নব্য 'আওস' 'খাযরাজ' আজকের আওয়ামী বিএনপি
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ০৭ মে, ২০১৪, ০৯:০৭:৪২ রাত
গত কয়েক বছর ধরে কেবল বিএনপি-জামাতের লোকদের খুন-গুমের কথাই শুনছিলাম। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে বিএনপি জামাতের লোকদের পাশাপাশি আওয়ামীলীগের লোকজনও নিজ দলের লোকদের হাতেই খুন-গুমের শিকার হচ্ছে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন ও তাতে খুনী হিসেবে নূর হোসেন বা অন্য যাদের কথাই আসছে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রায় সকলেই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত। কোটি কোটি টাকার দেন-দরবারেও আটকাচ্ছে না খুন-গুম।
আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৪ শত বছর আগের আরবের সেই অবস্থারই যেনো নতুন সংস্করণ। প্রিয়নবী সা. মদীনায় আসার আগে সেখানে সবচাইতে শক্তিশালী দু'টি গোত্র ছিলো 'আওস' ও 'খাজরাজ'। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পরে দীর্ঘ ১০০ বছর যাবত 'জঙ্গে বুয়াস' নামক এক ভাতৃঘাতী ও আত্মঘাতি যুদ্ধে নিজেদের সক্ষম সকল নেতাকে হারায়।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব এবং মদীনায় হিজরত করে আসার সময় মদীনায় প্রধানত: দু’টি জাতি বসবাস করতো। (১) মদীনার আরব বাসিন্দা (২) ইহুদী সম্প্রদায়। এই দু’টি জাতি আবার অনেকগুলো গোত্রে বিভক্ত ছিলো। যেমন মদীনার আরব বাসিন্দারা দুই গোত্রে বিভক্ত ছিলো যথা (১) আউস (২) খাযরাজ।
আউস গোত্রের গুরুত্বপূর্ণ চারটি শাখা ছিলো- (১) বনু আবদিল আশহাল, (২) বনু জাফর (৩) বনু মুয়াবিয়া (৪) বনু হারিসা।
এমনিভাবে খাযরাজও ছিলো চারটি গোত্রের সমষ্টি। যথা (১) মালিক, (২) আদী (৩) মাযিন এবং (৪) দ্বীনার।
আর মদীনায় অবস্থানকারী ইহুদীদের মোট গোত্র ছিলো বিশ টিরও বেশি। তবে এই বিশটি গোত্র গুরুত্বপূর্ণ ও বড় বড় তিনটি গোত্রে সীমাবদ্ধ ছিলো। যথা: বনু নাজীর (২) বনু কুরাইজা (৩) বনু কাইনুকা।
মদীনার আরব বাসিন্দা তথা আউস-খাযরাজের বংশধারা ইয়ামানের ‘আযদ’ গোত্রের সাথে গিয়ে মিলিত হয়।
দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষের দিকে ইয়ামানের উপর আবিসিনিয়ার আক্রমণের কারণে ইয়ামানের অবস্থা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এসময় মা’আরিব নামক একটি বাঁধ ধ্বংস হয়ে যায়, যার দ্বারা ইয়ামানের বিভিন্ন ফসলী জমিতে পানি দেয়া হতো। ফলে কৃষি জমিতে সেচ উপযোগী পানির ভীষণ অভাব ও তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়।
এ ধরণের আরো বিভিন্ন সমস্যার কারণে আউস ও খাযরাজ গোত্রের পূর্বপুরুষরা বিভিন্ন বিরতিতে একের পর এক মদীনায় হিজরত করে।
বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ স্যাডিভ এর মতে, “আওস ও খাযরাজ গোত্র তিনশত খ্রিষ্টাব্দের দিকে মদীনাকে তাদের বাসভূমিতে পরিণত করে এবং ৪৯২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মদীনার উপর তাদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়।” (-তারীখুল আরব আল আম।)
আর মদীনার ইহুদী সম্প্রদায় আউস ও খাযরাজেরও বহু পূর্বে খ্রিষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে মদীনায় আগমন করে। প্রখ্যাত ইহুদী পন্ডিত ড. ইসরাইল ওয়েলফিন্সন এর মতে, “সত্তর খ্রিষ্টাব্দে ইহুদী ও রোমকদের যুদ্ধের পরিণতিতে যখন ফিলিস্তিন ও বাইতুল মুকাদ্দাস ধ্বংস হয়ে যায় এবং ইহুদীরা পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন ইহুদীদের বহু দল আরব দেশগুলোর দিকে মুখ ফিরায়।” (-তারিখুল ইয়াহুদ ফি বিলাদিল আরব।)
এমনি করে ধীরে ধীরে প্রথম শতাব্দিতেই ইহুদীরা মদীনাকে তাদের আবাসস্থলরূপে গ্রহণ করে। কিন্তু সেই সময়ে ইহুদীরা হযরত মুসা আ. আনীত দ্বীন ও কিতাবের শিক্ষামালা থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিলো। তারা নৈতিক অবক্ষয় ও চারিত্রিক অধঃপতনের শেষ প্রান্তে গিয়ে উপনীত হয়েছিলো। নিজেদের সামান্য প্রয়োজন পূরণ ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য তারা অত্যন্ত নিকৃষ্টতম কাজও সানন্দে আঞ্জাম দিতো। সামান্য লাভের জন্য তারা স্বজাতীয় লোকদের সাথেও শত্রুতা পোষণ করতো, তাদের পরিণত করতো নিজ প্রতিপক্ষ হিসেবে।
আর বিরোধী ও প্রতিপক্ষের ক্ষতি করার জন্য খাদ্যে বিষ মেশানো, যাদু করা, ধোঁকা দেওয়া, বিদ্রুপবান নিক্ষেপ, দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ সৃষ্টিকরা ইত্যাকার বিভিন্ন ধরনের হীন ও নিচু কাজ তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছিলো।
তারা অধঃপতন ও অধোগতির স্রোতে এমনভাবে নিজেদেরকে ভাসিয়ে দিয়েছিলো যে, সামান্য স্বার্থের জন্য তারা নিজেদের অপরাপর জাতি ভাইদের ঘাড় মটকে দেয়ার জন্য পর্যন্ত উদ্যত হতো।
ঐতিহাসিকদের মতে, যে সময়ে ইহুদীরা মদীনাকে নিজেদের আবাসস্থল বানায় এবং বসবাস শুরু করে, সে সময়ে তারা চাইলে নিজেদের ধর্মের প্রচার ও প্রসার করে মদীনা এবং তৎসংশ্লিষ্ট পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারতো। সুসংহত করতে পারতো নিজেদের ক্ষমতা। এর ফলে তারাই হতো সমগ্র আরবে প্রবল পরাক্রমশালী জাতি, একমাত্র ক্ষমতাধর। কিন্তু যে সময়ে ইহুদীদের একজোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে, নীতি-নৈতিকতাকে সম্বল করে ধর্মের প্রচার ও প্রসারে প্রয়াসী হওয়ার কথা; সে সময়ে তারা নিজেদের মন্দ চরিত্র ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে নিজেরা একে অপরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এমনকি তারা আরবদের সাথে মিলে পরস্পর নিজেদের স্বধর্মীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা শুরু করে। সেসব যুদ্ধে ইহুদীরা তাদের অপর ভাইদের বিরুদ্ধে আরবদের থেকেও বেশি কঠোরতার পরিচয় দেয়।
মদীনায় অবস্থানকারী ইহুদীদের বড় বড় গোত্র বনু কুরাইজা ও বনু নাজীর শত্রুতার সূত্র ধরে তাদের স্বজাতীয় অপর গোত্র বনু কাইনুকার বিরুদ্ধে মদীনায় বসবাসকারী আরব গোত্র আওসকে সাথে নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং সে যুদ্ধে তারা অত্যন্ত নির্মমভাবে, বনু কাইনুকার রক্তপাত ঘটায়। অত্যন্ত কঠিন হাতে তাদের মেরুদন্ড গুড়িয়ে দেয়। এমনকি তারা বনু কাইনুকাকে তাদের বসত ভিটা থেকেও উচ্ছেদ করে। যার ফলে বাধ্য হয়ে বনু কাইনুকা নিজেদের কৃষিকর্ম ও ক্ষেত-খামার পরিত্যাগ করে শিল্পকর্মকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করে।
ইহুদীরা এভাবে নিজেদের মধ্যে বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতা জিইয়ে রাখার কারণে আরবের বুকে তারা একটি প্রবল পরাক্রমশালী জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা তো দূরের কথা, নিজেদের আবাসস্থল সুনিশ্চিত করতেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়। ফলে তারা অসহায় হয়ে একেকজন একেক আরব সর্দার বা রঈসের অধীনতা গ্রহণ করে তাদেরকে নিয়মিত রাজস্ব বা কর দিয়ে তাদের ছত্রছায়ায় ও সহায়তায় জীবন যাপন করতে থাকে।
ইহুদী জাতির উদ্ভব হয় বনী ইসরাঈল থেকে। ইহুদীদের অতীত এবং বর্তমান কার্যক্রম ও চালচলন প্রত্যক্ষ পর্যালোচনা করলে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, এই ইহুদীদের চরিত্র বড়ই নিকৃষ্ট। এদের অতীত ইতিহাস খুবই মন্দ। জন্ম থেকেই এরা ঝগড়া-ফ্যাসাদ, ধোঁকা-প্রবঞ্চনা ইত্যকার অন্যায়-অপরাধ ও মন্দ কার্যকলাপে লিপ্ত।
এই ইহুদীরা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্বে অসংখ্য-অগণিত নিষ্পাপ নবী-রাসূলদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। পবিত্র কুরআনেও যার উল্লেখ আছে। এমন কি এরা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পর্যন্ত হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে একাধিকবার। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে বারবার। মহান আল্লাহর তাদের চক্রান্ত বিফল করে দিয়েছেন।
ইহুদীরা তাদের মন্দ স্বভাব চরিত্র নিয়ে যে কেবল নিজেরাই মারামারি ও খুনোখুনিতে লিপ্ত হয়ে থাকতো তাই নয়, বরং তাঁরা অন্যদের মাঝেও এসব দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ ছড়িয়ে দিতো। এই ইহুদীদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রেই মদীনার আরব বাসিন্দা, দুই ভাই তুল্য আউস ও খাযরাজ ১২০ বছর যাবত গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে ছিলো। যার মধ্যে সর্বপ্রথম যুদ্ধ ছিলো ‘সুমাইর’ আর সর্বশেষ যুদ্ধ ছিলো ‘বুআস’। ঐতিহাসিকগণ বলেন, ইহুদীরা নেপথ্যে থেকে আউস ও খাযরাজ এই দুই গোত্রকে পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত করাতে চক্রান্ত করতো এবং তাদের মাঝে অনৈক্য ও হানাহানির আগুন জ্বেলে দিতো। একথা আরবরাও জানতো। যার কারণে তারা ইহুদীদেরকে ‘ছা‘লাব’ তথা খেঁকশিয়াল উপাধিতে স্মরণ করতো।
তবে ইহুদীরা ষড়যন্ত্র করে আউস ও খাযরাজকে যে যুদ্ধে লিপ্ত করিয়ে ছিলো, তা পরবর্তীতে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর প্রমাণিত হয়। এ ঘটনা সম্পর্কে মুসলিম মনীষীগণ বলেন যে, মহান আল্লাহ তা’আলা ইসলামের জন্য একটি পবিত্র ভূমি নির্বাচন করেছিলেন। ইসলামের জন্য কেন্দ্র হিসেবে মদীনা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তাকে ইসলামের বহুল প্রচার ও প্রসারের জন্য উপযোগী করেছিলেন আউস ও খাযরাজের মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে। কেননা, ইসলাম আসার পর তার বহুল প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রয়োজন ছিলো- সে যেখানে এসে তাঁর কেন্দ্র স্থাপন করবে, সেই স্থানের অধিবাসীরা দুর্বল হওয়া। আর আউস ও খাযরাজের মধ্যে বিরাজমান ১২০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ তা আঞ্জাম দিয়েছিলো অত্যন্ত সুনিপুণভাবে। কেননা, এই যুদ্ধের দ্বারা আউস ও খাযরাজের বড় বড় সকল প্রতাপশালী সকল সর্দার নিহত হয়, আউস-খাযরাজের মধ্যকার ঐক্য সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হয়ে যায়। তাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি খন্ড বিখন্ড হয়ে যায়। ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে।
আর মদীনাকে ইসলামের কেন্দ্র বানানোর জন্য সকল প্রস্তুতি যখন শেষ হয়, মদীনা যখন ইসলামের কেন্দ্র হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী অর্জন করতে সক্ষম হয়, তখন মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মদীনায় হিজরতের আদেশ দেন। ফলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা ছেড়ে মদীনার তাশরীফ আনেন এবং সেখানে ইসলাম কায়েম করেন।
আমাদের দেশের এই বর্তমান পরিস্থিতিও কি মহান আল্লাহ পুনরায় এখানে ইসলাম আসার জন্যই করছেন?
(এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন আমার লেখা বই 'রাসূল এলেন মদীনায়' ও 'বিজয়ের পদধ্বনী' বইতে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে এদের থেকে আনসার বের করাটাই আমাদের দায়িত্ব।
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিকখেলাঘর বাধঁতে এসেছ,অপ্রিয় সত্য কথা,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই মহিলার এত নিক
মন্তব্য করতে লগইন করুন