আমেরিকা সমকামীতাকে বৈধতা দিয়ে সন্তান জন্মহার বন্ধ করে নিজেদের মৃত্যুর সনদে শেষ স্বাক্ষর করলো।
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ২৯ জুন, ২০১৫, ০৯:১৬:৫৫ সকাল
ইজরাঈল, রাশিয়াসহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশেই সন্তান জন্মহার মারাত্মক কম। ফিলিস্তিনের তুলনায় ইসরাঈলে তো পুরুষ সন্তান প্রায় হয় না বললেই চলে। যার কারণে আমাদের দেশে এনজিওরা সন্তান কম নেয়ার নসীহত করলেও ঐ সকল দেশে উল্টো সন্তান অধিকহারে গ্রহণের জন্য বিবাহিতদেরকে তারা বেশী বেশী তাশকীল করে থাকে।
শুধু তাশকীলই নয় বরং যদি কোনো দম্পতি সন্তান গ্রহণ করে তাহলে তাদেরকে বিশেষ বিশেষ সুবিধা দেয় সেই সকল দেশের সরকার। এমনকি প্রথম সন্তানের জন্য যেই সুবিধা, দ্বিতীয়, তৃতীয় সন্তান গ্রহণের জন্য তার চাইতেও অধিক সুবিধা তারা দিয়ে থাকে।
এর কারণ হচ্ছে পশ্চিমা সভ্যতা মানুষকে প্রযুক্তির কিছু বাহ্যিক সুবিধা দিলেও তাদের থেকে কেড়ে নিয়েছে সন্তান, পরিবার ও আত্মীয়তার আত্মিক বন্ধনের পবিত্র অনুভূতি। মানুষ জড় বস্তুর মতো কেবল টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে তারা আর পরিবার বা সন্তান গ্রহণের মতো ঝামেলায় আর কেউ জড়াতে চায় না।
একটি জাতি ও সভ্যতা ধ্বংসের জন্য তাদের সন্তান জন্মহার কমে যাওয়া একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। আমেরিকা সাম্প্রতিক সময়ে সমকামীতাকে বৈধতা দিয়ে সন্তান জন্মহার আরো কমিয়ে নিজেদের মৃত্যুর সনদে শেষ স্বাক্ষর করলো।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে- ফিলিস্তিনের গাজা স্ট্রিপে মথাপিছু মহিলার গড়ে ৭টি বাচ্চা বিয়ায়। এসব অনাকাংখিত শিশুদের রিজিকের যোগান দিতে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা রিতিমত হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে কানাডা এবং অষ্ট্রেলিয়া থেকে আনা বিশেষ রিজিক ভিক্ষা খেয়ে ফিলিস্তিনি শিশুরা বেঁচে আছে।
যে সকল কারণে একটি জাতি ধ্বংস হয় তার একটি মার্কিনীরা শুরু করেছে এবং আরেকটি শুরুর আলামত দেখা যাচ্ছে। আজ থেকে ৩১০০ বছর পুর্বে বর্তমান জর্দান-ইসরাইলে অবস্হিত ডেডসী বা মৃত সাগরই ছিল "সদম ও গোমরা" নগর। এই নগরের অধিবাসীরা ব্যাপক সমকামীতায় জড়িয়ে পড়ে । মহান আল্লাহ তাদের সংশোধনের জন্য লুত (আঃ) কে নবী হিসেবে পাঠান। ঐ জাতি লুত (আঃ) আহবানে সাড়া না দিয়ে নিকৃষ্ট কু-কর্ম (সমকামিতা) চালিয়ে যান। মহান আল্লাহ "সদম ও গোমরা" নামের এই নগরকে আসমান থেকে অগ্নী কুন্ড নিক্ষেপ করে উল্টিয়ে ধ্বংশ করে দেন। যা আজও সাক্ষী হিসেবে আছে ডেড সী বা মৃত সাগর। কুরআন ও বাইবেলে এ ইতিহাস বর্ণিত এ জলন্ত দৃষ্টান্ত থাকার পরও মার্কিনীরা সমকামীতাকে বৈধ করে প্রমাণ করলো, তাদের সাম্রাজ্যের পতন অনিবার্য।
বিয়ে তেই তো তারা বিশ্বাস করেনা!
মন্তব্য করতে লগইন করুন