দেশের শীর্ষ, বিচক্ষণ ও নিভৃতচারী আলেমের উপর জুলুম ও অপবাদের এক জ্বলন্ত প্রমাণ
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ০৫ মার্চ, ২০১৩, ০১:২৮:৪২ দুপুর
রিমান্ড চেয়ে আদালতে জমা দেয়া আব্দুল মোমিন ও শাহজাহান আলীর স্বাক্ষরিত জঘন্য মিথ্যাচার সম্বলিত লিখিত আবেদনের ফটোকপির ১ম পৃষ্ঠা
রিমান্ড চেয়ে আদালতে জমা দেয়া আব্দুল মোমিন ও শাহজাহান আলীর স্বাক্ষরিত জঘন্য মিথ্যাচার সম্বলিত লিখিত আবেদনের ফটোকপির ২য় পৃষ্ঠা
আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়, সম্মানিত একজন শীর্ষ আলেম, প্রফেসরকে গত ২৪ তারিখ তার প্রতিষ্ঠানের ক্লাস থেকে ধরে নিয়ে গেছে মানবরূপী কতিপয় নরপশু।
তাঁর অপরাধ, তিনি জালিমদের অন্যায় গুলোর সমর্থনে কোনো প্রেস রিলিজ বা বিজ্ঞপ্তি দেননি। ইসলামের বিরুদ্ধে তিনি তার মেধাকে ব্যবহার করেন নি। বরং রাসূল সা. এর অবমাননা ও নাস্তিকদের অন্যায় আস্ফালনের ব্যাপারে জাতীয় পর্যায়ের আলিমদেরকে সজাগ করতে চেয়েছিলেন।
তাঁকে গ্রেফতারের পেছনে কারণ দেখানো হয়েছে গত ২২ তারিখে ঢাকার একটি মিছিল ও তা থেকে পুলিশের উপর হামলা। অথচ তিনি ২০ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ঢাকাতেই ছিলেন না। তিনি তার গ্রামের বাড়ি হাতিয়ায় মাহফিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে ২০ তারিখেই দেশে চলে যান। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরেন ২৪ তারিখ সকালে। ২৪ তারিখ সকালে ঢাকায় এসে তার নির্ধারিত ক্লাস নেয়ার সময় ক্লাস রুম থেকে তাকে নিয়ে যায়।
তার জন্য থানায় শ্রদ্ধেয় কয়েজন দেখা করতে আসেন। তাদের কাছে টাকা চাওয়া হলে তাদের পক্ষ থেকে থানায় ৪০ হাজার টাকাও দেয়া হয়, যেনো তারপরও জালিমরা তাকে ছেড়ে দেয়, জুলুম না করে।
কিন্তু মানবরূপী ওই নরপশু গুলো টাকা নিয়েও তাকে ছাড়ে নি। বরং টাকা নেয়ার পর মামলা করা হয়েছে বলে রেখে দেয়। পরদিন আদালতে প্রেরণ করে।
২০ তারিখ তার মাহফিল ছিলো ঢাকা থেকে বহুদূরে নোয়াখালী, হাতিয়ার নলচিরা ছিরাজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমাখানার উদ্যোগে আয়োজিত তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে।
মাহফিলের পোষ্টার ও লিফলেটে ছাপা হয়ে আছে তার নাম। এছাড়া টিকিটও সফরসঙ্গীরাও আছে প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে।
এরপর তার সফর ছিলো পাশের একটি থানায়। ২৩ তারিখ পর্যন্ত তিনি সেখানেই বিভিন্ন কাজে ছিলেন। তার সফরঙ্গীরাও সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত। তিনি যে ঢাকার বাইরে ছিলেন তার সকল প্রমাণ দেয়ার পরও তার মতো নিভৃতচারী এমন একজন শীর্ষ আলিমের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৮৬, ৩৩২, ৩৫৩, ৩০৭, ১০৯ এবং ১১৪ পেনাল কোড উদ্ধৃত করে মামলা দেয়া হয়েছে। ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে ২ দিন মঞ্জুর করানো হয়েছে। কিন্তু রিমান্তে জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দারা লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে তার কাছ থেকে অভিযোগ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। তারপরও তাকে এখনও জামিন দেয়া হয় নি।
তারপরও তাকে হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে।
এর মাধ্যমে আসলে ক্ষমতাসীনরা একজন বিচক্ষণ আলিমকে হারালো। তাকে ক্রুদ্ধ করলো। এমন একজন মহান ব্যক্তিকে কষ্ট দিলো যিনি তাদের ন্যয়সঙ্গত অনেক উপকার করে দিয়েছিলেন কোনো ধরণের বিনিময় গ্রহণ ব্যতীতই। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ধর্ম উপদেষ্টা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি এবং খতীব সাহেবও তার পরামর্শে উপকৃত হয়েছেন অনেকবার। কিন্তু তারাও আজ বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিলেন।
এই জুলুম নি:সন্দেহে জালিমদের কফিনে আরো অনেক গুলো পেরেক হিসেবে গ্রথিত হলো।
আল্লাহ আমার প্রিয় এই ভাইকে জালিমদের থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফীক দিন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
২৬৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন