ধর্মনিরপেক্ষতাই কি ধর্মহীনতা?
লিখেছেন লিখেছেন নাজমুস সাকিব ১ ২৯ মে, ২০১৩, ০৬:১০:৩৩ সন্ধ্যা
ফরাসী সোস্যালজিস্ট গুস্তাভ লি বন তার Arab Civilization গ্রন্থে লিখেছেন,
"The tolerance of Muhammad towards the Jews and Christians was truly grand; the founders of other religions that appeared before him, Judaism and Christianity in particular, did not prescribe such goodwill. His caliphs followed the same policy, and his tolerance has been acknowledged by skeptics and believers alike when they study the history of the Arabs in depth."
ইতিহাসবিদ থমাস আরনোল্ড তার Invitation to Islam গ্রন্থে লিখেছেন,
"We never heard of a report of any planned attempt to compel non-Muslim minorities to accept Islam, or any organized persecution aimed at uprooting the Christian religion. If any of the caliphs had chosen any of these policies, they would have overwhelmed Christianity with the same ease."
থমাস আরনোল্ড একই গ্রন্থের ১৮৩ পাতায় লিখেছেন, উসমানী খিলাফার সময় ইতালিতে এমন অমুসলিমের সংখ্যা প্রচুর ছিল যারা উসমানী খিলাফার অধিনে চলে আসতে চাইতো। তারা সেই স্বাধিনতা আর ধর্মীয় সহিষ্ণুতা অর্জন করতে চাইতো যা উসমানী খিলাফতের অধীনে খ্রিষ্টানরা ভোগ করতো। যেই স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতা তারা তথাকথিত খৃষ্টানদের চালিত "সেকুলার" রাষ্ট্রে কল্পনাও করতে পারতোনা। তিনি আরো উল্লেখ করেন ১৫ শতাব্দীর শেষের দিকে অসংখ্য ইহুদী, সেকুলারদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে স্পেন থেকে পালিয়ে উসমানী খিলাফায় আশ্রয় গ্রহণ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার নিয়ে লিখতে চাইলে দিস্তার পর দিস্তা খরচ হবে। তাই এখানে দুই একজন ওরিয়েন্টালিস্ট এর বক্তব্য উল্লেখ করলাম যাতে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারীদের বন্ধ চোখটা খোলা যায়।
ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মীয় স্বাধীনতা দুটোকে এক করে দেখার ফলেই দেশে এখন বেকুবের বাম্পার ফলন হয়েছে। কেউ যদি বলে আমি লিঙ্গ নিরপেক্ষ, তাহলে যেমন সেটা একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন দাঁড় করিয়ে দেয়, তেমনি ধর্ম নিরপেক্ষ শব্দটাও একই কনফিউশানে ফেলে দেয়। যদি ধর্মনিরপেক্ষতা দিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা বোঝানো হয়, তবে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় স্বাধীনতাদানকারী জীবন বিধান। অন্যের ধর্মকে সম্মান দিতে, তাকে ধর্মীয় আচারের স্বাধীনতা দিতে নিজের ধর্ম জলাঞ্জলি দিতে হবে, এমন ইডিয়টিক আইডিয়া মানুষের মাথায় কি করে আসে আমি জানিনা। সেকুলার সমাজে ধর্মীয় স্বাধীনতার দৌড় আমাদের ঢের জানা আছে। ওটা মধুর বোতলে মদের মতই।
তাই ধর্মীয় স্বাধীনতাকে ধর্ম নিরপেক্ষতা নাম দিয়ে ধর্মহীনতার চর্চা করতে চাওয়া আর নিজেকে লিঙ্গনিরপেক্ষ দাবি করে লিঙ্গহীন হয়ে পড়া একই কথা। ইসলাম ছাড়া সত্যিকার ধর্মীয় স্বাধীনতা লাভ করা কোন সিস্টেমেই সম্ভব নয়। ইতিহাস পড়ুন। ইসলাম নিয়ে পড়ুন। মাথায় গোবরের বদলে মগজ লোড করুন। এরপর রিস্টার্ট দিন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন