চাই আবেগের পরিমিত ও বিবেকনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার
লিখেছেন লিখেছেন মাই নেম ইজ খান ২৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৩৪:৩১ সকাল
এই বলবীর কিংবা আমের সিং সাহেবকে নিয়ে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জনটি একটু বেশি হচ্ছে মনে হয়। আমাদের দেশে সফরে আসা এই নওমুসলিম দীনী দায়ীকে নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান হচ্ছে। ঢাকা ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও যাচ্ছেন তিনি।
তার অর্জন বা সবচাইতে বড় নিদর্শন হিসেবে বলা হচ্ছে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা। এই কথাটি শুনলেই হৃদয়ে কষ্টের যে তীব্র অনুভূতি তাড়া করে ফেরে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও ইসলাম গ্রহণ অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়, কিন্তু তাই বলে অতীতের গুনাহের রেকর্ড বারবার বাজানো বা তাকেই বড় করে ব্যক্তিকে বড় করার এই প্রবণতা দু:খজনক।
এক্ষেত্রে আমাদের জন্য উদাহরণ হতে পারেন হযরত ওয়াহশী রা. ও নিজ কন্যাকে হত্যা করা জনৈক আরব্য বেদুইন -যিনি ইসলাম গ্রহণ পরবর্তীতে রাসূলের কাছে এসে নিজ হাতে কন্যা হত্যার সেই লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন।
রাসূল সা. তাদের ইসলাম গ্রহণ ও পূর্বের সব গুনাহ মাফের ঘোষণা দিলেও মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত রাসূল তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট পেতেন। কারণ তাদের দিকে তাকালেই সেই নিষ্পাপ কন্যা ও আপন চাচা হামযা রা. এর পবিত্র চেহারা ও অবয়ব ভেসে উঠতো।
আমের এর নাম ও অনলাইনে তার ব্যাপারে আসতে থাকা উৎসাহমূলক লেখায় 'বাবরি মসজিদ ভাঙার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আঘাতকারী' জাতীয় বাক্য দেখে গত কয়েকদিন আমার মনের আয়নায় বারবার বাবরি মসজিদের করূন চেহারা ভেসে উঠছে যা হৃদয়ের পুরনো ক্ষত হতে রক্ত ঝরাচ্ছে। তার ব্যাপারটি নিয়ে আমাদের অনেকের অতি আবেগ পূনর্বিবেচনার অনুরোধ রইলো সবার প্রতি।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাদের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু তাদের আলোচনার ক্ষেত্রে আগের সেই অন্যায় বিষয়কে সামনে আনাটা অনেককে অজান্তেই কষ্ট দেয়।
ওয়াহশী রা. এর উদাহরণটি বোধগম্য হওয়ার কথা।
তবে হাজারো,লাখো বলবীর সিং থেকে এই বলবীর সিংকে আলাদা করার জন্য ঘটনাটির উল্লেখ অপ্রাসঙ্গিক মনে হয় না।
তবে প্রকাশ ভঙ্গী একটু অন্যরকম করা দরকার। -আমি এটাই বলতে চেয়েছি।
আল্লাহ সকলকে ইসলামের উপর অটল থাকার তাওফীক দিন।
আপনার এই মন্তব্যটি ফেসবুকে আমার লেখায় শেয়ার করুন।
ألحمد لله فى كل حال
আল্লাহ অনেক ভালো রেখেছেন। ইনশাআল্লাহ, পাবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকেই হিদায়াত দিন। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন