্কিং।

প্রবাসী শাহবাগিরা কিভাবে তাদের কাজে ভূমিকা

রাখছে এর একটা ছক অনুমান করা যায় তার বর্ণনা থেকে।

ফারজানা কবির স্নিগ্ধা, তসলিমা নাসরিন কিংবা

আসিফ মহিউদ্দিন এরা সবাই ইন্টারকানেক্টেড। তাদের

সমস্ত মেধাহীনতার পরও তাদের এ নেটওয়ার্কিং হলো

শক্তির বড় একটা উৎস। একসময় পেন এর মতো আন্তর্জাতিক

লেখক সংঘে বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ

রাখতেন সৈয়দ আলী আহসানের মতো সাধক লেখক। আর

এখন যোগাযোগ রাখে আসিফ মহিউদ্দীন এর মতো

চিহ্নিত লেখা-চোর।

দ্বিতীয় পয়েন্টটি হলো তাদের চিন্তাধারা। এরা

মানুষকে আবেগাপ্লুত করে পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্রের

প্ল্যান করাতে বিশ্বাসী। এরা যা লেখে তার সবকিছু

'জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা অফিস' এর সাথে কোঅর্ডিনেট

করেই লিখে। সরকারী এসব এজেন্সির সাথে নিয়মিত

ফোনকলে তাদের ইস্যু নির্ধারিত হয়, নিয়ন্ত্রিত হয়। এই

ঘটনা মুন্সীর মতো ফুট সোলজার থেকে শুরু করে জাফর

ইকবালের মতো চেতনাগুরু পর্যন্তই বিস্তৃত হওয়া

স্বাভাবিক।

তারা এমনকি আন্ডারগ্রাউন্ড টিম তৈরী করে শত্রুকে

হত্যা করার চিন্তাও করেছে। যে চিন্তা করার কথা

ছিলো সরকারী নির্যাতনের স্বীকার বিরোধী নিরুপায়

রাজনৈতিক কর্মীদের, সে চিন্তা করেছে সরকারের

পৃষ্ঠপোষকতায় হৃষ্টপুষ্ট হওয়া শাহবাগিরা। তবে সেই গোপন

হত্যার টিম, যা না কি কোন ব্যাপারই ছিলো না, তা

বাস্তবায়িত হয়নি কারণ তারা বুঝতে পারেনি শত্রু কে।

অথবা আসলে বুঝতে পেরেছিলো তাদের হত্যাকারী

হচ্ছে স্বয়ং সরকারই।

পুরো বিষয়টাতে হতাশার একটা দিক আছে। আমরা দর্শকরা

আশা করি কোন না কোনদিন বাস্তব সত্যগুলো

পরিস্কারভাবে বের হয়ে আসবে। কিন্তু তার কোন নমুনা

দেখা যায় না এখনো। শাহবাগিরা এখনো বুক ফুলিয়ে

লিখে যাচ্ছে তাদের নিজেদের ভাষ্য। অন্যদিকে

ঈমানদার মুসলমানের দল কেবলমাত্র প্রতিক্রিয়া

জানাতে এবং প্রতিবাদ করাতে ব্যস্ত।

সেই একাত্তর থেকে শুরু করে এই দুইহাজার ষোল পর্যন্ত

যারা মাঠে আন্দোলন করেছে, তারা তাদের ভাষ্য

লিখছে না। তারা মনে করছে যেহেতু তারা যা মনে

করছে তাই সত্য, এসব লেখার আর কি দরকার! জামায়াতের

যেসব নেতার ফাঁসি হয়ে গেলো অথবা যাচ্ছে তারা

কেউ একাত্তরের দিনগুলো কিভাবে কাটিয়েছে তা

নিয়ে কিছু লিখে না অথবা লেখার কোন যোগ্যতাই

হয়তো রাখেনা। কিন্তু তাদের বহু আগে এক গৃহবধু

জাহানারা ইমাম লিখে ফেলেছিলো একাত্তরের

দিনগুলো। মুজিবের নামে অন্যরা লিখে দিয়েছে

অপ্রকাশিত আত্বজীবনী। কিন্তু জিয়াউর রহমানের জীবন ও

ঘটনা নিয়ে ভালো কোন বই সহজলভ্য না। কথা বলতে

গেলে নোংরা নর্দমার স্রোত শুরু হয় সেই মানুষ শেখ

হাসিনা পর্যন্ত বহু বই এর লেখিকা, আর অন্যদিকে?

এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বীজ থেকে একসময় মহীরুহ দাড়িয়ে যায়,

যেমন হয়তো কোন একদিন এই গাঁজা-ব্যাবসায়ী বিকাশ-

প্রতারক মুন্সীর লেখা থেকে দাড়িয়ে যাবে

বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের আদি ও অকৃত্রিম এক

শাহবাগি ইতিহাস।

বিষয়: বিবিধ

১১৯৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

356970
১৫ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:০৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File