দীনের মুহাফিজদের (হেফাজতে ইসলাম) অভিবাদন! সমাজ ও রাষ্ট্রে পুর্ণাঙ্গ ইসলাম প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকুক
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ১৪ মার্চ, ২০১৩, ১২:৪২:৪৪ রাত
لَئِنْ أُخْرِجُوا لا يَخْرُجُونَ مَعَهُمْ وَلَئِنْ قُوتِلُوا لا يَنْصُرُونَهُمْ وَلَئِنْ نَصَرُوهُمْ لَيُوَلُّنَّ الْأَدْبَارَ ثُمَّ لا يُنْصَرُونَ (12) لانْتُمْ أَشَدُّ رَهْبَةً فِي صُدُورِهِمْ مِنَ اللهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لا يَفْقَهُونَ (13) لا يُقَاتِلُونَكُمْ جَمِيعًا إِلا فِي قُرًى مُحَصَّنَةٍ أَوْ مِنْ وَرَاءِ جُدُرٍ بَأْسُهُمْ بَيْنَهُمْ شَدِيدٌ تَحْسَبُهُمْ جَمِيعًا وَقُلُوبُهُمْ شَتَّى ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لا يَعْقِلُونَ (14)
অর্থ: " তারা (ইহুদিরা) যদি বহিষ্কৃত হয় তবে এরা (মুনাফিকরা) কখনো তাদের সাথে সম্পৃক্ত হবে না আর তাদের (ইয়াহুদীদের) সাথে যদি যুদ্ধ করা হয় তবে এরা (মুনাফিকরা) কখনো তাদেরকে সাহায্য করবে না। আর তারা যদি যুদ্ধের ময়দানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করতেও আসে তবুও তারা জয়ী হতে পারবে না বরং তখনও তারা অবশ্যই পিঠ দেখিয়ে পলায়ন করবে এবং তারা (মহান আল্লাহর) কোনো সাহায্য পাবে না।
প্রকৃতপক্ষে তাদের অন্তরে আল্লাহর চাইতে তোমাদের ভয় বেশী; এটা এ কারণে যে, আর তারা তো বেওকুফ সম্প্রদায়।
তারা সম্মিলিতিভাবে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না তবে সুরক্ষিত জনপদের মধ্যে অবস্থান করে বা দেয়ালের পেছন হতে; তারা নিজেরা নিজেদেরকে প্রবল শক্তিধর মনে করে; তুমি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করছ অথচ তাদের অন্তরসমূহ বিচ্ছিন্ন। এটি এজন্য যে, তারা নির্বোধ সম্প্রদায়।" (সূরা হাশর, আয়াত ১২-১৪)
পবিত্র কুরআনের এই আয়াত গুলো পড়ে মনে হচ্ছিলো এগুলো যেনো আমাদের বর্তমান সময়ের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। আজকে যারা ইহুদী খৃষ্টানদের দালাল হিসেবে এই দেশ এই প্রিয় মাতৃভূমি থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ণ করার জন্য উঠে পরে লেগেছিলো, বাহ্যিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার লেবাস ও সুশীলদের কূর্তা লাগানো সেই সকল কুলাঙ্গার ও মুনাফিকদের অবস্থাই দিন দিন প্রভাতের চাইতেও পরিস্কারভাবে সামনে ফুটে উঠছে।
গতকাল আমাদের তথাকথিত বিরিয়ানী আর পোটলার মুক্তিযোদ্ধারা আবারও পরাজিত হলো। হাটু পানিতেই তাদের সকল আস্ফালন শেষ হলো। এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান উলামায়ে কিরাম বিশেষত: চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক হাটহাজারী মাদ্রাসার সর্বজন শ্রদ্ধে আল্লামা আহমদ শফি দা. বা. ও তার হেফাজতে ইসলামের নিবেদিত প্রাণ তরুণ উলামায়ে কিরামের কাছে পরাজিত হলো একবিংশ শতাব্দীর নতুন নব ফ্যাসিবাদ ও নাস্তিক্যবাদ। রাশিয়া যেমন আফগানিস্তানের পাথুরে জমিনে কপাল পুড়িয়ে ছিলো, সেখানকার তালিবে ইলমদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়েছিলো একইভাবে আমাদের দেশের নব্য নাস্তিক্যবাদী ভীতুর ডিমগুলোও কাল হাটহাজারীর হাটু পানিতে ডুবে গেলো।
পুরো এশিয়া দখলের বিশাল মনোবাসনা নিয়ে রাশিয়া আফগানিস্তানে হামলা করেছিলো কিন্তু সেখানকার মাদ্রাসা-মকতব গুলোর অনাহারী-অর্ধাহারী কতিপয় ছাত্র-শিক্ষকদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়েছিলো, আফগানিস্তানের পরে পর্যায়ক্রমে পাকিস্তান ভারত, বাংলাদেশকেও নাস্তিক্যবাদের লীলাভূমি করার পরিকল্পনা ছিলো তাদের। কিন্তু আফগানিস্তানের শক্ত মাটিই তাদের কবরস্থানে পরিণত হয়েছিলো। একইভাবে আমাদের নব্য বাগীরাও বীর চট্টলার সাহসী কিশোর-তরুণদের হাতে নাস্তানাবুদ হলো।
তবে এটিই কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত বিজয় নয়। এটিকেই চূড়ান্ত সাফল্য ভেবে বসে থাকলে ভুল হবে। আমরা চাই আমাদের আজকের 'হেফাজতে ইসলাম' প্রকৃতভাবেই ইসলামের মুহাফিজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। শুধু নাস্তিকদের শাস্তি বিধানের মাধ্যমেই বিশ্বাসীদের কাজ শেষ নয় বরং চিরস্থায়ীভাবে নাস্তিকদের যবনিকাপাতের জন্য ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা আজ সময়ের দাবী। কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমে পরিচালিত ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে চিরদিনের জন্য নাস্তিক্যবাদসহ সকল প্রকার গর্হিত কাজের মূলোৎপাটন করতে। সমাজের সকল জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে প্রকৃত কল্যাণময় একটি সমাজ উহার দিতে।
আভ্যন্তরীণ বিভেদ আর বিভক্তি যেনো দীনের মুহাফিজদের পথচলার ক্ষেত্রে কোনো বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে, নতুন কোনো দলাদলী বা কোন্দল না করে আজকে সকল বিশ্বাসীদের উচিত হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এসে পূর্নাঙ্গ ইসলাম কায়েম ও ইসলামের চূড়ান্ত পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদী হিফাজতের মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়া। মহান আল্লাহ সেই তাওফীক দিন।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন