দাম্পত্য ভাবনা - ৩ (শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য)
লিখেছেন লিখেছেন আল্লারাখা ০২ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:৪২:২৭ দুপুর
পারিবারিক জীবনে বউ-শ্বাশুরী-ননদ কখোনো মিল হবেনা- এমনটি ধরে নিয়েই দাম্পত্য জীবন শুরু করুন, দেখবেন দাম্পত্য জীবনের বিশেষ কতিপয় অতৃপ্তি ও দীর্ঘশ্বাসের আপনা-আপনি সমাধান হয়ে যাবে। তবে ঘটনাচক্রে কারো পারিবারিক জীবনে যদি বউ-শাশুরী কিংবা ননদ-ভাবীর মধ্যে চমৎকার মিল দেখেন- স্রেফ আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে।
পারিবারিক জীবনে নারীদের অবস্থানকে অনেকটা দুধ এবং আনারসের উপমা দিয়ে বোঝানো যায়। আনারস খুব ভাল একটি ফল। জ্বর হলে আমরা খাই, আত্মীয় স্বজনেরাও নিয়ে আসে।জ্বর সারানোর এই উপাদানটি কদবেল কিংবা সবরী কলায় নেই। একই ভাবে, দুধ একটি আদর্শ খাবার। সব ধরণের পুষ্টিগুণ দুধে পাওয়া যায়, যে কারণে দীর্ঘ দিন শুধু দুধ খেয়ে থাকলেও শরীরে পুষ্টির বিশেষ কোন ঘাটতি পরবেনা।
কিন্তু আনারস আর দুধ যদি একসাথে খাওয় যায়, বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হবেন মাস্ট, মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।… কিছুই করার নেই, দুধ ও আনারসের ব্যতিক্রমী গুণগুলো পেতে চাইলে তাদের সহাবস্থান প্রসুত বিষক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যও মেনে নিতে হবে, আবার খাবার দুটো একত্রে খেতে না পারার দীর্ঘশ্বাস থেকেও মুক্তি মিলবে
অন্যভাবে বলা যায়, আল্লাহ তায়ালা সংসারে নারীকে অনেকটা ডিজাইনারের ভূমিকায় পাঠিয়েছেন। সংসারের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে যত্ন করে সাজানোর কাজটা নারী করেন, পুরুষ করেন মোটা দাগের কাজগুলো। জানা কথা, ডিজাইনাররা সাধারণত একটু খুতখুতে টাইপের হয়। খুতখুতে না হলে ভাল ডিজাইনার হওয়া যায়না। ফুল আঁকবেন একজন, রং করবেন আরেকজন কিংবা ড্রয়িং রুমের ডিজাইন করবেন একজন, লিভিং রুমের ডিজাইন আরেকজন- এটি মেনে নেয়া একজন ভাল ডিজাইনারের জন্য কঠিন। সুতরাং বলা যেতে পারে, আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি বৈচিত্রটাই এমন যে তিনি প্রতিটি নারীকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বতন্ত্র মনস্তত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, ফলে আরেকজন নারীর সাথে একত্রে কাজ করতে গিয়ে উভয়ের মনস্তাত্বিক স্বাতন্ত্রটা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে যায়। পুরুষদের মধ্যে মনস্তাত্বিক স্বাতন্ত্রটা এত বেশি না এবং তাদের কাজ অত সুক্ষ্মও না, ফলে দুই পুরুষ একত্রে কাজ করলেও এ স্বকীয়তার প্রকাশ খুটিনাটি প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যায়না, যেমনটি নারীর ক্ষেত্রে হয়।
বিষয়টা হচ্ছে, নারীর এই ব্যতিক্রমি প্রকৃতির জন্য কোনভাবেই নারী নিজে দায়ী নয়, জাস্ট আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি রহস্য; বান্দা সে রহস্যের পেছনের কারণ বুঝতে সক্ষম হোক বা অক্ষম হোক, তার কাজ হলো তা মেনে নেয়া ও সে অনুযায়ী ডিল করা।
দুই নারী একত্রে রান্না ঘরে গেলে দুজনের স্বতন্ত্র মনস্তত্ব সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়ে যায়; এভাবে মেহমানদারী, কেনাকাটা, ঘর গোছানো কিংবা ঘরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, কাপড় ধোয়া, কাপড় রোদে দেয়া, রোদ থেকে আনা, ফ্রিজ ব্যবহার, সো-কেস ব্যবহার, শিশু লালন পালন, বড়দের সাথে আচরণ, কাজের বুয়ার সাথে আচরণ, খাবারে মশলার ব্যবহার, ইত্যাদি পারিবারিক হাজারটা বিষয় আছে যার প্রতিটি ক্ষেত্রে একজন নারীর সাথে অন্য নারীর নিজস্ব স্বতন্ত্র মনস্তত্বের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর এই নিজস্বতার কারণেই সে নারী।আনারস ও দুধের নিজস্ব উপকারিতাগুলো পেতে চাইলে যেমন তাদের সহাবস্থানগত অসহিষ্ণুতা মেনে নিতে হবে, তেমনি নারীর নারীত্ব পেতে চাইলেও একাধিক নারীর সহাবস্থানগত নিজস্বতা মেনে নিতে হবে।
বলাই বাহুল্য, আল্লাহ তায়ালা যে নারীকে ধৈর্যের গুণ দিয়ে ভুষিত করেছেন, তিনি প্রতিটি কাজে নিজের সাথে শ্বাশুরী কি ননদের এই স্বতন্ত্র মনস্তাত্বিক পার্থক্যকে বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিয়ে কাজ করে যান, ফলে কোন সমস্যা হয়না। আর যদি এক পরিবারে বউ শ্বাশুরী উভয়েই এই ধৈর্যের গুণে ভুষিত হোন, তবে তো বরকতের সমুদ্র; তখন দুই নারী পরস্পরের সুস্পষ্ট নিজস্বতাকে মেনে নিয়ে সংসার করতে থাকেন, ফলে ঐ পরিবারে বউ শাশুরীর মধ্যে কোন প্রকাশ্য কিংবা গোপন দ্বন্দ্বের চিহ্নও কারো চোখে পড়েনা। এটাই হচ্ছে বহু পরিবারে বউ-শাশুরীর দ্বন্ধ দেখতে না পাওয়ার মূল রহস্য।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার দেয়া 'ধৈর্য' নামক বিশেষ গুণ তো আর সমাজের সব নারীর মধ্যে থাকবেনা।এক হাদিসে আল্লাহর রসূল স. বলেছেন, “যে পরমুখাপেক্ষীহীণ থাকতে চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে মুখাপেক্ষীহীণ করবেন, যে সাবলম্বী হতে চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে সাবলম্বী করবেন, আর যে ধৈর্যশীল হতে চায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে ধৈর্যশীল করবেন; আর আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ধৈর্যের চেয়ে বড় কোন নেয়ামত আর হয়না।” বলাই বাহুল্য, আল্লাহ প্রদত্ব সর্বশ্রেষ্ঠ এই নেয়ামত ‘ধৈর্য’ নিশ্চয়ই ঢালাওভাবে সব নারী অর্জণ করে ফেলতে পারবেনা।সুতরাং, আপনি ধরেই নেবেন যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বা বিয়ে করেছেন, তার মধ্যে এতখানি ধৈর্য না থাকার সম্ভাবনাই বেশি যে নিজের স্বয়ংসম্পূর্ণ মনস্তাত্বিক স্বাতন্ত্রের গণ্ডিতে আরেক নারীর স্বতন্ত্র মনস্তত্বের অনুপ্রবেশকে প্রতিটি কাজে টলারেট করতে পারবে এবং করতে থাকবে।
এ অবস্থায় আপনার কাজ হবে, বিয়ের আগেই কৌশলে আপনার মা ও বোনকে যদি এ বিষয়ে একটু তালিম দিয়ে রাখতে পারেন যে নারীদের আল্লাহ প্রদত্ত্ব এই মনস্তাত্বিক স্বাতন্ত্রকে মেনে নেয়ার প্রস্তুতি থাকা দরকার- তাহলে দারুন একটা কাজ হয়। পরে কোন কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেলে বলতে পারবেন, আমি তো আগেই বলেছি…। বিষয়টা অনেকটা মামলা করার আগে ‘জিডি’ করার মতো। থানায় অগ্রিম জিডি করে রাখলে তখন ঘটনা ঘটলে জিডি আপনার পক্ষে বেশ কাজ দেয়, অথবা শুধু জিডিই ঘটনা নিষ্পত্তি করে দেয়, মামলা আর করা লাগেনা।
স্ত্রীকেও শুরুতেই বলে দিতে হবে- নারীদের স্বতন্ত্র মনস্তাত্বিক পূর্ণাঙ্গতার কারণে দুই নারীর একই পরিবারে নিরবচ্ছিন্ন অবস্থান একটি ধৈর্যসাধ্য ব্যাপার।সুতরাং প্রস্তুত হয়ে যাও।… মজার বিষয় হচ্ছে, স্ত্রী যদি একটু মানিয়ে নিতে পারে, পনের আনা লাভ তারই। বিয়ে পরবর্তী নতুন জীবন শুরু করার পর যে একের পর এক কঠিন অবস্থা সামনে আসতে থাকে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই শ্বশুরবাড়ির অন্য নারীদের আন্তরিক সহযোগীতা পাওয়া যায়, যে সহযোগীতা দেয়ার সুযোগ পুরুষদের জন্য সীমিত।
আর যদি বউ-শাশুরী-ননদের অবস্থান জটিলতার দিকে মোড় নেয়, কোনভাবেই স্বকীয়তাগুলো মানিয়ে নেয়া সম্ভবপর না হয়, সেক্ষেত্রে স্ত্রীর অধিকার আছে স্বতন্ত্র আবাসের ব্যবস্থা পাওয়ার। এ অবস্থায় তাকে শাশুরী ননদের সাথে থাকতে বাধ্য করা বরং তার উপরে জুলুম করা। আর তার উপর জুলুম করে তার নিকট থেকে আন্তরিকতা প্রত্যাশা করা স্ববিরোধিতাই বটে।
ভাল কথাঃ এ বিষয়ে আমি কিন্তু দিনে অন্তত তিনবার আলহামদুলিল্লাহ পড়ি
দাম্পত্য ভাবনা-১
দাম্পত্য ভাবনা-২
বিষয়: বিবিধ
২০০৭ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দোয়া করি আপনার এই পোস্ট যেন কোন নারীর চোখে না পড়ে।
দোয়া করি আপনার এই পোস্ট যেন কোন নারীর চোখে না পড়ে।
আসলেই তাই, স্ত্রীর সেবা ও তার কথা মত মন জুগিয়ে চলতে পারাই হচ্ছে একজন সফল বিবাহিত পুরুষের লক্ষন । তা যতই শরিয়ত পরিপন্থিই হোক না কেন ।
শরিয়ত যেখানে স্ত্রীকেই বলে স্বামীর অনুগত হতে বাস্তব জীবনে আমরা দেখি এবং উপদেশ পাই যে স্ত্রীর অনুগত হয়ে চলাই সংসারে শান্তির লক্ষণ।
এখন থেকে এই পানি খাওয়ার জন্যও উপদেশ আসতে পারে ।
.
শরীয়ত পরিপন্থী হলেও স্ত্রীর মন জুগিয়ে চলতে হবে- আমার পোস্টের কোন লাইন পড়ে আপনি এমন উপসংহারে আসলেন দয়া করে বলবেন।
আর আপনার পুরো লেখাতেই নারীকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে নারীকেই সমঝে চলতে হবে !
কেনরে ভাই ! কোনটা শরিয়ত পন্থী বা পরিপন্থী সেটার বুঝ কি উনাদের নেই ? উনারা কি জানেন না যে এটা করলে সমস্যা হবে, আবার এটা করলে ভাল হবে ?
আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলে আপনাকে কি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চলতে হবে নাকি প্রতিষ্ঠানই আপনাকে সমঝে চলবে ?
কোন চাকরিজীবী নারীকে আপনি কি পরামর্শ দেবেন - এ ক্ষেত্রে ?
কোন নারী যখন চাকরিতে জয়েন করে তখন কি প্রতিষ্ঠানের রুলস্ ফলো করে , নাকি নিজেই নিজের রুলস্ প্রতিষ্ঠানের উপর প্রয়োগ করে ? এটার বুঝ কি নারীকে দিতে হয় ?
তাহলে সে যখন স্বামীর সংসারে আসে তখন কেন তাকেই সমঝে চলতে হবে ? সে কি চলতে পারে না স্বামীর সংসারে যেমনটা চলে সে তার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে ?
কি তাজ্জব ব্যাপার স্যাপার, ভাবখানা এমন যেন তাদের চাকরী দিয়ে আমিই তাদের চাকর হয়ে গেলাম!! তারা আমাকে সমঝে চলবে কি আমিই বরং তাদের সমঝে চলতে বাধ্য !!!
গুগলের চাকরিজীবীদের কথা হয়তো জানেন অথবা জানেননা। অন্যতম এক ব্রান্ড গুগল। এখানে যারা চাকরী করে তাদেরকে বলা হয় গুগলার। গুগলারদেরকে বেতন দেয়া হয় আকাশচুম্বি। ওয়াই ফাই গাড়িতে আসা যাওয়া করে, অফিসে খাবার ফ্রি; কাজ করতে করতে খুধা পেলে চার তলার অফিস কক্ষ থেকে স্লাইডে চড়ে শাঁ করে ক্যাফেটরিয়াতে নাজিল হয়ে যায়। অফিসে আছে ব্যায়াম করার জিম। অসুস্থ্য হলে আনলিমিটেড ছুটি। সার্বক্ষণিক ডাক্তার ফ্রি, অফিসের মধ্যে সুইমিং পুল- যখন খুশি গোসল কর। ফ্রি লন্ড্রি সার্ভিস, বিনে পয়সায় ইচ্ছেমত কাপড় ধোলাই কর। অফিসে চাইলে পোষা কুকুর নিয়ে ঢোকা যাবে। অবসরে ভলিবল কি যে কোন খেলার ব্যবস্থা; পাহাড়ে চড়া কি সীবিচে ঘোরার ব্যবস্থা। আরে কত কি...!!
পাগলের খাতা-বালিশ; কি বলেন? তাদের বক্তব্য হচ্ছে- এতে নাকি গুগলারদের নিকট থেকে আনলিমিটেড প্রডাকটিভ ওয়ার্ক পাওয়া যায়। কিন্তু গুগলাররা চাকরী করে, শিক্ষিত; তারা কি জানেনা তাদের কর্তব্য কি, এত হাই স্যালারির বিপরীতে তাদের কাজ কি? কিন্তু গুগলের আচরণ দেখে তো মনে হয় মালিক বরং উল্টো শ্রমিকদেরকেই সমঝে চলে..।
ভাইসাব, কথার সাথে একমত তো?
ভবিষ্যত চাপ সহ্য করার জন্য রেডি করছি...
কাজে লাগবে।
আমি মূলত লিখতে চেয়েছি বিবাহেচ্ছুক কিংবা নব বিবাহিত পুরুষদেরকে একটা গাইডলাইন দেয়ার উদ্দেশ্যে। বিচ্ছিন্ন থাকার দাবী করার মত পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয়, সে টেকনিক শিখানোই আমার লেখার উদ্দেশ্য।
তবে আমার মতে, পরিবারের নারীদের মধ্যে পারস্পরিক সহনশীলতার পরিবেশ সৃষ্টির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যদি স্ত্রী জানায় যে তার পক্ষে একত্রে থাকা কঠিন, সেক্ষেত্রে তার পৃথক ব্যবস্থাপনা পাওয়ার অধিকার আছে।
ইসলামের ইতিহাস ঘাটলে যৌথ পরিবারের পক্ষে খুব বেশি উদাহরণ পাওয়া যায়না, উৎসাহও পাওয়া যায়না। বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশেই যৌথ পরিবার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে চিহ্নিত। সুতরাং যৌথ পরিবারের আবেগের কাছে স্ত্রীর নিজস্ব পরিবেশ পাওয়ার অধিকার ভুলুণ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সম্ভবত নেই।
একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।
প্রথম প্রথম প্রতিবাদি ছিলাম কিন্তু এখন সব কিছুতেই পজেটিভ শুধু তার সাথে সুর মিলাই আর যা করার তা করে যাই।
অতএব সুখেই আছি।
ধন্যবাদ।
এমন করে বলবেন না ভাইয়া, অনেক কষ্ট হয়।
বুঝা যাচ্ছে, বউ গুণে আপনি মুগ্ধ ও সিক্ত
আপনার লেখায় তো মেয়েদের বিরুদ্ধে খারাপ কিছু দেখলাম না ।
এখান থেকে মেয়েদের ও শিখার আছে ।
মেয়েরা এ লেখাগুলো পড়ে পরোক্ষভাবে উপকার পেতে পারে তবে সরাসরি তাদের করণীয় সম্পর্কে আমার লেখায় তেমন কিছু নেই, এ কারণেই শিরোনামে ঘোষণা দিয়ে দেয়া। অধিকন্তু, কোন মেয়ে যদি ক্রিটিকাল কোন প্রশ্ন করে বসে- জবাব দিতে পারবো কিনা এই আশংকায় আগ্রীম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে নেয়া আরকি
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনি নারীদের জন্য কিছু লেখা শুরু করে দিতে পারেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন