দাম্পত্য ভাবনা- ২ (শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য)

লিখেছেন লিখেছেন আল্লারাখা ১৫ মার্চ, ২০১৫, ১২:১৬:৫৫ দুপুর

বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্য কোন ফ্যাক্টর না। অন্তত ইসলামে এ বিষয়ে কোন বিধি নিষেধ নেই। কিন্তু বাস্তবে স্ত্রী বয়সে কিছু ছোট হলে দাম্পত্য ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনি পরিবারের কর্তা, আল্লাহ নির্ধারিত কর্তা।যে কোন ক্ষেত্রেই জুনিয়রের উপর কর্তৃত্ব ফলানো যত সহজ, সিনিয়রের উপর ততটা সহজ নয়।

কথায় আছে কিছু কাটে ধারে কিছু কাটে ভারে। আপনার ধার যদি কিছু কমও থাকে, আপনি সিনিয়র হলে তা ‘ভার’ এর কাজ করে সে ঘাটতি কিছু পুষিয়ে দেবে। এখানে ‘ধার বলতে বোঝায় ব্যক্তিত্ব, মেধা, যোগ্যতা, তীক্ষ্ম উপলব্ধি ক্ষমতা, নেতৃত্বের ক্ষমতা ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে ধার ও ভার দুটোই যদি কম হয়, তখন দাম্পত্য ব্যবস্থাপনাটা আর অত মসৃণ থাকেনা।

দাম্পত্য জীবনে চাই স্বতস্ফুর্ত ভালবাসা। জনা কথা, ভাললাগা আর ভালবাসা এক নয়। পুরুষের ভালবাসা আর নারীর ভালবাসায় তফাৎ আছে। পুরুষ ভালবাসে নারীর নারীত্বকে, নারীত্ব যত পূর্ণ হবে, ভালবাসা তত গভীর হবে। কিন্তু নারীর পক্ষ থেকে ভালবাসা হচ্ছে শ্রদ্ধামিশ্রিত ভাললাগা। প্রকৃতিগতভাগে প্রতিটি নারী তার হাসব্যান্ডকে সম্মানিত দেখতে চায়, এমন একজন যে হবে আশ্রয়স্থল, যার কাছে নিজেকে সমর্পন করা যায়, নির্ভর করা যায়। এই সম্মান যেমন যোগ্যতায় আসে, আবার বয়সও সম্মান নিয়ে আসে। অফিসে বসের চেয়ারে একজন সিনিয়রকে দেখলে তার অনেক নির্দেশনাই স্বাচ্ছন্দে পালন করা যায়, খুব বেশি বিচার বিশ্লেষণ না করে।কিন্তু বস যদি হয় একই র্যা ঙ্কের বা একই যোগ্যতার, কেমন যেন তার স্বাভাবিক নির্দেশনাও মাঝে মধ্যেই ত্রুটিপূর্ণ ও উদ্ভট মনে হয়। সম্মানিত কেউ ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যত সহজ, সমবয়স্ক বসের ত্রুটিপূর্ণ নির্দেশ সেক্ষেত্রে সহজে হজম হতে চায়না।

কিন্তু আপনি দাম্পত্য জীবনকে অফিসের সাথে তুলনা করলেন? … স্যরি, দাম্পত্য একটি সহযোগীতামূলক ভালবাসার সম্পর্কের ঠিকানা তাতে কোনই সন্দেহ নেই, কিন্তু সংসার যে পৃথিবীর জটিলতম ও কর্মবহুল একটি প্রতিষ্ঠান- তাতেও সন্দেহ নেই। নেতৃত্ব ছাড়া এই জটিল কর্মমুখর প্রতিষ্ঠান অচল হবে মুহূর্তেই। আমরা হাসব্যান্ড ওয়াইফ কেউ কারো কর্তা নই, হাতে হাত ধরে সংসার তরী এগিয়ে নিয়ে যাই- এ কথা ফেসবুকে কি সাহিত্যে খাটে, বাস্তবে হাতে হাত ধরে কেবল একজনের নেতৃত্বেই এগিয়ে যেতে হয়, সাথে থাকে আরেকজনের সহযোগীতা । আর নেতৃত্ব যেখানে, আদেশ-আনুগত্য সেখানে। বয়সের পার্থক্য এই নেতৃত্ব- আনুগত্যকে বেশ সহজ করে দেয়।

পরিবারে কর্তা ও কর্ত্রীর মধ্যে শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালবাসা ও আনুগত্যের সম্পর্ক সন্তানদের মানসিকতা গঠনের জন্যও অতীব জরুরী। ওরা যখন মাকে দেখে পিতাকে শদ্ধা করতে, ওরাও পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের প্রাকটিস নিয়ে বেড়ে ওঠে। আর পিতা-মাতার সম্পর্ক যখন দরকষাকষির হয়, সন্তানরাও সেভাবেই বড় হয়ে। আজকাল অধিকাংশ ঘরের শিশুদের ব্যাপারে অভিভাবকদের অভিযোগ, ওরা কথা শোনেনা; আর এত যীদ- বাপরে বাপ।সুতরাং, শিশুদের এ আচরণের পেছনে পিতা-মাতার মধ্যে শ্রদ্ধাপূর্ণ কর্তা-কর্ত্রীর সম্পর্কের অভাব যে অনেকাংশে দায়ী, তা বলাই বাহুল্য।

রসূল স. বিভিন্ন বয়সী নারীকে বিয়ে করে কোন বয়সী নারীকে কিভাবে ডিল করতে হবে তার প্রাকটিকাল নমুনা দেখিয়ে গেছেন। হযরত আয়েশা রা. কে যেমন পুতুল খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তেমনি অত্যুচ্চ ব্যক্তিত্ব দিয়ে খাদিজা রা. এর মত সিনিয়র নারীর শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও আত্ম নিবেদন আদায় করে নিয়েছেন। আবার উম্মু সালামা রা. এর মত প্রখর মর্যাদাবোধসম্পন্ন নারীকে নিয়েও নিপুন দুরদর্শিতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দাম্পত্য পরিচালনা করেছেন।

আপনি সমবয়স্কা নারীকে নিয়ে সংসার করতে হলে যেভাবে ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় সজাগ রেখে হেকমত প্রয়োগ করে করে নিজের কর্তৃত্বের অবস্থান ঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে, বিপরীতে কিছুটা জুনিয়রকে বিয়ে করলে তুলনামূলক মসৃণ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। এ পরামর্শ সবার জন্য নয়, সমাজে এমন কিছু যোগ্য মানুষ আছে, যারা যে কারো স্বতস্ফুর্ত শ্রদ্ধা-ভালবাসা আদায় করে নিতে পারে, তাদের কথা ভিন্ন।

পুনশ্চঃ শুধুই ব্যক্তিগত ভাবনা, দ্বিমত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

দাম্পত্য ভাবনা-১

দাম্পত্য ভাবনা-৩

বিষয়: বিবিধ

১৮২৬ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309060
১৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:২৫
মোঃ কবির হোসেন লিখেছেন : খুব সুন্দর লিখেছেন৷ধন্যবাদ৷
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৩
250312
আল্লারাখা লিখেছেন : ধন্যবাদ গৃহিত হল।
309074
১৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
মনের কথাগুলো সব যেন আপনিই লিখে পেললেন। কিভাবে যে আপনাকে ধন্যবাদ দিব। তবে নারীবাদীরা জানতে পারলে আপনার বারোটা বাজিয়ে চাড়বে। তবে কুকুরের আওয়াজের ভয়ে তো আর চাঁদের আলো চুপসে যায় না। লিখতে থাকুন। খুব ভালো লাগলো। সাখেই আছি। লিখতে থাকুন। জাযাকাল্লাহ খাইর
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৫
250313
আল্লারাখা লিখেছেন : এজন্যই তো পোস্টকে নারী মুক্ত ঘোষণা করেছি Happy

উৎসাহ পেয়ে উৎসাহিত হলাম।
309075
১৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৫০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৬
250314
আল্লারাখা লিখেছেন : বউ দুষ্টমি করলেও কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে।
309092
১৫ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫০
লোকমান লিখেছেন : বহুত উপকারি পোস্ট
০৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:১৬
253644
আল্লারাখা লিখেছেন : আপনি না পুরাতন বিবাহিত ...Surprised
০৩ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫১
253692
লোকমান লিখেছেন : Worried Worried
309094
১৫ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কিন্তু সংসার যে পৃথিবীর জটিলতম ও কর্মবহুল একটি প্রতিষ্ঠান- তাতেও সন্দেহ নেই। নেতৃত্ব ছাড়া এই জটিল কর্মমুখর প্রতিষ্ঠান অচল হবে মুহূর্তেই।
এই কথাটা বেশ ভাল লাগল।

আমি একমত। দ্বিমত তারাই করবে যারা অঞ্চল প্রভাবে প্রভাবান্বিত।
০৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:১৫
253643
আল্লারাখা লিখেছেন : ধন্যবাদ। কিন্তু অঞ্চল প্রভাব...:Thinking :Thinking
309109
১৫ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। মা-শা-আল্লাহ । খুব সুন্দর লিখেছেন। ভাল লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২১
254318
আল্লারাখা লিখেছেন : হাইয়াকাল্লাহ...।
309133
১৫ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৩৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি যেসব দৃষ্টিকোন থেকে এই বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন,তাতে সহমত। আপনি খুবই যৌক্তিক এবং বাস্তবিক অবস্থা থেকে উপস্থাপন করেছেন। বর্তমানে দাম্পত্য কলহের যে সকল কারন দেখা গেছে সেখানে নেতৃত্বের গন্ডোগল বেশী উপস্থাপিত হয়েছে। উভয়ে সম বয়স্ক হলে এটা অনেকের কাছে উপভোগ্য হলেও স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধার স্থানটি খানিকটা কমে যায়। আর একই পথ ধরে স্ত্রীর আশ্রয়ের স্থানটি সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। কোনো কঠিন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্ত্রী ভাবে সে নিজেই উনার চাইতে বেশী জানে,ফলে ভারসাম্য অনেক সময় বজায় থাকেনা। স্বামী স্ত্রীর ভালবাসাটা যারা পার্কে বসে বাদাম খাওয়া ভালবাসার মত মনে করেছে তারাই দাম্পত্য জীবনে হোচট খেয়েছে। মূলত সে ভালবাসায় দায়িত্বশীলনা,নির্ভরশীলতা,ধৈর্য,সহনশীলতা,সম্মান ইত্যাদী থাকে। এটাই ভালবাসাকে পরিপূর্নতা দান করে এবং সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করে।
০৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:১৩
253639
আল্লারাখা লিখেছেন : পুরো পোস্টে যা বলতে চেয়েছি, আপনি এক পোস্টে তা বলে দিলেন... Happy
309175
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪১
পাহারা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
০৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:১৪
253642
আল্লারাখা লিখেছেন : কাজে লাগলে বর্তে যাই। ধন্যবাদ।
310012
২০ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : কথায় আছে কিছু কাটে ধারে কিছু কাটে ভারে। আপনার ধার যদি কিছু কমও থাকে, আপনি বয়সে সিনিয়র হলে তা ‘ভার’ এর কাজ করে সে ঘাটতি কিছু পুষিয়ে দেবে। এখানে ‘ধার’ বলতে বোঝায় ব্যক্তিত্ব, মেধা, যোগ্যতা, তীক্ষ্ম উপলব্ধি ক্ষমতা, নেতৃত্বের ক্ষমতা ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে ধার ও ভার দুটোই যদি কম হয়, তখন দাম্পত্য ব্যবস্থাপনাটা আর অত মসৃণ থাকেনা। গাড়ি ঠিকই চলবে, তবে হর্ন ছাড়া বাকি সব পার্টসে শব্দ হবে।


ছেলেদের জন্য!!!!!!! লিখতে গেলেন কেন বুঝতে পারলাম না। দুজনেরই ঐকমত থাকার কথা! যুক্তির দুয়ারে আমারা দাড়ায় কিন্তু প্রবেশ করিনা। প্রবেশ করতে পারলেই শান্তির পরশ খোঁজ পাওয়া যাবে।
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০৩
253466
আল্লারাখা লিখেছেন : মেয়েদের জন্য লিখতে আরেকটু অভিজ্ঞ হতে হবে। তাদের মনস্তাত্বিক খুটিনাটিগুলো আরেকটু আত্মস্থ করতে হবে।
আপাতত একটি ছেলে নতুন বিবাহিত জীবনে কিভাবে স্ত্রীকে ডিল করবে সে বিষয়ে কিছু টিপস দেয়ার চেষ্টা করেছি।
১০
310869
২৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫০
হতভাগা লিখেছেন : নবী রাসূলরা আল্লাহর বিশেষ বান্দা ছিলেন । তাই তাদের বৈবাহিক জীবনে সাধারন মানুষদের মত জটিলতা ছিল বলে শোনা যায় না । এমন কি শোনা গেছে যে অমুক নবীর মা ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক দা-কুমড়ো ছিল বর্তমান কালের মত ?

আল্লাহর বানী যাতে নবী - রাসূলরা সঠিক , নির্ঝন্ঝাটভাবে প্রচার করতে পারেন সেজন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের সংসারের তথা জীবনের এই চরম ঝামেলাতম দিকটি থেকে মুক্ত রেখেছিলেন । আমরা নবী রাসূলদের আল্লাহর বানী প্রচার করার সময় বিধর্মীদের বিরোধীতার কথাই শুনেছি ।

দৈনন্দিন পারিবারিক ঝগড়া ঝাটির কথা কি শুনেছি ?

সাধারণ মানুষ এতটা সৌভাগ্যবান হয় কি ?
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০০
253465
আল্লারাখা লিখেছেন : দাম্পত্য জীবন পৃথিবীর জটিলতম একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠভাবে অগ্রসর হওয়ার পেছনে ব্যক্তি ও সমাজের স্থিরতা ও অগ্রগতি নির্ভর করে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের জটিলতা ও সমস্যাগুলো কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে, তা রসূল স. তার জীবনে বাস্তবায়ন করে দিয়ে না শিখালে আর কিভাবে শেখানো সম্ভব। আপনি যেমনটি বললেন, তেমনি করে কোন মুসলিম যেন বলতে না পারে যে রসূলের নির্দেশমত পরিবার চালানো আমাদের জন্য সম্ভব না কারণ তিনি তো রসূল ছিলেন, এজন্যই আল্লাহ তায়ালা রসূলের দাম্পত্য জীবনে অসংখ্য সমস্যা দিয়ে এবং রসূল স. কর্তৃক সে সমস্যার সমাধান দিয়ে উম্মতকে শেখানোর ব্যবস্থা করেছেন যে কিভাবে স্ত্রী সংসার নিয়ে দিন জীবন যাপন করা যায়।

০১. রসূল স. একসাথে ৮/৯ জন স্ত্রী নিয়ে ঘর করেছেন।
০২. স্ত্রী দের মধ্যে সতিন-সূলভ দ্বন্ধ ছিল এবং রসূল স. এর স্ত্রীরা নিজ মুখে সে দ্বন্দ্বের বর্ণণা দিয়েছেন- হাদিসের পাতায় পাতায় সে বর্ণণা পাওয়া যায়।

০৩. স্ত্রীদের সাথে পারিবারিক মনোমালিণ্যের এক পর্যায়ে রসূল স. এক মাস তাদের থেকে দূরে থেকেছেন মসজিদে নববীতে পৃথক একটি মাচান বানিয়ে।

০৪. স্ত্রীদের সাথে পারিবারিক মনোমালিন্যে বিরক্ত হয়ে কখোনো কখোনো বলেতেন, তোমরা আমার জন্য হযরত ইউসুফ আ. এর নারীদের মত।

০৫. স্ত্রীদের পারস্পারিক সতীন সুলভ অন্তর্দন্দ্বের সমাধান দিতে কখোনো কখোনো খোদ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ওহী নাজিল হয়েছিল।

এরপরও কিভাবে বলা সম্ভব রসূল স. এর জীবন থেকে উম্মতগণ নিজ পারিবারিক সমস্যাবলীর সামধান নিতে অক্ষম?
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:২১
253470
হতভাগা লিখেছেন : বর্তমান জামানায় একজন স্ত্রীর মন রক্ষা করে চলাই দুঃসাধ্য , আর নবীজী এক সাথে ৮/৯ জনকে নিয়ে থেকেছেন । আল্লাহর বিশেষ বান্দা না হলে এটা কি সম্ভব ?

'' তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম '' এই হাদিসটি যত জোরালোভাবে এসেছে আপনার উদ্বৃত করা ২,৩,৪, নং হাদিসগুলো সেরকম জোরালোভাবে শোনা যায় না ।

৫ নং : ক্বুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে এরকম বলা হয়েছে যদি জানাতেন তাহলে খুবই ভাল লাগতো এবং তা দেখে নিতাম ।
০৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:১২
253637
আল্লারাখা লিখেছেন : ১. সূরা তাহরীমের প্রথম আয়াতটি দেখে নিন।
২. ওই হাদিসগুলো আমরা চর্চা করলেই জোরালোভাবে শোনা যাবে Happy
৩. রসূল স. বিশেষ ব্যক্তি ছিলেন বলেই তো ৮/৯ জন স্ত্রীর সাথে সমান আচরণ ও ব্যবহার করে জীবন যাপন করতে পেরেছেন। উম্মতের জন্য তো এক সাথে এত স্ত্রী রাখার অনুমতিই নেই :( । সর্বোচ্চ চারজন পর্যন্ত অনুমতি, উৎসাহ নয়, দেয়া হয়েছে এবং ন্যায় বিচার না করতে পারলে একজন স্ত্রীতেই সীমাবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রসূল স. এর এই ৮/৯ জন স্ত্রী পরিচালনা থেকে প্রতিটি উম্মত এক বা একাধিক স্ত্রী পরিচালনার প্রাকটিকাল গাইডলাইন পেতে পারেন।
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:৫৪
254005
হতভাগা লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

বর্তমানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে সব বিষয়ে চরম দ্বন্দ্ব হয় সেটা কি এরকম ?

স্বামীর মা তথা শাশুড়ীর সাথে যে দ্বন্দ্ব চালিয়ে যায় স্ত্রী বা সময়ে অসময়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া , খাওয়ানো এবং বিভিন্ন গিফট কিনে দেওয়ার যে প্রেসারে থাকতে হয় স্বামীর - রাসূলরা কি এধরনের প্রেসারের ছিলেন ?

এমন প্রেসারে কি উনাদেরকে পড়তে হয়েছে যে মায়ের সাথে বউয়ের দ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে বা স্ত্রীদের আবদার পূরণ করতে গিয়ে আল্লাহর বানী প্রচার করা উনাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল ?
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২৯
254319
আল্লারাখা লিখেছেন : বর্তমান সময়ের পারিবারিক দ্বন্দ্বগুলো কিছু রসুল স.এর পারিবারিক জীবন থেকে সরাসরি পাওয়া যায়, কিছু পেতে রসুল স. এর পারিবারিক জীবন ঘাটার প্রয়োজন নেই, তাঁর সাধারণ দ্বীনি নীতিমালা থেকেই পাওয়া যায়।

স্ত্রীদের আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রত্যাশার জবাব দিতেই তো এক পর্যায়ে রসূল স.কে আলটিমেটাম পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। স্ত্রীদের ডেকে বলছিলেন, যে চাও চাহিদামত স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে বিদায় করে দেই, যে চাও এভাবেই আমার সাথে থাকবে,- চিন্তা করে দেখ।
১১
313019
০৫ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:০০
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আচ্ছা আপু আমার তো এখনো বিয়ে হয়নি!! আমি কি পড়লে কোন প্রবলেম আছে? Broken Heart Broken Heart
বিয়ের আগে বেশি পড়া নাকি ঠিক না এগুলো?
নাকি বিয়ের পড়েই পড়বো?
নাকি এখন পড়বো? Angel Angel
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৬
254587
আল্লারাখা লিখেছেন : 'আপু'!! Surprised শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য পোস্ট দিচ্ছে একটা মেয়ে!! বিবেচনাশক্তির উপর অবিচার করা হচ্ছে না?

এসেই যখন পড়েছেন, পড়েই ফেলুন, টুডে অর টুমোরো, কাজে লেগেও যেতে পারে...Happy
১২
313690
০৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এইরে সেড়েছে এমন বোল্ডতো কখনো হইনি!
ভাইয়া সব দোষ ঐ হারিকেনটার।Time Out Time Out Time Out
ওটাকে হাতুড়ি পেটা করতে হবে।
যাক ঠিকাছে ভাইয়া ।
দুঃখিত আর কোনদিন বলবোনা।
শুকরিয়া অনেক অনেক।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File