কিছু মনে না করলে ক্রিকেটপ্রেমী, ফুটবলপ্রেমী ভাই/বেরাদারগণ আমাকে বলতে পারেন-
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ০৬ মার্চ, ২০১৬, ০৭:২৪:৫৯ সন্ধ্যা
আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ইসরাঈল ইত্যাদি দেশগুলো এ পর্যন্ত কতোবার ক্রিকেট বা ফুটবল বিশ্বকাপ জয় করেছে?
এই সকল খেল তামাশায় তাদের বরাদ্দই বা কতো?
খেলা দিয়ে যদি বিশ্ব জয় করা যায়, খেলা যদি একটি জাতীর উন্নতির জন্য এতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে বর্তমান বিশ্বকে নেতৃত্ব উপরোক্ত রাষ্ট্রসমূহ এই ব্যাপারটিতে এতো পিছিয়ে কেনো?
যায়োনিস্ট প্রটোকলে মোট চব্বিশটা ধারা আছে। তেরোতম প্রটোকলের শিরোনাম হলো:
= সাধারন জনগণের চেতনাকে বিনাশ করা।
এটা সম্পন্ন হবে পত্রপত্রিকায় নিত্য-নতুন বিতর্ক তুলে মানুষকে সেটা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত রাখার মাধ্যমে। বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন করে, মানুষকে সেটাতে বুঁদ করে রাখার মাধ্যমে। টিভিতে বিভিন্ন সিরিয়াল চালু করার মাধ্যমে!
সত্যি কথা বলতে কি-
আমরা যখন ভাড় সেজে খেলা দেখিয়ে অন্যদের কাছে নিজেদেরকে পরিচিত করতে চাচ্ছি, ইউরোপ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন তখন তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করছে অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র আবিষ্কার, মহাকাশযান, স্যাটেলাইট উতক্ষেপনের পেছনে।
আমরা যখন নর্তকী নাচ আর হলিউড-বলিউডের কে কার সাথে প্রেম করলো, কার চুলের কাটিং বকের মতো, চোরের মতো তার অনুসরণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরি, আমরা যখন বলের স্পিড, রানের আধিক্য নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হই, তারা তখন ইরাক, আফগান, ফিলিস্তিন, সিরিয়ার আকাশে নিজেদের নতুন যুদ্ধ বিমানের স্পিড চেক করে, নতুন বোমাটির কর্মক্ষমতা যাচাই করে মাসুম শিশুদের দেহগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে।
আফসোস এই উম্মাহর সেই সকল নওজোয়ানদের জন্য-
যারা আজকে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসার একটি টিকেট পাওয়াকেই শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে মনে করছে তারা একবারও ভেবে দেখছে না এই ক'দিন আগেই ইরাকে, সিরিয়াতে এর চাইতেও জৌলুষপূর্ণ খেলা, ড্যান্সিং, নাইটবার, মৌজ-মাস্তির অভাব ছিলো না।
কিন্তু আজ আর কেউ সেখানে বিনোদনের জন্য ইনভেষ্ট করে না!
কোনো প্রীতি ম্যাচের আয়োজনের জন্য কেউ সেখানে যায় না।
কারণ মুরগী একবার খোয়াড়ে ভরতে পারলে যবাই করার সময় তাকে আর দানা-পানি, বিনোদন দেয়ার কোনো প্রয়োজন থাকে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৪ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এক্কেবারে মোক্ষম উদাহরণ দিয়েছেন হুজুর৷ ধন্যবাদ৷ এমন উপদেশ মূলক লেখা নিয়ে নিয়মিত হবার অনুরোধ রইল৷
জাযাকাল্লাহু খায়রান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন