লাইক একটি মতামত : সুতরাং লাইক দেয়ার আগে ও পরে আরেকবার ভেবে দেখবেন কি?
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ১০ আগস্ট, ২০১৪, ০১:১৩:৪৩ রাত
বর্তমান আধূনিক প্রযুক্তির যুগে ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষিত কিন্তু তিনি কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা রাখেন না এমন মানুষ আজ খুবই কম। আর সাবালক ও নূন্যতম বুদ্ধি সম্পন্ন যে কোনো আধূনিক মানুষ ইন্টারনেট ও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে একেবারেই অবহিত নন -এমন মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতা এবং মোবাইল সহজলভ্য হওয়ার ফলে এখন কোটি কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। অনেক দিন আগের একটি জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী সম্পর্কে তথ্য এসেছিলো। আজকের পরিসংখ্যান কত তা জানা নেই। তবে এটা যে চক্রবৃদ্ধিহারের চাইতেও দ্রুতবেগে বেড়ে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
এই বিশাল সংখ্যক মোবাইল ব্যবহারকারীর অন্তত: ৩০-৪০% এমন পাওয়া যাবে যারা মোবাইলে কেবল ফোন করা ও কল রিসিভ করাই নয় বরং এর পাশাপাশি গান শোনা, ভিডিও দেখা, ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর জন্যও মোবাইল ব্যবহার করেন। বিশেষত: বর্তমানে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দামের মোবাইলেও যখন এসকল সুবিধা সীমিত ও ক্ষেত্র বিশেষে উন্মুক্তভাবে পাওয়া যায় তখন এই সুযোগ আর কে হাতছাড়া করতে চায়।
যাই হোক যা বলছিলাম। অনেকেই আজ ডেস্কটপ, ল্যপটপ, ট্যাবলেট বা আইপ্যাডের পাশপাশি মোবাইলের মাধ্যমেও ফেসবুক ইউজ করেন। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা যতো, তাদের দৈনন্দিন লাইক, পোষ্ট, শেয়ার এর পরিমাণও ততোধিক। অনেকেই জেনে বা না জেনে যে কোনো লেখা, ছবি বা ভিডিও ইত্যাদিতে লাইক দেন। এই লাইক নিয়ে ব্যবসাও করছে অনেকে। কেউ কেউ বিভিন্ন পেজে লাইক দেন। লাইক অর্থ জেনে বা না জেনে।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে, লাইক হচ্ছে একটি মতামত ও অভিমত। একজন ব্যক্তির তার রুচি, চিন্তা, বিশ্বাস কর্মকান্ডের স্বরূপ তুলে ধরে। একজন ব্যক্তি একটি বিষয়ে লাইক দেয়ার অর্থ হচ্ছে তাকে সমর্থন, পছন্দ ও উৎসাহ দেয়া। এটি ভালো হলে তো খুবই ভালো। ভালো কাজে সমর্থন দান, উৎসাহ দেয়া ও সহযোগিতা করা বা সামান্য একটি লাইক দেয়া তো খুবই উত্তম কাজ। কিন্তু আমাদের অনেকেই যে বিষয়টি না বুঝে মন্দ, অশ্লীল, ক্ষতিকর, বিভ্রান্তিকর বিষয়েও নিজের এই লাইক তথা সমর্থন ব্যক্ত করে ফেলেন নিজের অজান্তেই।
সুতরাং আপনি কাকে সমর্থন করছেন, কাকে পছন্দ করছেন ও উৎসাহ দিচ্ছেন একটু ভেবে দেখবেন কি?
লাইক দেয়ার আগে আরেকবার ভেবে নিন। একজন বিশ্বাসী বা মুমিন হিসেবে আপনার সকল কাজের হিসাব একদিন দিতে হবে। এই বিবেচনায় আপনি দুনিয়াতে অনলাইনে বা অফলাইনে কাকে সমর্থন, পছন্দ, সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছেন তাও কিন্তু একাউন্টিং ও হিসাবের খাতায় চলে আসবে।
সুতরাং অনলাইনে বা অফলাইনে ভালো কাজে লাইক দিন,
মন্দ কাজের বিরোধীতা করুন। অথবা তাকে ইগনোর করুন।
আল্লাহ আমাদের সকলকে দুনিয়াবী সকল উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিবেচনাবোধকে কাজে লাগাবার তাওফীক দিন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৬ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদের বোঝার এবং সঠিকভাবে মতামত ব্যক্ত করার তাওফীক দিন। আমীন।
খান সাহেব কি এ্যাকাউন্টিং এর ছাত্র আছেন/ছিলেন?
তা মানে... হঠাৎ এতো কঠিন প্রশ্ন করলেন যে জনাব, বুঝলাম না: :
এই জন্যে জিজ্ঞাসা করছিলাম।
আসলে আমি আগা-গোড়াই কাটমোল্লা মানে কওমী মাদ্রাসার সাধারণ একজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এই আর কি।
তবে জীবনের প্রয়োজনে যোগ-বিয়োগ কিছু শেখা হয়েছে বটে!
বিশেষত: হিউম্যান রিয়েলিটির উপর স্বশিক্ষিত ডক্টরেটও হয়েছে মোটামুটি) )
মেইলে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছি। আশা করি সম্ভব হলে আমাকে একটি ফোন দিবেন।
দারুণ লিখেছেন ।
আপনাদের কলম যেনো থেমে না যায়। কী-বোড যেনো থমকে না যায়।
অনেকে লাইক মানে পছন্দ করা বুঝে নেন। মৃত্য সংবাদে লাইক দিলে রাগ করেন। কিন্তু ফেইসবুক এর লাইক অপশনটা শুধু পছন্দ করা নয় প্রাপ্তি স্বিকার ও বটে। এই সব ভেবেই লাইক দেয়া দরকার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন