কাদের সিদ্দীকির লেখা হতে-

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:০৩:৩১ দুপুর

“যুদ্ধে যারা পাকিস্তানের অন্নে লালিত-পালিত

হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর মরে গেলে তাদের আমরা শহীদি

দরজা দিয়েছি। যদি কোনোক্রমে তারা আর দু’দিন বাঁচত

তাহলে তাদেরকে দালাল বলতাম! এখানে মৃত্যু কত মহান!

পাকিস্তানি প্রশাসন যারা চালিয়েছে সেই ওসি,

ডিসি, সেক্রেটারি—সবাইকে স্ব-পদে বহাল রেখেছে।

যারা বরং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল স্বাধীনতার পর

তারা অনেকে লাঞ্ছিত হয়েছে” কাদের সিদ্দীকি।

সময়কাল ২৪/১০/১১

"পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৭১ সালে ঢাকার ৩১ জন

বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দিয়েছিল। তাতে একনম্বরে স্বাক্ষর

করেছিলেন, 'মুনির চৌধুরী'। মুনির চৌধুরী পুরো যুদ্ধের সময়

একদিনের জন্যও নিজের কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করেনি।

এমনকি নভেম্বর মাসের বেতনও তিনি তুলছিলেন" সূত্র:

আমার দেশ, ০৪/১০/১১।

কবির চৌধুরীর পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল।

তাঁর বড় ভাই কাইয়্যুম চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর

কর্নেল ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা তো

রাখেননি এরশাদের মত নীরবও থাকেন নি বরং সরাসরি

মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। ফলে তিনি

আজীবন পাকিস্তানেই থেকে গেছেন, স্বাধীন

বাংলাদেশে কোনদিন আসেন নি।

তিনি কবি শামসুর রহমান কর্তৃক সম্পাদিত দৈনিক

পাকিস্তান পত্রিকায় পাকিস্তানের সংহতি রক্ষায় ১৭

মে, ১৯৭১ বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা

ভারতের দালাল'।

বিষয়: বিবিধ

৮৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File