ইরাকের আইএস ও উম্মাহর মনস্তাত্বিক দোলাচল
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:১৭:৪৭ সকাল
আমাদের অনেকের একটি কমন সমস্যা হলো আমরা নিজেদের অর্জন গুলোকে নিজেরাই নষ্ট করে ফেলি জেনে বা না জেনে। বুঝে বা না বুঝে।
এতোদিন আমাদের অনেককেই নানান বিরুপ পূর্ণ কথা বলতে শুনেছি ইরাক ও সিরিয়ার আইএস সম্পর্কে। অভিযোগ আর অনুযোগের যেনো শেষ নেই। অবশ্য তাদের বাস্তবিক বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ও বাড়াবাড়িও অবশ্যই আছে। বিশেষত: নিজেদের অন্যান্য মুজাহিদ ভাইদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি কিংবা শিয়াদের সাধারণ অংশের উপর বেশি কঠোর না হয়ে তাদের আরো আগেই আমেরিকার বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার দরকার ছিলো। কারণ মুসলিমদের সবচাইতে বড় শত্রু হচ্ছে আমেরিকা। ফিলিস্তিন কিংবা আফগান, পৃথিবীর সকল নিরপরাধ মুসলিম হত্যার পেছনে তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তাই বলে তাদেরকে ঢালাওভাবে দোষারোপক করা ও তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে প্রচারণায় নিয়োজিত হওয়ার মাধ্যমে কি আমরা আমাদেরই ক্ষতি করছি না? মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনকে দূর্বল করায় ভূমিকা রাখছি না?
এতোদিন অনেকের অনুযোগ ছিলো আইএস যদি সত্যিই হকের উপর থেকে থাকে তাহলে তাদের উপর আমেরিকা হামলা করছে না কেন?
গতকাল ৬টা ড্রোণ ও ১টা ২৪ কেজীর লেজার গাইড বোমা ফেলেছ যা ৬ টি isis বহরকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করার সংবাদ এসেছে। আল্লাহ তাদের সহায় হোন।
এখন আমাদের ভূমিকা কি হবে?
হয়তো এখন আমাদের অনেকের সূর সামান্য পরিবর্তন হবে এবং কেউ বলবে, দেখো আইএসকে আমেরিকা ব্যবহার করে এখন প্রয়োজন শেষ বলে হামলা করছে!
আসলে কেউ অভিযোগ ও দোষ সন্ধান করতে চাইলে তার কোনো শেষ নেই।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৭ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ক্ষুদ্র বাহিনীর বিরুদ্ধে পৃথিবীর সব রাষ্ট্র এবং
মিডিয়া। এ থেকে বুঝা যায় না। তারা হকের উপর দাড়িয়ে আছে। এমন কি nusra কে লাগিয়ে দিয়েছে isis বিরুদ্ধে।
তাই ঢালাও তাদের বিরোধিতা না করে গঠনমূলক সমালোচনা করা উচিত।
কুকারে ঈদের রান্না এখনও হচ্ছে বুঝি...
দাওয়াত পাওয়ার আগেই সব খেয়ে ফেললেন?
আল্লাহই ভাল জানেন। তারা যদি হকপন্থী হন তাহলে অন্তরের গভীর হতে দোয়া করি, আল্লাহ তাঁদের কামিয়াব করুন। আর মুখোশধারী বাতিল হলে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন।
সামগ্রিকভাবে বলেছি। অনেকেই করেন কি না...
তবে আইসিসের ব্যাপারটা যেমন উৎসাহ জনক তেমনই আবার সন্দেহজনক। তারা আল নুসরাহ ফ্রান্টের প্রধান যোদ্ধা কমান্ডারকে হত্যা করেছে, আল কায়েদা এবং তালেবান খেলাফতকে অশ্বীকার করে নতুনভাবে খেলাফত ঘোষণার মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
আল্লাহই ভাল জানেন তারা আসলে কার পক্ষ হয়ে মাঠে নেমেছেন, আল্লাহ পক্ষ হয়ে নাকি শয়তানের পক্ষ হয়ে মাঠে নেমেছেন তা সঠিকভাবে নিরুপনের কোন নির্ভরযোগ্য উৎস পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে তারপরও আমাদের সর্বদা সুচিন্তিত মতামত ও সত্যের পক্ষে অবস্থান থাকা প্রয়োজন।
তবে এতটুকু বলতে পারি, যারা ঢালাও ভাবে আইএসআইএস-এর সমর্থন করে যান, তাদের একটু সতর্ক হওয়া উচিত। কেননা তারা বাহ্যিক দৃষ্টিতে হলেও মুসলমান। আর একজন মুসলমানের সমালোচনা তখনই সাজে যখন এসংক্রান্ত পর্যাপ্ত দলিল হাতে মওজুদ থাকে।
এই ব্লগে একজন তাদের নাস্তিক-ইহুদি-নাসারাদের তাবেদার এজেন্ট বানানোর কোন কসুর বাকি রাখেনি। উদ্ভট কিছু লিঙ্ক আর গ্রাফিক এডিটেড ফটো দিয়ে নিজেকে প্রমাণের চেষ্ঠাও করেছিলো। আমি যখন চেপে ধরলাম, উনি প্রথমত এদিক সেদিক করে অতপর আর কোন মন্তব্য করেননি।
যাই হোক, আমি দুআ করি আইএসআইএস যে তালেবান না হয়ে যায়, ওরা যেন হক্বের উপর থেকে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিতে পারে।
তবে এই লেখায় আরো কিছু তথ্য আছে।
https://www.facebook.com/ishak.khan40/posts/4412863416531
আর
https://www.facebook.com/786states.man?fref=ts
উনি ভালো বলতে পারবেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন