ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের শক্তির পার্থক্য
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ৩০ জুলাই, ২০১৪, ০৩:১৫:৫৯ দুপুর
আজ ফিলিস্তিনের মুসলিমরা নির্বিচার গণহত্যার শিকার হচ্ছে। ইহুদী হায়েনারা মুসলিম মা-বোন, শিশুদেরকে হত্যা করছে আর আরবের অপর মুসলমান নামধারী নপুংশক শাসক, সেনাবাহিনী চেয়ে চেয়ে দেখছে। কখনো কখনো তারা আবার ন্যাকামো করে বলছে যে ইসরাইলের সাথে লড়ার ক্ষমতা নাকি তাদের নেই।
এব্যাপারে পরিসংখ্যান কি বলে? আসুন এক নজরে দেখে নেই।
জনসংখ্যার দিক থেকে :
ইসরাইলের জনসংখ্যা ৭,১১২,৩৫৯
পক্ষান্তরে-
মিশরের জনসংখ্যা ৮১৭১৩৫২০
সউদী আরবের জনসংখ্যা ৩ কোটি
তুরস্কের জনসংখ্যা ৭ কোটি
সিরিয়ার জনসংখ্যা ২ কোটি
ইরানের জনসংখ্যা ৬.৫ কোটি
লেবাননের জনসংখ্যা ৪ কোটি
= শুধু মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম জনসংখ্যাই ৪৩ কোটি
যুদ্ধের জন্য সক্ষম জনসংখ্যার দিক দিয়ে :
ইসরাইলের আছে মাত্র ২৮ লক্ষ
পক্ষান্তরে-
মিশরের আছে ৩ কোটি, ৫০ লক্ষ
সউদী আরবের আছে ৮৪ লক্ষ
তুরস্কের আছে ৩ কোটি, ৫০ লক্ষ
সিরিয়ার আছে ১ কোটি
ইরানের আছে ৩ কোটি, ৫০ লক্ষ
লেবাননের জনসংখ্যা ২ কোটি
শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই আছে আছে ১৮ কোটি
সামরিক বাজেটের দিক দিয়ে :
ইসরাইল খরচ করে মাত্র ১২ বিলিয়ন মিশরের ১৪ বিলিয়ন
সউদী আরবের ৫৫ বিলিয়ন
তুরস্কের ৪৫ বিলিয়ন
ইরানের ১৯ বিলিয়ন
শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই আছে ১৮ কোটি
এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি ১জন ইসরাইলী জনগণের বিপরীতে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই বিদ্যমান রয়েছে ৬১ জন মুসলমান। ১জন যুদ্ধে সক্ষম ইসরাইলীর বিপরীতে আছে ৬৮ জন যুদ্ধে সক্ষম মুসলিম। এই বিপুল সংখ্যক মুসলমানরা যদি চারপাশ থেকে শুধু একবার তাকবীর ধ্বনি দেয় তাহলে তো এর চাপে ১জন ইসরাইলী এমনিতেই হার্টফেল করে মারা যাওয়ার কথা। সামরিক বাজেটের দিক থেকে মুসলমানদের বাজেট ইসরাইলের থেকে ১৭ গুণ বেশি। সুতরাং এদিক থেকে মুসলমানদের দূর্বল মনে করার কোন কারণ নেই।
এটা তো গেল যদি ইসরাইল মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় তাহলে তার অবস্থা। আরবের মুসলিম দেশগুলো চাইলে যুদ্ধ ছাড়া শুধুমাত্র অবরোধের মাধ্যমেই ইসরাইলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। সাগর, আকাশ, ভূমি এই তিন পথের প্রত্যেকটির জন্যই ইসরাইল আরবের মুসলিম দেশগুলোর উপর নির্ভরশীল। আরব দেশগুলো এই পথ খুব সহজেই ইসরাইলের উপর অবরোধ আরোপ করে বন্ধ করে দিতে পারে।
আমরা জানি যে, ইসরাইলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯৮% সম্পাদিত হয় ভূমধ্য সাগর দিয়ে মিশর, সিরিয়া ও তুরস্কের মধ্য দিয়ে। মিশর সিরিয়া ও তুরস্ক ইচ্ছা করলেই এই পথগুলো বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে বন্ধ হয়ে যাবে ইসরাইলের সকল বাণিজ্য। ভেঙ্গে যাবে তার অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড।
ইসরাইলের প্রয়োজনীয় তেল চাহিদার ৯০% আসে ট্যাংকারের মাধ্যমে রাশিয়া ও মিশর থেকে। রাশিয়ার তেল আসে তুরস্কের মধ্যকার বসফরাস প্রণালী হয়ে আর মিশরের তেল আসে আকাবা উপসাগর দিয়ে। তুরস্ক ও মিশর চাইলে ইসরাইলে অনুপ্রবেশের এই তেল সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে তার দৈনন্দিন সকল কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে যাবে।
কিন্তু কোন একজন আরব শাসকও উম্মাহ্র হৃদপিন্ডে ধারাবাহিকভাবে আঘাত করতে থাকা এই অবৈধ রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে এমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং তারা আরো উম্মাহর সাথে গাদ্দারী করে প্রতিনিয়ত এই অবৈধ রাষ্ট্রটির রসদ যোগার করে দিচ্ছে। মিশর প্রতি বছর ইসরাইলকে ১.৭ থেকে ৩ বিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাস সরবরাহ করছে। তুরস্ক দিচ্ছে ৫০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি। আর এভাবেই তারা পরজীবি এই রাষ্ট্রটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
চলবে...
পরের পর্ব: ফিলিস্তিন মুসলিমদের হাতছাড়া হওয়ার প্রেক্ষাপট।
বিষয়: বিবিধ
৭৪৯৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসরায়েলের এই নৃশংসতার জবাব নৃশংসতা দিয়েই দিতে হবে । কারণ কারও কারও বোঝার ভাষা ভিন্ন হয় । কেউ কথায় বোঝে আবার কেউ মাইরের মাধ্যমে বোঝে ।
এই মুহূর্তে শান্তিকামী দুনিয়াবাসী হিটলারের মত একজন নৃশংস কাউকেই চাইছে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে ইহুদীদের অশান্তি থেকে রেহাই পেতে ।
বিস্তারিত : http://wiki.answers.com/Q/Does_Israel_border_Saudi_Arabia
সৌদি আরব চাইলে আকাবা উপসাগরের জলপথ ব্যবহার করেও ইসরাইলকে আক্রমন করতে পারে ।
উপরন্তু আকাবা উপসাগরের তীর দিয়ে ইসরাইলের বানিজ্য জাহাজ যাতায়াত করে । আকাবা উপসাগর সৌদি আরব, মিশর ও জর্দানের অংশে পড়েছে । এসব দেশ চাইলে ইসরাইলের বানিজ্য বন্ধ করে দিতে পারে ।
সৌদি আরব চাইলে ইসরাইলকে ৩ মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে । সৌদি আরবের পর ইসরাইলে যেতে জর্দানের মাত্র ১০ মাইল ভুমি আছে । সৌদি আরব চাইলে জর্দানের সেই ১০ মাইল এলাকা জর্দান হতে দখল করে নিতে পারে যদি জর্দান সৌদি আরবে ইসরাইল আক্রমনে সাহায্য না করে । কথায় আছে না যুদ্ধ আর প্রেম করার ক্ষেত্রে সব কিছু করা বৈধ ।
মওদুদী রাহেমাহুল্লাহর ঐ কথা মনে পড়লো- যার সারাংশ এমন-
পাখির সংখ্যা যত বেশী হয় শিকারী ততই উতফুল্ল-আনন্দিত হয়
যাদের শক্তি ও সংখ্যার অংক কষেছেন তারা শিকারী নয়- বরং শিকার(পাখী)
ইহুদীদের সংখ্যা ও শক্তির সাথে বৃটেন-আমেরিকার গুলোও যোগ করতে হবে।
আল্লাহ মুসলিমদের ঈমানী শক্তি আরো বৃদ্ধি করে দিন। তাদেরকে জালিমের উপর বিজয় দিন।
যা আমেরিকার সহয়তায় নির্মান করেছে। সৌদি আরব আর আরেক পাশে মিশর । এই দুই দেশই
হামাসের শত্রু।
সবাইকে তাই সজাগ ও স্বরব হতে হবে...
আমার দেশ প্যালেষ্টাইন। শত্রু অধিকৃত একটি শহর। আপনাদের
প্রথম কেবলা। একবার যদি ভাইগন।
আল কুদসের দিকে মুখ ফেরান,একবার।
হাতে হাত। এহরামের শ্বেতবস্ত্র সেলাইবিহিন। একবার শুধু
হাঁটতে হাঁটতেও চলে যান। তবে
সামনেই জেরুসালেম,আমার প্রিয় নগরি,
বিজয়!!
বিস্তারিত : http://wiki.answers.com/Q/Does_Israel_border_Saudi_Arabia
উপরন্তু আকাবা উপসাগরের তীর দিয়ে ইসরাইলের বানিজ্য জাহাজ যাতায়াত করে । আকাবা উপসাগর সৌদি আরব, মিশর ও জর্দানের অংশে পড়েছে । এসব দেশ চাইলে ইসরাইলের বানিজ্য বন্ধ করে দিতে পারে ।
সৌদি আরব চাইলে ইসরাইলকে ৩ মিনিটের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে । সৌদি আরবের পর ইসরাইলে যেতে জর্দানের মাত্র ১০ মাইল ভুমি আছে । সৌদি আরব চাইলে জর্দানের সেই ১০ মাইল এলাকা জর্দান হতে দখল করে নিতে পারে যদি জর্দান সৌদি আরবে ইসরাইল আক্রমনে সাহায্য না করে । কথায় আছে না যুদ্ধ আর প্রেম করার ক্ষেত্রে সব কিছু করা বৈধ ।
এসব ম্যাপ প্রমাণ করে যে সৌদি আরব একাই ইসরাইলকে তিন মিনিটে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে ।
সৌদি আরবের সাথে ইসরাইলের সীমান্ত নিয়ে এই কথা ভুল প্রমানিত হলো । বাংলাদেশের এক নদীর এপার ওপারই হয় ১২ - ১৫ কিলোমিটার । যেমন : যমুনা নদী । মাত্র ১০ কিলোমিটার স্হল ও জল পথের দুরত্ব অতিক্রম করে সৌদি আরব ইসরাইল আক্রমন করতে পারবে না - এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া অসম্ভব । বাস্তব অবস্হা হলো সৌদি রাজারা ইহুদিদের বংশধর এবং সৌদি আরব ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় প্রধান ভুমিকা রেখেছে । কথায় আছে না : মেরেছিস কলসির কানা তাই বলে প্রেম কি প্রেম দিবো না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন